ইরানে এবার পরমাণু বিজ্ঞানীর ফাঁসি কার্যকর

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫ । ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে— সাম্প্রতিক ইরানে এ ধরনের ঘটনা খুবই সাদামাটা সংবাদ। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে ফাঁসিতে ঝোলা ব্যক্তির নাম গুগলে সার্চ করতেই তার বিশেষ পরিচয় সামনে আসে।

‍
গুগল দেখাচ্ছে, ওই ব্যক্তির ছিল উজ্জ্বল এক ক্যারিয়ার। গবেষণায় তার অবদান ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তার রয়েছে গর্ব করার মতো একাডেমিক সব ডিগ্রি। ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন।

বুধবার ইরানের বিচার বিভাগ ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রুজবেহ ভাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল খোঁজ নিয়ে জেনেছে, রুজবেহ ভাদি পরমাণুবিজ্ঞানী এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার অধীনে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদস্য।

তার গুগল স্কলার প্রোফাইল অনুসারে, রিঅ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ভাদি। ২০১১ সালে ইরানের সিনিয়র পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি গবেষণাপত্রের সহ-লেখক ছিলেন তিনি। ইসরায়েলের সঙ্গে জুনে সংঘাতের সময় তার সাবেক সেই সহকর্মীরা নিহত হন।

আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, ভাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট স্নাতক ছিলেন। তিনি ১২ দিনের যুদ্ধের সময় নিহত দুই বিশিষ্ট পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ আব্দুলহামিদ মিনুচেহর এবং আহমেদ জোলফাগারির সঙ্গে একটি গবেষণাপত্র সহ-লেখক ছিলেন।

বিচার বিভাগ বলেছে, ভাদিকে ওই হামলায় নিহত একজন বিজ্ঞানীর সম্পর্কে গোপন তথ্য মোসাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

সরকারি সংবাদমাধ্যম মিজান জানিয়েছে, ভাদি জেনেশুনে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন।

কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, তাকে অনলাইনে নিয়োগ করা হয়েছিল। চূড়ান্ত নিয়োগের আগে মোসাদের একজন কর্মকর্তা তাকে যাচাই করেছিলেন। পরে কেভিন নামে পরিচিত একজন হ্যান্ডলারের কাছে তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

বিচার বিভাগের মতে, ভাদিকে মূল্যায়নের পর মোসাদ নির্ধারণ করে যে, কর্মক্ষেত্র এবং অ্যাক্সেসের স্তর তাকে একজন উচ্চ-মূল্যবান উৎস করে তুলতে পারে। এরপর তাকে মোসাদের শীর্ষ বিভাগগুলোর মধ্যে একটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার অনুরোধে, প্রতি মিশনের জন্য পুরস্কার ব্যবস্থার পরিবর্তে তাকে প্রতি মাসে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হতো।

মামলার নথিকে বলা হয়েছে, নিরাপদ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি ডেডিকেটেড ফোন, ল্যাপটপ এবং দুটি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কিনতে ভাদিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সফল প্রশিক্ষণ শেষে তাকে সংবেদনশীল, শ্রেণিবদ্ধ তথ্য সংগ্রহ এবং প্রেরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সম্পাদক: আলহাজ্ব আকবর কবীর, মোবা: +৮৮০১৭১২-৩৩৩৬২৩, +৮৮০১৭১১-৩৮১২৯০, বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৯৭২-৩৩৩৬২৩, ঠিকানা: ঢাকা, বাংলাদেশ। ই-মেইল: akborkabir9@gmail.com

প্রিন্ট করুন