হাত খরচের টাকা নিয়ে বকা দেওয়ায় নিজের মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছেলে। এরপর মরদেহ ঘরের ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির ঘটনা সাজায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায়।
রোববার (১০ নভেম্বর) এ নির্মম খুনের ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব মাঠে নামে খুনের তদন্তে। সোমবার রাতে র্যাব-১২ সদস্যরা বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচপীড় এলাকা থেকে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে (১৯) আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সাদ তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে দুপচাঁচিয়া ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, উপজেলা ঈমাম-মোয়াজ্জিম সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এসএম আজিজুর রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ তথ্য জানান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ছেলে সাদের সঙ্গে তার মা উম্মে সালমার হাত খরচের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা কাটাকাটি চলে আসছিল। সে বাড়ি থেকে প্রতিদিন ৫শ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হাত খরচ নিত। ঘটনার দিনও বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে সে রাগ করে না খেয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। সকাল ১১টায় ক্লাসের বিরতিতে সে বাড়ি ফিরে এসে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মাকে রান্না ঘরে পেছন দিক থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এরপর তার দু’হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। পরে মেইন গেটে তালা দিয়ে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার সে বাড়িতে এসে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার বাবাকে ফোন দেয়। পরে তার বাবা মাওলানা আজিজুর রহমান বাড়িতে এসে ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সাদ তার মায়ের মরদেহ বাবা ও মামার সঙ্গে খোঁজার নাটক করে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪ । ৪:৫৯ অপরাহ্ণ