অবৈধভাবে জন্মের পর থেকেই ফিলিস্তিনের একের পর এক ভূমি দখল করেই বেড়ে উঠছে ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি স্বপ্নের বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠায় লেবানন ও অন্যান্য আরব ভূখণ্ড দখলের স্বপ্নে মেতে উঠেছে কট্টরপন্থি ইহুদি সেনারা। এর মধ্যেই গাজা বেশকিছু এলাকা দখলের নীলনকশা ফাঁস করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ আরেক অঞ্চল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
সোমবার (১১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী বছরের শুরুতে সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণকে সামনে রেখে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি বলে পরিচিত অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মুরিচ।
সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে স্মুরিচ জানান, তিনি আশা করছেন ওয়াশিংটনের নতুন প্রশাসন অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে।
মাইক্লোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্মুরিচ লেখেন, ২০২৫: জুডেয়া ও সামারিয়ার ওপর সাবভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার বছর। অধিকৃত পশ্চিম তীর অঞ্চলকে ইহুদি গ্রন্থে এসব নামে নির্দিষ্ট করা হয়।
ইসরায়েলের দখলকৃত অবৈধ অঞ্চলে বসবাস করা স্মুরিচ অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়াও ইসারয়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পশ্চিম তীরে ও অন্যান্য অবৈধ বসতির প্রশাসন দেখাশেনা করেন। চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বেসামরিক প্রশাসন অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং অন্যান্য অবৈধ বসতির ওপর আরও কড়া হস্তক্ষেপ শুরু করেছে।