আগামীকাল আইসিসির সভায় পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে। নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে চায় না ভারত। সে কারণে এখনো নিশ্চিত হয়নি টুর্নামেন্টটির ভবিষ্যৎ।
এদিকে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দেশটিতে সফর করছিল শ্রীলংকা ‘এ’ দল। প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ১০৮ রানে হারিয়েছিলেন স্বাগতিকরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের আগে রাজনৈতিক প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামাবাদ। এর মাঝেই সিরিজ শেষ না করে পাকিস্তান থেকে চলে গেছে শ্রীলংকা ‘এ’ দল।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই নিরাপত্তার কারণে দলকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলংকা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার। এ ছাড়া এমন পরিস্থিতির ফল আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেতে পারে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন পিসিবি কর্মকর্তারা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তারা।
দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার ও তৃতীয় ম্যাচ শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে করার কথা বলা হয়। এ জন্য শ্রীলংকার ক্রিকেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনাও করেন তারা। আশ্বাস দেওয়া হয় নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল নয় ভেবে ক্রিকেটারদের সিরিজের মাঝ পথেই দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলংকার ক্রিকেট কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। গত রোববার থেকে ইসলামাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীরা ইসলামাবাদের দিকে যাচ্ছেন। যার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজধানী।
এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তান শাহিনস ও শ্রীলংকা ‘এ’ দলের সিরিজ আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। দুই দেশের বোর্ড সিরিজের নতুন সূচি নিয়ে আলোচনা করছে।