অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আবারও ফাইনালে উঠেছে। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে একপেশে লড়াইয়ে দাপটের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেওয়া ১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯।
ফাইনালে তাদের সামনে পড়েছে ভারত, যারা অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
আজ পাকিস্তানের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসেখেলেই জিতেছে আজিজুল হাকিমরা। দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি ও জাওয়াদ আবরার ফিরে গেলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমসের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
শিহাব জেমস ২৬ রান করে ১৭তম ওভারে আউট হলেও শেষ দিকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। বাংলাদেশ অধিনায়কের ৪২ বলে ৬১ রানের আগ্রাসী ইনিংসে ২৩তম ওভারেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেসারদের সামনে অসহায় ছিল পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মারুফ মৃধা ওপেনার উসমান খানকে ফেরান। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেট নেন মারুফ, এবার ফেরান আরেক ওপেনার শাহজিব খানকে। দলীয় ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
মারুফের জোড়া আঘাতের পর পাকিস্তানের ইনিংসের হাল ধরেন সাদ বেগ ও মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ। তবে তৃতীয় উইকেট ৪২ রান তোলা জুটিটি ভাঙেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে সাদ বেগকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে তৃতীয় উইকেট এনে দেন ইমন। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
ইকবাল হোসেন ইমনের গতিতে কুপোকাত হয়ে যায় সাদ বেগের দল। ৪৯ রানে ২ উইকেট থেকে ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের নিচেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান। শেষ দিকে ফারহান ইউসুফের ৩২ রানে দলীয় একশ রান পার করে পাকিস্তান। তবে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হওয়া পাকিস্তান ৩৭ তম ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ইকবাল ইমন।
আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।