হজরত মুগিরা ইবনু শোবা (রা.) মুয়াবিয়ার (রা.) কাছে লিখেছেন যে, নবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাতের সালাম ফিরাতেন তখন বলতেন,
উচ্চারণ : লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর, আল্লাহুম্মা লা- মানেআ লিমা আতাইতা ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ান ফাউ জাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ আপনি যা দান করেন তা বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর আপনি যা বাধা দেবেন তা দেওয়ার মত কেউ নেই। আর আযাবের মুকাবেলায় ধনবানকে তার ধন কোনো উপকার করতে পারে না।) (বুখারি ও মুসলিম)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশবার ছুবহানাল্লাহ বলবে, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ বলবে ও তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে এর পর লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
বলে একশ বাক্য পূর্ণ করবে তার পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। (মুসলিম)
হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন যখন নামাজ শেষ করতেন তখন তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং বলতেন,
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছালাম, ওয়ামিংকাস-সালাম, তাবারাকতা ইয়া-যাল-যালালি ওয়াল ইকরাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময় এবং তোমার কাছ থেকে শান্তির আগমন, তুমি কল্যাণময়ত, হে মর্যাদাবান, মহানুভব! (মুসলিম)
এ ছাড়াও নামাজ শেষে আরও অনেক জিকির ও দোয়া করা যেতে পারে। তা হলো সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস পাঠ। আয়াতুল কুরসিও পাঠ করা যেতে পারে। কেননা এর অনেক ফজিলত রয়েছে।