বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সড়ক দুর্ঘটনা ৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ। সড়ক নিরাপত্তার জন্য গ্লোবাল সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ সম্পর্কে তরুণদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিষয়ে এক কর্মশালায় একথা বলেন বক্তারা।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে গ্লোবাল সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ বিষয়ক তরুণদের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রোড সেইফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমনি রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ এবং সড়ক নিরাপত্তা আইনের দুর্বলদিক সমূহের উপর আলোচনা করেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম। এসময় তিনি বলেন-পাঁটটি পিলার তথা বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান আইনটি পরিবহন কেন্দ্রীত। এই আইনে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো একেবারেই অনুপুস্থিত। তাই প্রয়োজন একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন ও এর বাস্তবায়ন।
নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা পদ্ধতির উপর সেশন পরিচালনা করেন অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট বুয়েটের সহকারি অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ। এসময় তিনি মূলত সড়ক ব্যবহারকারী পাঁচাট আচরণগত সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সনদ প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান। এসময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ইয়ুথ পলিসি ফোরামসহ বিভিন্ন ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।