সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পতনের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর ফলে আজ সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরে সরবরাহ করা হবে, এমন ব্রেন্ট ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম ৩৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ৭১ ডলার ৪৮ সেন্টে উঠেছে। অন্যদিকে, বিশ্ববাজারের আরেকটি প্রধান ব্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) ব্যারেলপ্রতি ৩৮ সেন্ট বেড়েছে বা শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। এই ধরনের তেলের দাম উঠেছে ৬৭ ডলার ৫৮ সেন্টে।
রোববার সিরিয়ার বিদ্রোহীরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করেছেন যে তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। এর ফলে ৫০ বছরের পারিবারিক শাসনের অবসান হয়েছে। তবে যতটা দ্রুতগতিতে বিদ্রোহীরা তাদের অভিযান পরিচালনা করেছেন, তাতে এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য আগে থেকেই যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি সৌদি আরামকো এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য আগামী মাসে সরবরাহ করা হবে, এমন তেলের দাম কমিয়েছে। ২০২১ সালের শুরুর দিকের পর দাম এতটা আর কখনোই কমানো হয়নি। এর মূল কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ চীনে তেলের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ও তাদের সহযোগীরা ওপেক প্লাস হিসেবে পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার এই জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা আরও তিন মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ আগামী এপ্রিলের আগে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা ওপেক প্লাসের নেই। বিশ্বের তেল উৎপাদনের অর্ধেক আসে ওপেক প্লাস দেশগুলোর কাছ থেকে।