
সাতক্ষীরা-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃর্নিধারণ করে নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত খসড়া পরিপত্র প্রত্যাখান করেছে শ্যামনগর উপজেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। শুধুমাত্র অখণ্ড উপজেলার শর্ত পূরণের নামে বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা দু’টি দুর্গম জনপদকে একীভূত করার প্রস্তাবনাকে জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেছেন তারা।
যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জনগণের সুযোগ-সুবিধার বিষয়াবলীকে গুরুত্ব না দিয়ে পুনর্বিন্যাসের নামে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা আত্মঘাতী বলেও দাবি তাদের। কমিশনের এমন অদূরদর্শী প্রস্তাবনা বিরোধী আন্দোলনে প্রয়োজনে তারা স্থানীয় বিএনপিকে পাশে নিতে প্রস্তুত।
রবিবার (৩ আগস্ট) উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, শ্যামনগর ও আশাশুনিতে তাদের নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক রয়েছে। তারপরও শুধুমাত্র জনগণের সার্বিক সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে সাংগঠনিকভাবে তারা কমিশন প্রণীত খসড়া পরিপত্রের বিরোধীতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আশাশুনির সাথে সাতক্ষীরা ও দেবহাটাসহ খুলনার কোন কোন অংশের সীমানা রয়েছে। কিন্তু সর্বদক্ষিণে অবস্থিত শ্যামনগরকে জেলা শহরের পাশাপাশি সমগ্র দেশের সাথে যোগাযোগ করতে পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে যেতে হয়। এমতাবস্থায় কালিগঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বিপরীত প্রান্তের আশাশুনির সাথে যুক্ত করার প্রস্তাবনা নিতান্তই অদূরদর্শিতার পরিচায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি বিশেষের পরামর্শে অখণ্ড কালিগঞ্জ উপজেলা বজায় রাখতে দেবহাটার সাথে কালিগঞ্জ এবং আশাশুনির সাথে শ্যামনগরকে জুড়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তার ফলে সাগর ও সুন্দরবন তীরবর্তী শ্যামনগরের পাশাপাশি অপর প্রত্যন্ত জনপদ আশাশুনিবাসীর দুর্ভোগ বহুগুণে বেড়ে যাবে।
সেজন্য অখণ্ড উপজেলা হিসেবে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরকে একীভূত না করার দাবি জানান তিনি। অথবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের মত শ্যামনগরকে পৃথক সংসদীয় আসন হিসেবে পুনর্বহালের দাবি জানান ১৯৯১ ও ২০০২ সালে জামায়াত থেকে নির্বাচিত সাবেক এ এমপি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আসন পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাবনা রুখতে তারা আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথাও ভাবছেন। দাবি আদায়ে অপরাপর রাজনৈতিক শক্তিসহ সাধারণ মানুষকে নিয়ে রাজপথে থাকারও প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, সংগঠনের সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম, যুববিভাগের সভাপতি সাঈদি হাসান বুলবুল, শাহিদুল ইসলাম।