এজেন্সিকে জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ৫০ হাজার কর্মী। মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পাঁচ মাস পরও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এদিকে, বহু হাতবদল হওয়ায় ভুক্তভোগীরা পুরো ক্ষতিপূরণ পাবেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ বিশেষজ্ঞদের। বলছেন, পুরো লেনদেনই হয়েছে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। তাই নির্দিষ্ট অঙ্ক নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে সরকার এবং রিক্রুটিং এজেন্সিকে।
টাকা পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ৫০ হাজার কর্মীজনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র এবং রাজধানীর পল্টনের একটি এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন রাজবাড়ীর মোহাম্মদ রাজু। তারপরও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তিনি। এখন টাকা ফেরত পেতে, আবেদন করার ৫ মাস পরও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আশ্বাস পাননি।
বিভিন্ন এজেন্সিকে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীর সংখ্যা মোট ৫০ হাজার। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পেয়েছিলেন ১৮ হাজার। যদিও গত অক্টোবরে ঢাকা সফরের সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে।
এজেন্সি ও নিয়োগদাতার প্রতারণার শিকার কর্মীদের বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) বলছে, এতে এককভাবে কোনো পক্ষ দায়ী নয়। কয়েকবার হাতবদল হওয়ায় টাকা উদ্ধার করাও কঠিন।
বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিভ্রান্তিকর। তাই এ নিয়ে মতামত দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন হবে। এ নিয়ে আমাদের দুই সরকারের যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেটাই এর জন্য দায়ী।’
ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত দিতে, মানবিক বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, মূল দায়িত্ব যেসব রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর তারা হয়তো পুরো অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়াটি নিশ্চিত করতে পারবে না। সেখানে সাব এজেন্টদের পক্ষ থেকেও এই অর্থ পুরোটা দেওয়া সম্ভব না। এক্ষেত্রে সামগ্রিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে।
এদিকে সরকারি হিসাব বলছে, সাব এজেন্টকে টাকা ফেরত দিয়েছে ১০১ এজেন্সি। আর সাব-এজেন্টরা, বিএমইটির ছাড়পত্র পাওয়া সেই ১৮ হাজার ভুক্তভোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশকে টাকা ফেরত দিয়েছে।