ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পরিস্থিতির আরও উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ড মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, সাধারণ জনগণ মনে করছে, অপরাধ দমনে সরকারকে ‘আরও কঠোর’ হতে হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানাড়পাড় বাসস্ট্যান্ডে এক পুলিশ সদস্যকে ‘ভুয়া পুলিশ’ আখ্যা দিয়ে পিটুনি দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, আক্রান্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। এক পকেটমার ভুয়া পুলিশ গুজব রটিয়ে তাকে পিটুনি দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন জানান, ৫ আগস্টের পর এক মাসের মতো পুলিশের অনুপস্থিতিতে অপরাধ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এখন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে টহল এবং পুলিশিং চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত পুলিশিংটা আমি আসার আগ পর্যন্ত বন্ধই ছিল। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে আমি জয়েন করার পর আস্তে আস্তে পুলিশিংটা দৃশ্যমান হয়েছে। এখন আমরা ফুল ফিল্ডওয়ার্কে আছি। আগে চারটা টহল বের হতো এখন যানবাহন সংকটে দুইটা টহল বের হয়। একটা ভাড়া নেওয়া, আরেকটা সরকারি গাড়ি আছে। থানার অনেক গাড়ি তো পুড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি উন্নতির জন্য মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্দেহভাজনক আসামি গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। এতে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আগামী তিনমাসের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।