সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ভুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনছুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এ.কে.এম জাফরুল আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১২টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার জাহাজঘাটা ব্রিজের নিকট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শ্যামনগর থানায় মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে.এম জাফরুল আলম বাবু শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের আলহাজ্ব এসএম জালাল উদ্দীনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যানের সহধর্মিনী লতিফা হেলেন জানান,তার স্বামী শ্যামনগর থেকে কর্মস্থল কালীগঞ্জের রোকেয়া মনসুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে মোটরসাইকেলে একাকী যাওয়ার পথে জাহাজঘাটা নামক স্থানে বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মী তার গতিরোধ করে আটক করে।পরে তারা শ্যামনগর থানাকে খবর দিয়ে চেয়ারম্যান কে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যানের নামে কোন মামলা নেই।ভিন্ন মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্যামনগর থানায় দায়ের করা দোকান ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার পলাতক আসামী ইউপি চেয়ারম্যান জাফরুল আলম বাবু উপজেলার জাহাজঘাটা এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালান। এসময় জাহাজঘাটা ব্রিজের নিকট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দোকান ভাংচুরের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।