সিরিয়ার স্বৈরাশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর আবারও আলোচনায় এসেছেন বাবা ভাঙ্গা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হচ্ছে, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির ভবিষ্যদ্বাণী বহু বছর আগেই দিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যদ্বাণীতে বাবা ভাঙ্গা কী বলেছিলেন, কেন বলেছিলেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক- এসব আলোচনায় ব্যস্ত তার ভক্তরা।
অনেক বছর আগেই মারা গেছেন তিনি। মৃত্যু হলেও তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ হয়নি। বিশেষ করে যুদ্ধ নিয়ে তার দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে এখনো চলে জোর আলোচনা-সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের টুইনটাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু, রাশিয়ার চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় এবং হালের করোনা মহামারির মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন।
আসাদ সরকারের পতনের পর তার ভবিষ্যদ্বাণী নতুন করে সামনে এসেছে। ইন্ডিয়া ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা ভাঙ্গা সতর্ক করেছিলেন- সিরিয়ার পতন একটি বিধ্বংসী বৈশ্বিক সংঘাতের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। যদিও সিরিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির সম্মুখীন হয়েছে কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্বেগকে আরও তীব্র করেছে।
তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যখন সিরিয়ার পতন হবে তখন পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ হবে। বসন্তে প্রাচ্যে একটি সংঘাত বাধবে। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করবে। এটি এমন এক যুদ্ধ যা পশ্চিমকে ধ্বংস করবে।
আসাদ সরকারের দোসরদের যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে বিদ্রোহীরা
তার ভবিষ্যদ্বাণীর আরেকটি রহস্যময় অংশ বলছে, সিরিয়া বিজয়ীর পায়ে পড়বে, কিন্তু বিজয়ী হবে না।
বর্তমান পরিস্থিতি তার রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীর সার্থকতা নির্দেশ করছে। কারণ, সিরিয়ার বিদ্রোহীরা জয়ী হলেও দেশটিতে শান্তি আসেনি। বরং, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলা করছে। আসাদ সরকারের রেখে যাওয়া সামরিক সরঞ্জাম ও স্থাপনা ধ্বংস করে সিরিয়াকে পঙ্গু করে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাবা ভাঙ্গা বলকানের নস্ত্রাদামুস খ্যাত বুলগেরিয়ার এক রহস্য নারী। মাত্র ১২ বছর বয়সে ঝড়ের কবলে পড়ে তিনি অন্ধ হয়ে যান। অন্ধ হলেও সেই ঝড়ের পর থেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করা মতো অলৌকিক ক্ষমতা লাভ করেন তিনি।
কথিত আছে, বুলগেরিয়ান তৃতীয় জার বরিস ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা লিওনিড ব্রেজনেভের মতো বিশ্বনেতারা তার পরামর্শ নিতেন। ১৯৯৬ সালে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় এই রহস্য নারীর মৃত্যু হয়।