কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার প্রান্তে ২০২৪। হাতে গুণে ১৪ দিন পরেই বিগতের খাতায় চলে যাবে ঘটনাবহুল আরও একটি বছর। বছরের শেষ দিকে এসে হিসেব মেলাতে গেলে বাংলাদেশ পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়ত কিছুটা বিব্রত অবস্থাতেই থাকবে। পাকিস্তান অবশ্য এখনই নিজেদের খুঁজে পেয়েছে বিব্রতকর অবস্থায়। বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সুযোগ আছে নিজেদের মান বাঁচানোর।
টি–টোয়েন্টিতে এ বছর সবচেয়ে বেশি ম্যাচে হারের তালিকায় নাম লিখিয়েছে পাকিস্তান। তারা হেরেছে ১৬ ম্যাচে। অবশ্য পাকিস্তান এই তালিকায় এককভাবে না, স্থান ভাগাভাগি করেছে উগান্ডার সঙ্গে। রুয়ান্ডার চেয়ে ৩টি ম্যাচ বেশি খেলেছে পাকিস্তান। ২৪ ম্যাচে ৮ জয় ও ১৬ হার রুয়ান্ডার। পাকিস্তান ১৬ হার ও ৯ জয়ের পথে খেলেছে ২৭ ম্যাচ। টাই ১টি, ফল হয়নি ১টির।
জিম্বাবুয়ে ২৪ ম্যাচে ১৪ হার নিয়ে দুইয়ে। জিতেছে ১০ ম্যাচ। ১০ জয়ের পাশাপাশি ১২ হার নিয়ে তালিকার তিনে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩ ম্যাচে ১১ হার নিয়ে নিয়ে চারে। ১২ ম্যাচ জিতেছে দলটি। হারের তালিকায় পাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫ ম্যাচে ১০ হার ও ১৪ জয় দলটির।
ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে অধিনায়ক লিটনের চোখ এবার সিরিজ জয়ে
এ গেল বছরে হিসাব। যেখানে কিছুটা নিরাপদেই আছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ডে দুই দলই আছে নড়বড়ে অবস্থানে। চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই হেরেছিল ১০৭টি করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচ হারের পর উইন্ডিজদের হার ১০৮ ম্যাচে।
বিজয়ের দিনে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয়
বাংলাদেশ যদি শেষ দুই ম্যাচ হেরে যায়, তবে ২০২৪ সালের শেষে এসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা দল হবে তারাই। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এমন লজ্জা নিয়ে নিশ্চিতভাবেই বছর শেষ করতে চাইবে না টাইগাররা।