দেবহাটার চারকুনিয়ায় একাধিক বিবাহ, নারী নির্যাতন ও গ্রামবাসীর সাথে অশোভনীয় আচারণে ক্ষিপ্ত নাছিরউদ্দীন ওরফে সাহেব আলীর শাস্তির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে চারকুনিয়া বাজারে এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, নাছিরউদ্দীন ওরফে সাহেব আলী একজন নারী লোভী। সে বিভিন্ন মহিলাদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে এপর্যন্ত ৯টা বিবাহ করেছে। একটি বিবাহের পর সে স্ত্রীর সাথে কয়েকমাস ভালভাবে সংসার করে সে। কয়েক মাসের মধ্যে যৌতুকের দাবি ও খুটিনাটি বিষয়কে কেন্দ্র করে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে সে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালে কিংবা বাপের বাড়িতে গেলেই ঐ স্ত্রী অনুমাতি ছাড়া আবারো বিবাহ করে নাছিরউদ্দীন ওরফে সাহেব আলী। এভাবেই চলতে থাকে তার ৯টি বিবাহের ঘটনা। গেল কয়েকদিন পূর্বে ৯নং স্ত্রীর দেড় মাসের গর্ভাবস্থায় সন্তান নষ্ট করে সে। এরই মধ্যে বাড়িতে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করার এক পর্যায়ে লোহার সাবোল দিয়ে মারপিট করে হাতের বাহু ভেঙ্গে দেয় এই পাষান্ড সাহেব আলী।
সাহেব আলীর ৮নং স্ত্রী জানান, সে ইজিবাইক চালক। সে প্রতিদিন ইজিবাইক চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার অসহায় মহিলাদের টার্গেট করে বিবাহ করে নির্যাতন করে। স্ত্রী ও তার বাপের বাড়ির লোকেরা এত গরিব ও অসহয় যে, তার নির্যাতনে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে আমি অন্য ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করছিলাম। কিন্তু সাহেব আলী আমাকে ফুসলিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সেখান থেকে তালাক প্রদান করিয়ে বিবাহ করে। আমি পূর্বের ঘরের সন্তান নিয়ে সাহেব আলীর সংসার করতে থাকি। কিন্তু তার অমানুষিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে বাপের বাড়িতে চয়ে যাই। কয়েকদিন পর সুস্থ হয়ে স্বামীর বাড়িতে এসে দেখি নতুন বউ সংসার করছে। বর্তমানে আমি দুই কুল হারিয়ে মানবেতর জীবন পার করছি। এঘটনায় দ্রæত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটনাতে পারে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী একাধিক স্ত্রীরা।