অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন কবে হবে তার রোডম্যাপ প্রধান উপদেষ্টার তার ভাষণে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান প্রেস সচিব। ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে— এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। তিনি একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে।
উপপ্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
সংস্কার কমিশনগুলো দ্রুত প্রতিবেদন দেবে বলে আশা প্রকাশ করে আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে জাতীয় উদ্যোগের চেষ্টা হবে। জাতীয় ঐক্যমতে সংস্কারের বিষয়গুলো তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ কমিশন শুরু করে দিয়েছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানতে হলে সবার উচিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা। মোটা দাগে সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমার কথা বলেছেন। এ সময়ে মধ্যে থেকে নির্বাচন আয়োজন করতে গেলে যে প্রয়োজনীয়তার কথা ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছে। এখনও আলোচনা হচ্ছে বা সামনে যে ইস্যুগুলো আসবে, সেগুলো নিয়ে সরকার কীভাবে কাজ করবে তার রূপরেখা, পদ্ধতির আউটলাইন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন।
জাতীয় ঐকমত্য হলে নির্বাচনের সময়সীমা বাড়বে কি না এমন প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, যখন পরিস্থিতি তৈরি হবে তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে এখন ধারণা জল্পনা-কল্পনার সময় হয়নি।