খুঁজুন
রবিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্টে যা খাবেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:১২ অপরাহ্ণ
শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্টে যা খাবেন

সারা দিনের খাবারের মধ্যে সকালের নাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে সকালের নাস্তার তালিকায় রাখতে পারেন শাকসবজি ও ফল।
শীত মৌসুমে সবজি ও ফলের জন্য অনেকেই সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে। যদি কোন ফল বা সবজিতে চিকিৎসকের বাধা নিষেধ না থাকে তবে সুষম পুষ্টির জন্য সব ফল, সবজি খাওয়া যেতে পারে। তবে রান্নায় কম তেল, মসলা দেওয়া ভালো। এছাড়া অনেক সবজি সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়।

অনেকেই শীতের শুরু থেকে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন। তাদের শীতকালের শুরুতে সতর্ক হতে হবে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। তবে ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।

রাতে ঘুমের আগে যদি এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো। পাশাপাশি ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মধু, তুলসিপাতা, গোলমরিচ, রসুনের ব্যবহার করেন অনেকে। তবে সবটাই করতে হবে শরীর বুঝে। শীতে শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্টে যা খাবেন, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

* শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসি টি, বা আদা চায়ের উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি শরীরও সতেজ থাকে।

* লাল আটার রুটিতে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন ‘বি’ । ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন ‘বি’ আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখে।

* ডিম খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। সিদ্ধ বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রাখুন। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ‘ই’, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে।

* মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

* স্যুপ প্রতিদিন সকালে না হলেও শীতের দিনে যেকোনো একটা সময়ে স্যুপ খাবেন। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে। আবার শীতকালে গরম গরম স্যুপ খেতেও ভালো লাগে।

* মৌসুমি ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা কলা খেতে পারেন।

* শীতকালে মধুর কোনো বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে। সেই সাথে শরীর গরম রাখে মধু।

* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী।

* সকালের নাস্তায় মাঝেমধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। তার মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।

*সাদা ব্রেডের থেকে ব্রাউন ব্রেড অনেক বেশি উপকারী। তাই সাদা ব্রেড ভুলে ব্রাউন ব্রেড খান।

* ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওটস অনেকভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।

* সকালের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিপিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

অন্তরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

সব শেষ আবারও তাদের ক্ষমতা আরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বাড়ানো হলো।

দিনের শুরুতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
দিনের শুরুতে  প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব। এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক।

শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২৫ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার দেওয়া দুই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে! আর এতেই বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর সামনে কি তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসছে?

বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তাদের মধ্যে একজন। ২০২৫ সাল শুরুর আগেই, বাবা ভাঙ্গার দুটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয়ে উঠেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ দিনেই তার পূর্বাভাসের অনেক কিছুই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের মানুষের মনে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে পৃথিবী একটি ভয়ংকর ভাইরাসের শিকার হবে, যা দ্রুত ছড়াবে এবং বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ২০২৫ সালের মাত্র ৯ জানুয়ারি, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়াতে শুরু করেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রেখেছে।

সেসময় বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ২০২৫ সালে পৃথিবী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। ঠিক ৯ জানুয়ারি, চীনে একটি ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে বিশাল দাবানল চলছে, যা বহু মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ হবে, যা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটাবে। যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন নতুন দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এই দিক থেকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে সেই আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ইউরোপে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে এবং এতে ভ্লাদিমির পুতিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাবে এবং মেরুবরফও গলে যাবে। এর ফলে সমুদ্রের স্তর উপরে চলে আসবে এবং পৃথিবীর বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং বিশ্বের অনেক জায়গা হারিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বুলগেরিয়ান এই নারী জ্যোতিষীর ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। অন্তত তার অনুসারীরা তাই মনে করেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তার আগে তিনি পৃথিবীর বুকে ঘটতে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়ে গিয়েছেন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বজুড়ে এখনো অনেকেই তার ভবিষ্যদ্বাণী বেশ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। রয়েছে বাবা ভাঙ্গার বহু অনুসারীও। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে এক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মারা যাবেন। আর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঠিক সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস