খুঁজুন
রবিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ায় ৫ বছরের ওয়ার্ক ভিসায় পরিবারসহ থাকতে পারবেন! জানুন ধাপে ধাপে এপ্লাইয়ের প্রক্রিয়া

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
অস্ট্রেলিয়ায় ৫ বছরের ওয়ার্ক ভিসায় পরিবারসহ থাকতে পারবেন! জানুন ধাপে ধাপে এপ্লাইয়ের প্রক্রিয়া

অস্ট্রেলিয়া দক্ষ কর্মীদের জন্য এক আকর্ষণীয় গন্তব্য, বিশেষ করে যারা পরিবার নিয়ে উন্নত জীবনযাত্রা ও পেশাগত ভবিষ্যতের খোঁজে থাকেন। এই উদ্দেশ্যে, অস্ট্রেলিয়ান সরকার Skilled Employer Sponsored Regional (Provisional) Visa – Subclass 494 চালু করেছে, যা অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মীদের আঞ্চলিক অস্ট্রেলিয়ায় কাজ ও বসবাসের সুযোগ দেয় ৫ বছরের জন্য। এর মাধ্যমে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি সুস্পষ্ট পথও খোলা থাকে।

এই প্রতিবেদনটিতে Subclass 494 ভিসার উদ্দেশ্য, যোগ্যতা, আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

Subclass 494 ভিসা কী?
এই ভিসাটি আঞ্চলিক এলাকায় কর্মী সংকট পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের একজন অনুমোদিত নিয়োগদাতা যদি স্থানীয় যোগ্য কর্মী না পান, তাহলে তারা বিদেশি দক্ষ কর্মীকে স্পনসর করতে পারেন এই ভিসার মাধ্যমে।

এটি একটি অস্থায়ী (provisional) ভিসা, তবে তিন বছর পর স্থায়ী বাসিন্দার (Subclass 191) জন্য আবেদন করা যায়, যদি নির্দিষ্ট আয়ের ও বসবাসের শর্ত পূরণ করা হয়।

প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

মেয়াদ: সর্বোচ্চ ৫ বছর
আপনি এবং আপনার পরিবার আঞ্চলিক অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে, কাজ করতে ও পড়াশোনা করতে পারবেন
স্পনসর প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন
পরিবার নিয়ে আবেদন করা যায়
স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ (Subclass 191 এর মাধ্যমে)
নোট: সিডনি, মেলবোর্ন, ও ব্রিসবেন ছাড়া প্রায় সব শহরই “আঞ্চলিক এলাকা” হিসেবে বিবেচিত — যেমন অ্যাডিলেইড, পার্থ, হোবার্ট।
Subclass 494 ভিসার প্রধান দুটি ধারা (Stream):

Employer Sponsored Stream – অনুমোদিত নিয়োগকর্তা দ্বারা স্পনসরকৃত দক্ষ কর্মীদের জন্য
Labour Agreement Stream – নিয়োগদাতাদের সাথে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য
এই প্রতিবেদনের মূল ফোকাস Employer Sponsored Stream এ।

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

বয়স ৪৫ বছরের নিচে
আঞ্চলিক এলাকায় কাজের অফার থাকা আবশ্যক
নির্ধারিত পেশায় স্কিল অ্যাসেসমেন্ট পাস
ন্যূনতম ৩ বছরের প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা
প্রমাণিত ইংরেজি দক্ষতা (IELTS: প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ৬ / PTE: প্রতিটি বিভাগে ৫০)
স্বাস্থ্য ও চরিত্রের মাপকাঠি পূরণ করতে হবে
নিয়োগদাতার যোগ্যতা:

অনুমোদিত স্পনসর হতে হবে
আঞ্চলিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে
কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য পূর্ণকালীন চাকরির অফার দিতে হবে
প্রমাণ দিতে হবে যে কোনো স্থানীয় প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি
কোন কোন পেশা যোগ্য?
শুধুমাত্র Regional Occupation List (ROL)-এ থাকা পেশাগুলো Subclass 494 ভিসার আওতায় পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে:

স্বাস্থ্যসেবা
প্রকৌশল
কৃষি
নির্মাণ
আইটি
শিক্ষা
প্রার্থীদের অবশ্যই নির্ধারিত অথরিটি থেকে বৈধ স্কিল অ্যাসেসমেন্ট নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
আবেদনকারীর জন্য:

বৈধ পাসপোর্ট
স্কিল অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
বিস্তারিত সিভি
শিক্ষাগত সনদপত্র ও মার্কশিট
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিয়োগদাতার জন্য:

ব্যবসার নিবন্ধন ও কার্যক্রমের প্রমাণ
লেবার মার্কেট টেস্টিং রিপোর্ট
চাকরির চুক্তিপত্র
বেতনের বিবরণ
পরিবারের জন্য:

পাসপোর্ট
জন্ম ও বিবাহ সনদ
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
স্বাস্থ্য পরীক্ষা
ধাপে ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া:

স্কিল অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করুন
আঞ্চলিক চাকরির অফার জোগাড় করুন
নিয়োগকর্তা দ্বারা স্পনসরশিপ আবেদন
ভিসা আবেদন অনলাইনে জমা দিন (ImmiAccount এর মাধ্যমে)
অপেক্ষা করুন (৬-১০ মাস প্রক্রিয়াকরণ সময়)
ভিসা অনুমোদন হলে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়া যাত্রা করুন
এই ভিসায় আপনার অধিকার:

আঞ্চলিক এলাকায় বসবাস ও কাজের পূর্ণ অধিকার
পরিবারের সদস্যদেরও কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ
নির্দিষ্ট ইনকাম থ্রেশহোল্ড পূরণ করলে ৩ বছর পর স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন
Subclass 191 – স্থায়ী নাগরিকত্বের পথ:
৩ বছর Subclass 494 ভিসায় থাকার পর এবং বার্ষিক ইনকাম থ্রেশহোল্ড পূরণ করলে Subclass 191 ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। নতুন স্পনসর প্রয়োজন হয় না, এবং পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

খরচ:

আবেদন ফি (প্রধান আবেদনকারী): প্রায় AUD 4,640
অতিরিক্ত ফি: প্রতিটি পরিবার সদস্যের জন্য আলাদা
অন্যান্য খরচ: স্কিল অ্যাসেসমেন্ট, ইংরেজি পরীক্ষা, মেডিকেল, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ইত্যাদি
সাধারণ প্রশ্নাবলি (FAQs):
১. স্পনসর পরিবর্তন করা যাবে কি?
হ্যাঁ, তবে নতুন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নতুন মনোনয়ন নিতে হবে।

২. আমার স্ত্রী/স্বামী কি যেকোনো চাকরি করতে পারবে?
হ্যাঁ, তারা আঞ্চলিক এলাকায় যেকোনো পেশায় কাজ করতে পারবেন।

৩. Subclass 494 কি স্থায়ী ভিসা?
না, এটি একটি অস্থায়ী ভিসা তবে এটি স্থায়ী ভিসার পথ খুলে দেয়।

৪. আমি যদি আঞ্চলিক এলাকা ছেড়ে যাই?
এতে ভিসা বাতিল হতে পারে অথবা স্থায়ী নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

৫. কি আমি নিজেরাই আবেদন করতে পারি, না কি মাইগ্রেশন এজেন্ট দরকার?
নিজেরাই আবেদন করতে পারেন, তবে জটিলতা থাকলে একজন অভিজ্ঞ এজেন্টের সাহায্য নিতে পারেন।

Subclass 494 ভিসা হলো দক্ষ কর্মীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারসহ বসবাস এবং কাজ করার একটি অসাধারণ সুযোগ। এটি স্থায়ী নাগরিকত্বের স্পষ্ট পথ খুলে দেয়, যদি আপনি প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেন। যারা আঞ্চলিক অস্ট্রেলিয়ায় নিজেদের নতুন জীবন শুরু করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত ও বাস্তবসম্মত পছন্দ।

প্রয়োজনে আরও তথ্য বা সাহায্যের জন্য একজন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আপনার অস্ট্রেলিয়া যাত্রা শুভ হোক!

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

আজ ৫ অক্টোবর (রোববার), বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকতা পেশা : মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ বাংলাদেশেও এই দিবস উদযাপন হবে।

শিক্ষক ছাড়া জাতির অগ্রগতি অসম্ভব—সেজন্য ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

একজন শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তিনি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তা, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকরাই জাতিকে আলোকিত পথে এগিয়ে নিয়ে যান এবং সমাজকে গড়ে তোলেন জ্ঞান ও নৈতিকতার ভিত্তিতে। তাই তাদের ভূমিকা জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে অনন্য ও অপরিসীম। এই দিবসটি শিক্ষকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাজকে মূল্যায়ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষকরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করেন এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখেন। শিক্ষকদের পেশাগত স্বাধীনতা, অধিকার এবং উন্নত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশার প্রতি তরুণদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এই দিবসের অন্যতম তাৎপর্য।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। শিক্ষক দিবস কেবল আনুষ্ঠানিকতার দিন নয়, এটি শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরার এক মূল্যবান মুহূর্ত।

দিবসি পালনের অংশ হিসেবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার সকালে গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ১২ জন শিক্ষককে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এজন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬ জন শিক্ষককে নির্বাচিত করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়, কলেজ, মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বাছাই করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই শুরু হয় বিসর্জন।

এর আগে ণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিকাল থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজার পর দেবী মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যান। তাই দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতার। দর্পণ বিসর্জনের পর রীতি অনুযায়ী, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবীকে সিঁদুর, তেল, পান-চিনি নিবেদন করে ভক্তরা অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানান। বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা।

প্রতি বছরের মতো এবারও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীতে জেলার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল এবং স্থানীয় পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। দুপুর থেকে ট্রাক ও ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় খোলপেটুয়া নদীতে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বিসর্জন দেখতে হাজির হন হাজারো মানুষ। দ্বিতীয় টাকি খ্যাত বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীতে বিসর্জন কার্যক্রমের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

বিকেলে খোলপেটুয়া নদী তীরে গিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা প্রমুখ।

এ বছর জেলার ৫৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হাজির হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। তবে, এবারো ইছামতিতে ভাসেনি মিলনমেলার তরী। নিজ নিজ সীমানার মধ্যে থেকেই প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

অনেক বাবা-মা মনে করেন, সন্তান হয়তো ঠিকমতো খাচ্ছে না বলেই উচ্চতা বাড়ছে না। আসলে শুধু খাওয়ার পরিমাণই নয়, কী ধরনের খাবার খাচ্ছে সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বৃদ্ধি (গ্রোথ) এবং উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি—যেমন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনস, আয়রন ও খনিজ পদার্থ।

এমন কিছু ফল আছে যেগুলোর রসে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান শিশুদের হাড় মজবুত করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং স্বাভাবিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিচে এমন তিনটি ফলের রসের কথা বলা হলো, যেগুলো শিশুদের ডায়েটে যুক্ত করলে উপকার পেতে পারেন।

১. পেয়ারার রস

পেয়ারা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রসও অনেক পুষ্টিকর। এতে থাকে:

ভিটামিন C – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ক্যালসিয়াম – হাড় মজবুত করে

ভিটামিন B ও ফাইবার – হজমে সাহায্য করে

শিশুরা যদি নিয়মিত পেয়ারার রস খায়, তবে তাদের হজমশক্তি ভালো থাকে, যা সরাসরি পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

টিপস: বাড়িতে টাটকা পেয়ারা ব্লেন্ড করে অল্প পানি ও মধু মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর জুস বানাতে পারেন।

২. স্ট্রবেরির রস

স্ট্রবেরি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, এর গুণও তেমন চমৎকার। এতে থাকে:

ভিটামিন C, আয়রন ও ক্যালসিয়াম

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট – শরীরের কোষকে সুস্থ রাখে

প্রোটিন – দেহের গঠন ও হাড়ের বৃদ্ধি ঘটায়

স্ট্রবেরির রস শিশুদের হাড়কে শক্তিশালী করে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে। নিয়মিত এই রস খাওয়ালে শিশুদের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে চলতে পারে।

টিপস: স্ট্রবেরির মৌসুমে টাটকা ফল দিয়ে রস তৈরি করুন, চাইলে দুধ বা কলাও মিশিয়ে দিতে পারেন।

৩. কলার শেক

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান শিশুদের জন্য এক কথায় পারফেক্ট। এতে থাকে:

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম – হাড় ও পেশিকে মজবুত করে

ভিটামিন B6 ও ফাইবার

প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম – দেহের গঠন ও গ্রোথে সহায়ক

প্রতিদিন এক গ্লাস কলার শেক খেলে শিশুদের শক্তি বাড়ে, হজম ভালো হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয়।

টিপস: দুধ, কলা, অল্প মধু এবং চাইলে সামান্য বাদাম দিয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর কলার শেক তৈরি করুন।

অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ

শুধু ফলের রস খেলেই উচ্চতা বাড়বে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন:

– সঠিক ঘুম – দিনে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা

– নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা – যেমন সাঁতার, দড়ি লাফ, বাস্কেটবল

– পর্যাপ্ত পানি পান – শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে

– সঠিক খাবার – প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও সবজি

উচ্চতা বৃদ্ধি একটি ধীর ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। সন্তানকে কখনোই জোর করে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বরং ফলের রসের মতো পুষ্টিকর ও সুস্বাদু বিকল্প দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এই ৩টি ফলের রস তাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে ধীরে ধীরে আপনি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, সন্তান যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম উচ্চতার হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একবার পেডিয়াট্রিশিয়ানের (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নিন। কারণ এর পেছনে অন্য কোনো শারীরিক কারণও থাকতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস (বাংলা)