খুঁজুন
বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালুর লক্ষ্যে মতবিনিময়

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১২ অপরাহ্ণ
সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালুর লক্ষ্যে মতবিনিময়

মালিক সমিতির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালুর লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১২টায় সুন্দরবন প্রেসক্লাবের হলরুমে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কালিগঞ্জ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কালিগঞ্জ মালিক সমিতির জয়েন্ট সেক্রেটারি তপন কাজী, ক্যাশিয়ার মোঃ রুহুল আমিন গাজী, কালিগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুমন, সাধারণ সম্পাদক তাহের, সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন সরদার ও সজল বাবু, সহসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শাহিন হোসেন প্রমুখ।

সভায় বলা হয়, গেটলক সার্ভিস চালু না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। বিগত সময়ে চালু হওয়া গেটলক সার্ভিস বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পুনরায় যাত্রী সেবার কথা মাথায় রেখে সার্ভিসটি চালু করতে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা ও কালিগঞ্জ বাস মালিক সমিতি গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছেন।

সভায় জানানো হয়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সাতক্ষীরায় সবাই একত্রে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ গেটলক সার্ভিস। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাতক্ষীরা-দেবহাটা-কালিগঞ্জ-শ্যামনগরসহ এই রুটে চলাচলকারী লাখো মানুষ। বাস মালিক সমিতির নেতারা ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এই রুটে চালু হয়নি গেটলক সার্ভিস।

জানা যায়, জেলা শহরের সাথে শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, দেবহাটা উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়ক। ১৯৯৬ সালে শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকাসহ কালিগঞ্জ ও দেবহাটার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মুন্সিগঞ্জ-খুলনা রুটে গেটলক সার্ভিস চালু করা হয়। সার্ভিসটি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। যা চলে টানা ২০১৩ সাল পর্যন্ত। কিন্তু লোকাল বাস মালিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মারাত্মক আকার ধারণ করায় সার্ভিসটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে মালিক সমিতি, প্রশাসন ও কয়েকজন সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে মুন্সিগঞ্জ-সাতক্ষীরা গেটলক সার্ভিস পুনরায় চালু। যা ২০১৫ সাল যেতে না যেতেই আবারো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় চালু করা হলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পর্যটকসহ লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শ্যামনগরের মানুষকে প্রতিদিন দুইবার বাস পরিবর্তন করে জেলা শহরে আসত হয়। এতে পথেই দিন কেটে যায় মানুষের।

অথচ যখন মুন্সিগঞ্জ-খুলনা গেটলক সার্ভিস চালু ছিলো তখন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আধা ঘণ্টা পরপর ও দুপুরের পর থেকে ১ ঘণ্টা পর পর বাস চলাচল করতো। খুুলনা-মুন্সীগঞ্জ গেটলক সার্ভিসের সময় নির্ধারণ করা ছিল মাত্র চার ঘণ্টা। জনপ্রিয় এই সার্ভিসটি চালু হওয়ার কথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেক।

শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

শ্যামনগরে এক দুর্নীতিগ্রস্ত সিপিপি কর্মকর্তার দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় সিপিপি উপজেলা কার্যালয়,(জেসি কমপ্লেক্স)এর সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিপিপি শ্যামনগর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভার সমস্ত নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্যামনগর পৌরসভার সিপিপি টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু, ১নং ইউনিট টিম লিডার নজরুল ইসলাম মুন্না, ২ নং ইউনিট টিম লিডার, ভবেসিন্দু মন্ডল, ৩ নং ইউনিট টিম লিডার হাবিবুর রহমান ৪ নং ইউনিট টিম লিডার ইয়াছিন মোড়ল ৫ নং ইউনিট টিম লিডার রবিন্দ্রনাথ মন্ডল ৬ নং ইউনিট টিম লিডার শাহীন ভূইয়া, ৭ নং ইউনিট টিম লিডার আব্দুর রশিদ নান্টু। ৮ নং ইউনিট টিম লিডার হেলাল মাহমুদ, ৯ নং ইউনিট টিম লিডার দেবাশিস গায়েন সহ অন্যান্য রা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) সহকারী পরিচালক শ্যামনগর মুন্সি নুর মোহাম্মদ, দুর্যোগে কাজ করা সিপিপি সংগঠনকে একটা বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতেছে, সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবী কাজে মনোভাব নষ্ট করছেন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা -২০২১ অনুসারে সিপিপিতে যোগদানের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ নির্ধারণ থাকলেও এই নীতিমালা অমান্য করে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নিপা চক্রবর্তী নামক একজন ৪০ উর্ধ্ব বয়স নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের তানিয়া নামক ১৬ বছর বয়সের নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।

কর্মকর্তার আন অফিসিয়াল তার কথা না শোনার কারনে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মাছুরা নামক নারী স্বেচ্ছাসেবককে বিনা কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কর্মকর্তার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে রমজাননগরের আছমা মেম্বার, ও কৈখালীর রাবিয়া মেম্বারের সিপিপির আই ডি কার্ড দিতে তালবাহানা করেছে।

বক্তারা আরো বলেন:
এভাবে চলতে থাকলে শ্যামনগরের উপকূলীয় আমজনতা সিপিপি থেকে দুর্যোগের সময় সেবা পাবে না:
কর্মকর্তা মুন্সী নুর মোহাম্মদ একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করতে থাকে এবং তার সাথে সঙ্গ না দেওয়ায়, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানি মূলক বেনামী অভিযোগ দিয়ে থাকেন ।

সর্বশেষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নামীয় ব্যক্তির পাঠানো অভিযোগে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, মুন্সি নুর মোহাম্মদ, অভিযোগকারীদের স্থানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ব্যবহার করে ইয়াসিন মোড়ল এবং আব্দুর রশিদ নানটুর নামে পুনরায় অভিযোগ করে,
মিটিং সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে তুই তুকারি করে কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
দুর্যোগের সময় বিশেষ মুহূর্তে অতি প্রয়োজনে কর্মকর্তাকে ফোন করলে ফোন কেটে দেন।
প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকরা অফিসে গেলে কর্মকর্তা বিরক্ত বোধ করেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে একে অপরের সাথে বিরোধ লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।

মন:পুত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে অফিশিয়ালি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বিশেষ করে যারা তার অনিয়ম কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকেন।

টাকার বিনিময়ে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্য সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন,কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদ, তার কাছের ব্যক্তি রমজান নগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক ফারুক হোসেন কে অফিসের নথি প্রকাশ করে, নায্য পুরষ্কার প্রাপ্য নজরুলের ডকুমেন্টস জাল করে ততকালীন ইউ এন ও কাছে প্রেরণ করে

এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকরা মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদের বদলি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সাতক্ষীরার আশাশুনির কুল্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায়  কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

 কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনজুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায়  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স.ম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সদস্য সচিব মশিউর হুদা তুহিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান লাল্টু প্রমূখ।

ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ তৈরি করব। এবং কচুয়ায় একটি কলেজ নির্মাণ করব।

এ সময় তিনি আরো বলেন বিগত ১৭ বছর ধরে আশাশুনি উপজেলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, তার মধ্যে  কুল্যা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে,  এগুলোর উন্নয়ন করবো।

বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে এদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাসহ সাধারণ মানুষ যেমন মায়ের কোলে শিশুরা  নিরাপদ থাকে, তেমনি করে আমার সময়ও নিরাপদে রাখবো। এছাড়া এই অঞ্চলের  জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করব।
জনসভা শেষে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ লক্ষ টাকার শহীদ জিয়া স্মৃতি ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। বুধবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল মাঠে রাজাপুর মধ্যম একসরা যুব সংঘের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন।
ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ বনাম হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাব। খেলার ২২ মিনিটে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের বিদেশি খেলোয়াড় জেরি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘের ইব্রাহিম সমতার গোল করে ম্যাচে ফিরে আসেন।দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ আরও দুই গোল করে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। শেষ পর্যন্ত ৩–১ গোলের ব্যবধানে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাজী আলাউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কাজী আলাউদ্দিন  বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মডেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। যুবকদের মাঠে ফেরাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধকে টেকসই করে তোলা, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা এবং এলাকার ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

খেলাধুলা মানুষের মন–মানসিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি চাই আমাদের এলাকার তরুণরা সুস্থ বিনোদন আর খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুক, দেশের ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হোক।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, ক্রীড়া সুযোগ বৃদ্ধি—সবকিছুর জন্যই আমি কাজ করে যাব। আশাশুনি ও কালিগঞ্জের মানুষের আস্থা অর্জনই আমার মূল লক্ষ্য।