খুঁজুন
সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফাই করবেন যেভাবে

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফাই করবেন যেভাবে

আজকের দিনে একে-অন্যের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ এক মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি হচ্ছে ফেসবুক। বিশ্বব্যাপী ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিমাসে সক্রিয় থাকেন মেটার মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মটিতে। প্রতিদিন সক্রিয় থাকেনে এমন ব্যবহারকারীর সংখ্যাটাও ২০০ কোটির বেশি। আমাদের দেশেও ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটির বেশি।

ফেসবুক যে আজ শুধু ব্যক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন নয়। বরং ব্যবসা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও ফেসবুকের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই যেমন করোনা মহামারীর সময় ফেসবুক পেজ-ভিত্তিক অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ, যেটা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ফেসবুক-ভিত্তিক ব্যবসা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, ই-কমার্সের আদলে ‘এফ-কমার্স’ (ফেসবুক কমার্স) নামটিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। একই ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রেও ফেসবুকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ই-লার্নিংয়ের অনুসরণে ‘এফ-লার্নিং’ (ফেসবুক লার্নিং) নামটি আলোচনায় এসেছে।

ফেসবুকের নানাবিধ ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের আর্থ-সামাজিক জীবনে ফেসবুকের তাৎপর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিজেদের প্রোফাইলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্যবহারকারীদের জন্য। এজন্য ফেসবুকও নিয়ে এসেছে টু-ফ্যাক্টর-অথেনটিকেশনের মতো নিরাপত্তা ফিচার।

পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে ফেসবুকে নিজের পরিচয়কে ফেক বা ভুয়া প্রোফাইলের হাত থেকে রক্ষা করা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর একটি উপায় হচ্ছে ফেসবুক প্রোফাইলকে ভেরিফাই করে নেওয়া।

ফেসবুক ভেরিফিকেশন কী?
ফেসবুকে কোনো প্রোফাইল ভেরিফায়েড হওয়ার অর্থ হচ্ছে উক্ত প্রোফাইলটি ফেসবুক নিজেই আসল (অথেনটিক) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ব্যক্তির আসল প্রোফাইল এটি। ভেরিফায়েড হতে হলে নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হয়। ব্যবহারকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানায়। উল্লেখ্য, ফেসবুকে কোনো প্রোফাইল ভেরিফায়েড হলে তার পাশে ব্লুটিক ব্যাজ দেখতে পাওয়া যায়।

ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফায়েড হলে কী সুবিধা?
প্রোফাইল ভেরিফায়েড হওয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফেসবুকে নিজের পরিচয় সুরক্ষিত রাখতে পারা। অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই আপনার নাম দিয়ে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার ‘আইডেনটিটি’ নিজের বলে দাবী করতে পারবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কখনও আপনার প্রোফাইল হ্যাকড্‌ হলে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনার কাজটিও অনেক সহজ হয়ে যায় যদি অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড হয়ে থাকে। কেননা এক্ষেত্রে আপনি সহজেই ফেসবুকের কাছে নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে পারবেন, কারণ ফেসবুকের কাছে আপনার পরিচয় প্রদানকারী কোনো ডকুমেন্ট (আইডেনটিটি প্রুফ) আগে থেকেই আছে।

সার্বিকভাবে ফেসবুকে কোনো প্রোফাইল যদি ভেরিফায়েড হয় তাহলে সেই প্রোফাইলটি অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠে। পাশাপাশি প্রোফাইলের মালিকের বিশ্বাসযোগ্যতাও বেড়ে যায় অন্যান্যদের কাছে। বিশেষ করে যারা নিজেদের পার্সোনাল ব্র্যান্ড তৈরি করতে ইচ্ছুক তাদের ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফায়েড হলে ‘ব্র্যান্ড’ তৈরির কাজটি সহজ হয়ে যায়।

ফেসবুকে প্রোফাইল ভেরিফাই করবেন যেভাবে
পার্সোনাল প্রোফাইল ভেরিফাই করার জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করার মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সেজন্য প্রথমে লগইন করার পর ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে ‘ভেরিফাই ইওর পেজ অর প্রোফাইল’ সেকশনে বা পেজে যেতে হবে। এবার স্ক্রিনে যে ফর্মটি দেখা যাবে সেটা পূরণ করতে হবে। ‘ভেরিফাই ইওর পেজ অর প্রোফাইল’ পেজটিতে যাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি পেজ না প্রোফাইল ভেরিফাই করতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট বক্সে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের লিঙ্কটি দিতে হবে।

প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আইডেনটিটি প্রুফ বা পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে অপশন রয়েছে ৫টি: ড্রাইভারের লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্যাক্স ফাইলিং, সাম্প্রতিক ইউটিলিটি বিলের কপি ও আর্টিকেল অব ইনকরপোরেশন (আইনী ডকুমেন্ট)।

তবে এই ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে কোনগুলো ফেসবুক গ্রহণ করবে সেটা নির্ভর করছে কারা এগুলো ইস্যু করেছে তার উপর। এছাড়া পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে আপনি যে ডকুমেন্টই জমা দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন না কেন অবশ্যই সেটার ডিজিটাল ভার্সন অর্থাৎ স্ক্যান কপি আপনাকে আপলোড করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ
আপনার প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফিকেশনের দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে জানাতে হবে আপনার অ্যাকাউন্টটি কোন ক্যাটাগরিতে ব্লুটিক পাওয়ার যোগ্য। ফেসবুক নিশ্চিত হতে চায় যে আপনার প্রোফাইল বা অ্যাকাউন্টটি জনগুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, আপনার প্রোফাইলটি ভেরিফায়েড হলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবেন।

এই ধাপের ক্যাটাগরি সেকশনে ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপর যে দেশ বা অঞ্চলে আপনার প্রোফাইলটি জনপ্রিয় সেটা উল্লেখ করে দিতে হবে।

এর ঠিক নিচে দুটি অপশনাল বক্স রয়েছে। প্রথমটিতে আপনার পেজ বা প্রোফাইল ফলো করেন এমন ব্যক্তিবর্গের নাম, কারণ উল্লেখ করে দিতে পারেন। দ্বিতীয় বক্সটিতে আপনার পেজ বা প্রোফাইল যদি অন্য কোনো নামে পরিচিত হয়ে থাকে সেটাও উল্লেখ করার সুযোগ রয়েছে।

এরপর আপনার প্রোফাইলের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে এমন ৫টি আর্টিকেল বা সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্ক সাবমিট করার জন্য ৫টি বক্স রয়েছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, লিঙ্কগুলোর কোনোটাই পেইড বা প্রোমোশনাল হওয়া চলবে না।

তৃতীয় ধাপ
আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ এটি। উপরে যে তথ্যগুলো আপনি দিয়েছেন সেগুলো সঠিক কিনা তা পুনরায় একবার দেখে নিয়ে ফর্মের নিচে সেন্ড বাটনটিতে ক্লিক করে দিতে হবে। আপনার পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই করার অনুরোধ পাওয়ার পর ফেসবুক সেটি যাচাই-বাছাই করবে এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ৪৮ ঘন্টা থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, একবার কোনো প্রোফাইল ভেরিফায়েড হওয়ার মানে এই নয় যে সেটি স্থায়ীভাবে ভেরিফায়েড থাকবে। কেননা ব্যবহারকারী যদি ফেসবুকের কমিউনিটি নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটে এমন কোনো কাজ করে সেক্ষেত্রে ভেরিফায়েড স্ট্যাটাস বা ব্যাজ কেড়েও নিতে পারে ফেসবুক।

উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের প্র্যাকটিস প্রথম শুরু করে এক্স (তৎকালীন টুইটার) ২০০৯ সালে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ভেরিফিকেশন ফিচারটি নিয়ে আসে ফেসবুক।

ফেসবুকে ভেরিফিকেশনের বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ঐচ্ছিক হলেও কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট অবশ্যই ভেরিফায়েড হতে হবে। যেমন বিশাল অংকের সদস্য আছে এমন গ্রুপগুলোর ভেরিফায়েড হওয়া ২০১৮ সাল থেকেই বাধ্যতামূলক করেছে ফেসবুক। এমনকি ব্যক্তিগত প্রোফাইলে ফলোয়ার সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছলে সেক্ষেত্রেও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেসবুক তাঁদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া অনেক সহজ করে এনেছে। উল্লেখ্য, ভেরিফিকেশন ব্যাজ ফেসবুকের অন্যান্য ব্যাজ যেমন টপ ফ্যান ব্যাজ বা টপ সেলার ব্যাজ থেকে আলাদা।

যেমনটা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, অনলাইনে পার্সোনাল ব্র্যান্ডের বিশ্বস্ততা তৈরির ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন বেশ কার্যকর একটি উপায়। পার্সোনাল প্রোফাইলের পাশাপাশি বিজনেস পেজেরও ভেরিফায়েড হওয়ার সুযোগ রয়েছে ফেসবুকে।

কোনো প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফায়েড হওয়ার অর্থই হচ্ছে সাধারণ ব্যবহারকারী ও গ্রাহকদের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠা। পাশাপাশি ফেসবুকে কোনো পেজ ভেরিফায়েড হলে সার্চ রেজাল্টে সে পেজের ভালো অবস্থানে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক গুণ। ফলে নতুন গ্রাহক খুঁজে পেতেও বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে ফেসবুক ভেরিফিকেশন ফিচার।

তথ্যসূত্র: ফেসবুক

ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

সুন্দরবন নিউজ২৪/ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫১ অপরাহ্ণ
ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

রাশিয়ার কাজান শহরে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনকে ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাতারস্তান অঞ্চলের এই শহরে ছয়টি ড্রোন আবাসিক ভবনে এবং একটি ড্রোন একটি শিল্প কারখানায় আঘাত হানে। এই ঘটনার পর রোববার এক ভিডিও বক্তৃতায় পুতিন বলেন, যারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তারা এর বহু গুণ বেশি ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হবে এবং তাদের এই কাজের জন্য অনুশোচনা করতে হবে।

শনিবার সকালের ওই হামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি। তবে রুশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, জানালার কাচ ভেঙে তিনজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের আঘাতে একটি উঁচু ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কাজান শহরটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এটি কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুতিন অতীতে কিয়েভের কেন্দ্রে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে নতুন অগ্রগতির দাবি করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা খারকিভ অঞ্চলের লোজোভা গ্রাম এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের সোনৎসিভকা গ্রাম দখল করেছে।

সোনৎসিভকা রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কুরাখোভের নিকটে অবস্থিত। কুরাখোভে সম্পদসমৃদ্ধ এলাকা রাশিয়ার প্রায় ঘিরে ফেলা হয়ে গেছে এবং এটি মস্কোর জন্য দোনেৎস্ক দখলের চাবিকাঠি হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কো ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যতটা সম্ভব এলাকা দখল করতে চাইছে। ট্রাম্প ইউক্রেন সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো নির্দিষ্ট সমাধানের পরিকল্পনা জানাননি।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এ বছর ১৯০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় বসতি দখল করেছে। ইউক্রেন বর্তমানে জনবল এবং গোলাবারুদের সংকটের কারণে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

১৫ বছরে পুলিশ নজিরবিহীন অন্যায় করেছে: আইজিপি

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
১৫ বছরে পুলিশ নজিরবিহীন অন্যায় করেছে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক কু-প্রভাবে পুলিশ যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পৃথিবীর কোনো পুলিশ করেনি। এসব কর্মকাণ্ড পুলিশকে মারাত্মকভাবে হেয় করেছে। পুলিশ এতটা নির্মম হতে পারে তা চিন্তা করতেই লজ্জা হয়।

শনিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি এ সময় জানান, তিনি সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে পুলিশ সদস্যদের মনের কথা জানার চেষ্টা করছেন। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য কি করা যায়, সেই চেষ্টাই করছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কু-প্রভাব আর আসবে না। তবে সু-প্রভাবের প্রয়োজন আছে।

সারা দেশে মিথ্যা মামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, কোনো নিরপরাধ লোককে গ্রেফতার করা যাবে না। বরং প্রাথমিক তদন্তে নিরপরাধ মনে হলে তাকে গ্রেফতার না করতে তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনতে, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে শনিবার সকালে সিলেটে পৌঁছান আইজিপি বাহারুল আলম। সিলেটে পৌঁছেই এসএমপি সদর দপ্তরে সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন।

প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। শুরুতেই পুলিশ রিফর্ম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়টি পুলিশ রিফর্ম কমিশন চিন্তা করছেন, আমরাও তা চাই। সেটা হলো রাজনৈতিক কুপ্রভাব যেন আর পুলিশের ওপর না পড়ে। সু-প্রভাব আসতে পারে। কারণ রাজনীতিবিদরাই আমাদের কান্ডারি। তারাই দেশ চালাবেন। তবে তাদের কু-প্রভাব থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি।

আইজিপি বলেন, গত ১৫ বছরে দলীয়ভাবে এতো কু-প্রভাব আমাদের ওপর আসছে, হেন অন্যায় নেই যা আমরা করিনি। এটা আপনারাও জানেন আমরাও জানি। এটার জন্য আমরা অত্যন্ত দু:খিত এবং লজ্জিত।

বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা তো সেই বাহিনীর সদস্য, আমাদের মধ্যে সেই উপলব্ধিটা আসে, যখন এসব চিত্র দেখি। যেসব ঘটনা আমরা ঘটিয়েছি, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা পুলিশ ঘটায়নি। সেনাবাহিনী হয়তো যুদ্ধক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে, কিন্তু পুলিশ এতো নির্মম তা আমি ব্যক্তিগতভাবেও ভাবতে পারিনা। এটা রাজনীতিবিদরা কেন করতে গেলেন? দলীয় কিংবা গোষ্ঠির স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এমন আদেশ দেওয়া হলো যে, মানুষের প্রাণ সংহার করে ফেলবেন? আগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতো কিন্তু এভাবে প্রাণে মেরে ফেলবে- এর জবাব আমার কাছে নেই। যে পর্যায়ে পুলিশ চলে গেছে সেখান থেকে উত্তরণ ঘটানোই আমার বড় চ্যালেঞ্জ’।

পুলিশ যে কর্মস্পৃহা হারিয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের সহকর্মীরা মারা গেছে, মব জাস্টিস পুলিশের বিরুদ্ধেও হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে, মানসিকভাবে তাদের মধ্যে ঝড় বয়ে গেছে। শুধু পুলিশ নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঝড় বয়ে গেছে। কারণ আমরা এসব দেখে অভ্যস্ত নই।

তিনি বলেন, পুলিশ যেহেতু একেবারে সামনের সারিতে ছিলো, তার তাদের ওপরেই প্রভাব বেশি পড়েছে। পুলিশ যখন দেখেছে, তার সহকর্মীকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে, আবার কেউ দৌড়ে এসে লাথি মারছে পুলিশকে। কারণ মানুষের ভেতরে এতো ঘৃণা জন্মেছে যে, তা আর মানুষ নিতে পারছে না। আর পুলিশ এইসব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তাদের কর্মস্পৃহা হারিয়েছে। পুলিশের কর্মস্পৃহা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই ঢাকায় বসে না থেকে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের কাছে যাচ্ছি, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা কি ভাবছে, তারা কি চায়- সেগুলো শুনে ব্যবস্থা নেওয়াই আমার কাজ। আমি হয়তো সব পারবো না, তবে তাদের মনের কষ্টের কথা শুনতে চাই, তাতে তাদের মন হয়তো হালকা হবে।

পুলিশ হত্যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা প্রশমনে কি উদ্যোগ নেবেন- এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, পুলিশ এখন একটা মনভাঙা অবস্থায় রয়েছে। যার যা সক্ষমতা ছিলো তাও এখন কাজ করছে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বিশ্বাসটা ভেঙে গেছে, যে আমি আবার মানুষের কাছে যাব, কাজ করবে। ভয়ে, আতংকে, সহকর্মীদের মৃত্যুতে, তারপর আবার দেখেছে যে সিনিয়র অফিসাররা হুকুম দিয়ে পালিয়ে গেছে। কোথাও তো একজন এসপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেউ তো মারা যাননি! যারা মারা গেছে, তারা ইন্সপেক্টর টু কনস্টেবল। তার মানে আমরা অফিসাররা পালিয়ে গেছি পুরো ফোর্সকে অনিরাপদ করে। এখন এই ফোর্সকে আবারও উজ্জীবিত করা বড় চ্যালেঞ্জ।

৫ আগষ্ট ও পরবর্তী সময়ে পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে এক প্রশ্নে আইজিপি বলেন, প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

তিনি বলেন, এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে এসব উদ্ধার করা তখনই সম্ভব হবে, যখন সব মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে। তখন সমাজের মানুষজনই এসব অস্ত্রের খোঁজ দেবে।

এর আগে সারা দেশে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্তে যাদের নিরপরাধ মনে হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তাকে গ্রেফতার করা হবে না। এছাড়া একটি কমিটি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। যে কমিটি তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই নিরপরাধ মানুষকে মামলা থেকে বাদ দিতে পারবেন।

এদিন দুপুরের পর সিলেট পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। তাদের কষ্টের কথা শোনেন। তাদের কষ্ট লাঘবের আশ্বাস দেন।

পাকাপাকি ভাবে ভারত ছাড়ছেন কোহলি!

সুন্দরবন নিউজ২৪/স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ
পাকাপাকি ভাবে ভারত ছাড়ছেন কোহলি!

ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। কোহলির শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মা সম্প্রতি দৈনিক জাগরণ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কোহলি তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে বসবাস শুরু করার চিন্তা করছেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে দ্বিতীয় সন্তান আকায় জন্মের পর থেকেই কোহলি ও আনুশকা পরিবার নিয়ে লন্ডনে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন।

রাজকুমার শর্মা বলেন, ‘হ্যাঁ, বিরাট তার স্ত্রী আনুশকা ও সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। খুব শিগগিরই তিনি ভারত ছেড়ে লন্ডনে স্থায়ী হবেন। তবে আপাতত কোহলি ক্রিকেটের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় পরিবারকে দিচ্ছেন।’

কোহলি ও আনুশকার লন্ডনে নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাদের লন্ডনে কাটানো সময় আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দম্পতি খুব শিগগিরই স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস শুরু করবেন।

৩৬ বছর বয়সী কোহলি ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে কতদিন খেলবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্স কিছুটা ম্লান থাকায় তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভক্ত ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।

১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে র‌্যাঙ্কিংয়ে কোহলি

এ বছরের শুরুতে অবসর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোহলি জানিয়েছিলেন, অবসরের পর দীর্ঘ সময় তাকে আর দেখা যাবে না। আরসিবি-এর সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের একটা শেষ সময় থাকে। তাই আমি আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করছি। আমি চাই না আমার ক্যারিয়ার শেষে কোনো অতৃপ্তি থাকুক।’

কোহলি আরও বলেন, ‘আমি যখন অবসর নেব, তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য হারিয়ে যাব (হাসি)। তাই যতদিন খেলব, ততদিন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এটাই আমাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’

কোহলির এই পরিকল্পনা তার ভক্তদের মধ্যে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কবে তিনি পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান।