খুঁজুন
রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করলেন

ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১২ পূর্বাহ্ণ
তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করলেন

অন্তর্বর্তী সরকার নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গত ৮ নভেম্বর তিন মাস পূর্ণ করছে। এই তিন মাসে যে সব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তার একটি সার-সংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠিয়েছে।

সেখানে আগামীতে যে সব কাজ করবে তারও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
জনপ্রশাসনে পদোন্নতি, বঞ্চিতদের আবেদন পর্যালোচনায় সুপারিশ কার্যক্রম, বিসিএসে বঞ্চিতদের নিয়োগ দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আর আগামীর পরিকল্পনা হিসেবে সকল শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ; পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি; পদোন্নতি বঞ্চিত ও অন্যান্য বঞ্চনার শিকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো সার-সংক্ষেপে বলা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনমূলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং উল্লিখিত সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন বা অন্য কোন বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এমন কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকার কর্তৃক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিগত ৩ মাসে সচিব পদে ১২ জন, গ্রেড-১ পদে ৩ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৩৫ জন, যুগ্মসচিব পদে ২২৬ জন এবং উপসচিব পদে ১২৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যুগ্মসচিব পর্যায়ের ৯৬ জন এবং উপসচিব পর্যায়ের ১৮৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে।

সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এর মাধ্যমে গ্রেড-১ পদে ৬ জন, গ্রেড-২ পদে ১৬ জন, গ্রেড-৩ পদে ১৯৯ জনসহ সর্বমোট ২২১ জনকে অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি/নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
২৮-থেকে ৪১তম ব্যাচ পর্যন্ত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ) পদে নবনিয়োগকৃত ২৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত এবং ২৫ জন সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ)-কে আন্তঃবিভাগীয় বদলি করে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছে। ৫১ জন সিনিয়র সহকারী কমিশনারকে আন্তঃবিভাগীয় বদলি করে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ জন কর্মকর্তার চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ বেতন সংরক্ষণ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৪ জন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৩ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৫৯ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১১৮ জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১৬৫ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।

সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব পদে মোট ২০৯ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে; সহকারী সচিব পদের ৮ জন কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের প্রেষণে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব ১৭ জন, যুগ্মসচিব ৫৯ জন, উপসচিব ১৬৩ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব ১১৫ জন, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা (সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী) ১১১ জন, অন্যান্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৪৭৩ জন।

বিভিন্ন দপ্তর সংস্থায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট/আইন কর্মকর্তা/মেরিন সেফটি অফিসার পদায়ন ৩৯ জন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ ১৮ জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১২ জন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদায়ন ২৫ জন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১৭ জন, চার্জ অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ৪ জন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১৪ জন, জরুরি প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড প্রাপ্ত অফিসারগণকে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ ও ২০ আগস্ট এবং ৬ অক্টোবর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৮তম বিসিএস পযর্ন্ত নিয়োগ স্থগিতকৃত মোট ২৬৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে সহকারী সচিব (নন ক্যাডার) পদে ৩৭ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১০ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দুর্গাপূজার ছুটি ১ দিন থেকে ২ দিন করা হয়েছে। পূর্বের ৩ দিনের সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটিকে বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি ৫ দিন করা হয়েছে এবং ঈদ-উল-আযহার ছুটি ৬ দিন করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ গত ৯০ দিনে ১১ হাজার ৮০৭টি পদ সৃজন, ৩৬ হাজার ১৩১টি পদ সংরক্ষণ, ৩৫টি পদ স্থায়ীকরণ, ৪টি যানবাহন টিওএন্ডইভুক্তকরণ, ৮৩টি পদ স্থানান্তর এবং ৩৬০টি শূন্য পদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন পর্যায়ের পদবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত ৯২৬ জন কর্মকর্তার এসিআরের মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এসিআর সংক্রান্ত ডাটাবেইজে বিগত দুই মাসে ৯ হাজার ৬৫০টি এসিআর এন্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে। বৈদেশিক মাস্টার্স ফেলোশিপে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের এনাম কমিটির অর্গানোগ্রামসহ হালনাগাদ অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ (জেমস) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের ক্যাডার কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্যাদি জেমস সিস্টেমের মাধ্যমে হালনাগাদ করা হয়েছে।

আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মধ্যে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে একাডেমির প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৩৫তম, ১৩৬তম ও ১৩৭তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করা হয়েছে। উক্ত কোর্সসমূহে মোট ৯১ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।

বিপিএটিসি-সাভার, আরপিএটিসি-ঢাকা, আরপিএটিসি-চট্টগ্রাম, আরপিএটিসি-রাজশাহী, আরপিএটিসি-খুলনা থেকে আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সর্বমোট ২ হাজার ৬৭২ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৫৯ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে গত ৯০ দিনে সর্বমোট ৬০ হাজার ৬৭৫ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে এবং সর্বমোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৩০টি পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালের ১২ তলায় সার্জারি ওয়ার্ড ও সার্জারি এলাইড ওয়ার্ড (চক্ষু, নাক, কান ও গলা, অর্থোপেডিক্স, ফিজিক্যাল মেডিসিন) চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের টিবি ডটস কর্ণার, ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং নতুন ৩৫টি কেবিন চালু করা হয়েছে।

জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি)-তে ৮০ জন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার কর্মকর্তার ২০ জন কর্মকর্তার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে এবং ২৬টি ব্যাচে ৬৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিগত ৯০দিনে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারসহ ১৮৪ জন ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাকে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আশু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বলা হয়েছে, সকল শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ; পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পদোন্নতি বঞ্চিত ও অন্যান্য বঞ্চনার শিকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরও ২২০টি প্রতিষ্ঠানের এনাম কমিটির অর্গানোগ্রামসহ হালনাগাদ অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ (জেমস) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

আগামী ৬ মাসে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার ৪ থেকে ১০ এ উন্নীতকরণ; ৮ মাসে কার্ডিয়াক ব্যাথ ল্যাব চালুকরণ; ৬ মাসে কিডনি ডায়ালাসিস স্থাপন; ৮ মাসে চিকিৎসা সেবা বিভাগের সংখ্যা ১৭ থেকে ৩১ এ উন্নীতকরণ এবং আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে হাসপাতালের দৈনিক সেবা প্রদান ৫০০ থেকে ১৫০০-তে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

অনেক প্রজাতির প্রাণীর একাধিকবার দাঁত গজালেও মানুষের ক্ষেত্রে সুস্থ দাঁতের জন্য সুযোগ আসে মাত্র একবারই। তবে এই বাস্তবতা হয়তো শিগগিরই বদলে যেতে পারে।

সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও এখনই এটি মানুষের ওপর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গবেষণাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া জন্য এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, ‘জৈবিক উপায়ে দাঁত প্রতিস্থাপন বা নতুন দাঁত গজানোর ধারণাটিই আমাকে কিংসে নিয়ে এসেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে জ্ঞানের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ করছি।’

ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি.
আজকাল নিখুঁতভাবে হাসতে পারার আশায় অনেকেই ব্রেস বা ইমপ্লান্টের আশ্রয় নেন। তবে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে দাঁত প্রতিস্থাপন সবসময় ঝুঁকিমুক্ত হয় না। ইমপ্লান্টের পর অনেক রোগী নতুন নতুন সম্যার সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘদিন ধরে দন্তচিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। যার কারণে রোগীর পাশাপাশি দন্তচিকিৎসকদের জন্যও এটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিংস কলেজের দন্ত অনুষদের ওরাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল সায়েন্সেস বিভাগের শেষ বর্ষের পিএইচডি শিক্ষার্থী জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘ইমপ্লান্ট করতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় এবং তা সফল করতে হাড় ও ইমপ্লান্টের মধ্যে সঠিক সমন্বয় দরকার। কিন্তু ল্যাবে তৈরি দাঁত স্বাভাবিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে ঠিক আসল দাঁতের মতো। এই দাঁতগুলো হবে বেশি শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী এবং শরীরের পক্ষে আরও উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য—যা ফিলিং বা ইমপ্লান্টের চেয়ে উন্নত সমাধান।’

কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক ধরনের বিশেষ উপাদান তৈরি করেছেন, যা কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম।

এর ফলে এক কোষ অন্য কোষকে দাঁতের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার সংকেত দিতে পারে, যা দাঁত গজানোর স্বাভাবিক পরিবেশ অনুকরণ করে নতুন দাঁত গজায়।

পরীক্ষাগারে দাঁত গজানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছে। সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—এই দাঁত কীভাবে মানুষের মুখে প্রতিস্থাপন করা যাবে তা নির্ধারণ করা।

জুয়েচেং ঝাং
জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘আমাদের কিছু ধারণা রয়েছে—যেমন দাঁতের কোষগুলো সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করা এবং সেগুলোকে সেখানেই গজাতে দেওয়া। অথবা দাঁতটি পুরোপুরি ল্যাবে তৈরি করে পরে তা রোগীর মুখে স্থাপন করা যেতে পারে।’

তবে যেভাবেই হোক, পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে পরীক্ষাগার থেকেই।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধু খাওয়া বা কথা বলায় সমস্যার সৃষ্টি করে না বরং সৌন্দর্যগত ও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের ভেতর দিয়ে মুখের জীবাণু রক্তপ্রবাহে ঢুকে হৃদরোগ ও সংক্রমণের কারণও হতে পারে—যা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

কিংস কলেজের ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল বলেন, ‘দাঁত পুনর্জন্মে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এটি দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এটি আমার চিকিৎসাজীবনের সময়কালে কার্যকর হবে কিনা নিশ্চিত নই, তবে আমার সন্তানরা জীবদ্দশায় সম্ভবত দেখা যাবে। আর তাদের সন্তানেরা হয়তো এটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।