খুঁজুন
রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করলেন

ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:১২ পূর্বাহ্ণ
তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করলেন

অন্তর্বর্তী সরকার নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গত ৮ নভেম্বর তিন মাস পূর্ণ করছে। এই তিন মাসে যে সব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তার একটি সার-সংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠিয়েছে।

সেখানে আগামীতে যে সব কাজ করবে তারও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
জনপ্রশাসনে পদোন্নতি, বঞ্চিতদের আবেদন পর্যালোচনায় সুপারিশ কার্যক্রম, বিসিএসে বঞ্চিতদের নিয়োগ দেওয়ার মতো কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আর আগামীর পরিকল্পনা হিসেবে সকল শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ; পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি; পদোন্নতি বঞ্চিত ও অন্যান্য বঞ্চনার শিকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো সার-সংক্ষেপে বলা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনমূলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং উল্লিখিত সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন বা অন্য কোন বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এমন কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকার কর্তৃক কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিগত ৩ মাসে সচিব পদে ১২ জন, গ্রেড-১ পদে ৩ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৩৫ জন, যুগ্মসচিব পদে ২২৬ জন এবং উপসচিব পদে ১২৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যুগ্মসচিব পর্যায়ের ৯৬ জন এবং উপসচিব পর্যায়ের ১৮৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে।

সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এর মাধ্যমে গ্রেড-১ পদে ৬ জন, গ্রেড-২ পদে ১৬ জন, গ্রেড-৩ পদে ১৯৯ জনসহ সর্বমোট ২২১ জনকে অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতি/নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
২৮-থেকে ৪১তম ব্যাচ পর্যন্ত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ) পদে নবনিয়োগকৃত ২৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত এবং ২৫ জন সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ)-কে আন্তঃবিভাগীয় বদলি করে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছে। ৫১ জন সিনিয়র সহকারী কমিশনারকে আন্তঃবিভাগীয় বদলি করে বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনারের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ জন কর্মকর্তার চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষাসহ বেতন সংরক্ষণ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৪ জন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৩ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ৫৯ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১১৮ জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা নিয়োগ/বদলি ১৬৫ জন, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।

সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব পদে মোট ২০৯ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে; সহকারী সচিব পদের ৮ জন কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের প্রেষণে নিয়োগ/বদলি করা হয়েছে অতিরিক্ত সচিব ১৭ জন, যুগ্মসচিব ৫৯ জন, উপসচিব ১৬৩ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব ১১৫ জন, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা (সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী) ১১১ জন, অন্যান্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৪৭৩ জন।

বিভিন্ন দপ্তর সংস্থায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট/আইন কর্মকর্তা/মেরিন সেফটি অফিসার পদায়ন ৩৯ জন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ ১৮ জন, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১২ জন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদায়ন ২৫ জন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১৭ জন, চার্জ অফিসার পদে কর্মকর্তা পদায়ন ৪ জন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী পদে কর্মকর্তা পদায়ন ১৪ জন, জরুরি প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড প্রাপ্ত অফিসারগণকে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ ও ২০ আগস্ট এবং ৬ অক্টোবর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৮তম বিসিএস পযর্ন্ত নিয়োগ স্থগিতকৃত মোট ২৬৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে সহকারী সচিব (নন ক্যাডার) পদে ৩৭ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১০ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দুর্গাপূজার ছুটি ১ দিন থেকে ২ দিন করা হয়েছে। পূর্বের ৩ দিনের সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটিকে বৃদ্ধি করে ২০২৫ সালে ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি ৫ দিন করা হয়েছে এবং ঈদ-উল-আযহার ছুটি ৬ দিন করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ গত ৯০ দিনে ১১ হাজার ৮০৭টি পদ সৃজন, ৩৬ হাজার ১৩১টি পদ সংরক্ষণ, ৩৫টি পদ স্থায়ীকরণ, ৪টি যানবাহন টিওএন্ডইভুক্তকরণ, ৮৩টি পদ স্থানান্তর এবং ৩৬০টি শূন্য পদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন পর্যায়ের পদবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত ৯২৬ জন কর্মকর্তার এসিআরের মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এসিআর সংক্রান্ত ডাটাবেইজে বিগত দুই মাসে ৯ হাজার ৬৫০টি এসিআর এন্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে। বৈদেশিক মাস্টার্স ফেলোশিপে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

১৪৯টি প্রতিষ্ঠানের এনাম কমিটির অর্গানোগ্রামসহ হালনাগাদ অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ (জেমস) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের ক্যাডার কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথ্যাদি জেমস সিস্টেমের মাধ্যমে হালনাগাদ করা হয়েছে।

আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মধ্যে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে গত ১৫ অক্টোবর থেকে একাডেমির প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত ও প্রযুক্তিগত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৩৫তম, ১৩৬তম ও ১৩৭তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করা হয়েছে। উক্ত কোর্সসমূহে মোট ৯১ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন।

বিপিএটিসি-সাভার, আরপিএটিসি-ঢাকা, আরপিএটিসি-চট্টগ্রাম, আরপিএটিসি-রাজশাহী, আরপিএটিসি-খুলনা থেকে আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সর্বমোট ২ হাজার ৬৭২ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৫৯ জন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে গত ৯০ দিনে সর্বমোট ৬০ হাজার ৬৭৫ জনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে এবং সর্বমোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৩০টি পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালের ১২ তলায় সার্জারি ওয়ার্ড ও সার্জারি এলাইড ওয়ার্ড (চক্ষু, নাক, কান ও গলা, অর্থোপেডিক্স, ফিজিক্যাল মেডিসিন) চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের টিবি ডটস কর্ণার, ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং নতুন ৩৫টি কেবিন চালু করা হয়েছে।

জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি)-তে ৮০ জন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার কর্মকর্তার ২০ জন কর্মকর্তার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে এবং ২৬টি ব্যাচে ৬৭৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিয়াম ফাউন্ডেশনে বিগত ৯০দিনে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারসহ ১৮৪ জন ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাকে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আশু কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বলা হয়েছে, সকল শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ; পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পদোন্নতি বঞ্চিত ও অন্যান্য বঞ্চনার শিকার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরও ২২০টি প্রতিষ্ঠানের এনাম কমিটির অর্গানোগ্রামসহ হালনাগাদ অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ (জেমস) সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

আগামী ৬ মাসে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার ৪ থেকে ১০ এ উন্নীতকরণ; ৮ মাসে কার্ডিয়াক ব্যাথ ল্যাব চালুকরণ; ৬ মাসে কিডনি ডায়ালাসিস স্থাপন; ৮ মাসে চিকিৎসা সেবা বিভাগের সংখ্যা ১৭ থেকে ৩১ এ উন্নীতকরণ এবং আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে হাসপাতালের দৈনিক সেবা প্রদান ৫০০ থেকে ১৫০০-তে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

শ্যামনগরে এক দুর্নীতিগ্রস্ত সিপিপি কর্মকর্তার দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় সিপিপি উপজেলা কার্যালয়,(জেসি কমপ্লেক্স)এর সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিপিপি শ্যামনগর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভার সমস্ত নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্যামনগর পৌরসভার সিপিপি টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু, ১নং ইউনিট টিম লিডার নজরুল ইসলাম মুন্না, ২ নং ইউনিট টিম লিডার, ভবেসিন্দু মন্ডল, ৩ নং ইউনিট টিম লিডার হাবিবুর রহমান ৪ নং ইউনিট টিম লিডার ইয়াছিন মোড়ল ৫ নং ইউনিট টিম লিডার রবিন্দ্রনাথ মন্ডল ৬ নং ইউনিট টিম লিডার শাহীন ভূইয়া, ৭ নং ইউনিট টিম লিডার আব্দুর রশিদ নান্টু। ৮ নং ইউনিট টিম লিডার হেলাল মাহমুদ, ৯ নং ইউনিট টিম লিডার দেবাশিস গায়েন সহ অন্যান্য রা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) সহকারী পরিচালক শ্যামনগর মুন্সি নুর মোহাম্মদ, দুর্যোগে কাজ করা সিপিপি সংগঠনকে একটা বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতেছে, সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবী কাজে মনোভাব নষ্ট করছেন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা -২০২১ অনুসারে সিপিপিতে যোগদানের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ নির্ধারণ থাকলেও এই নীতিমালা অমান্য করে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নিপা চক্রবর্তী নামক একজন ৪০ উর্ধ্ব বয়স নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের তানিয়া নামক ১৬ বছর বয়সের নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।

কর্মকর্তার আন অফিসিয়াল তার কথা না শোনার কারনে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মাছুরা নামক নারী স্বেচ্ছাসেবককে বিনা কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কর্মকর্তার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে রমজাননগরের আছমা মেম্বার, ও কৈখালীর রাবিয়া মেম্বারের সিপিপির আই ডি কার্ড দিতে তালবাহানা করেছে।

বক্তারা আরো বলেন:
এভাবে চলতে থাকলে শ্যামনগরের উপকূলীয় আমজনতা সিপিপি থেকে দুর্যোগের সময় সেবা পাবে না:
কর্মকর্তা মুন্সী নুর মোহাম্মদ একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করতে থাকে এবং তার সাথে সঙ্গ না দেওয়ায়, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানি মূলক বেনামী অভিযোগ দিয়ে থাকেন ।

সর্বশেষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নামীয় ব্যক্তির পাঠানো অভিযোগে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, মুন্সি নুর মোহাম্মদ, অভিযোগকারীদের স্থানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ব্যবহার করে ইয়াসিন মোড়ল এবং আব্দুর রশিদ নানটুর নামে পুনরায় অভিযোগ করে,
মিটিং সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে তুই তুকারি করে কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
দুর্যোগের সময় বিশেষ মুহূর্তে অতি প্রয়োজনে কর্মকর্তাকে ফোন করলে ফোন কেটে দেন।
প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকরা অফিসে গেলে কর্মকর্তা বিরক্ত বোধ করেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে একে অপরের সাথে বিরোধ লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।

মন:পুত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে অফিশিয়ালি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বিশেষ করে যারা তার অনিয়ম কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকেন।

টাকার বিনিময়ে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্য সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন,কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদ, তার কাছের ব্যক্তি রমজান নগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক ফারুক হোসেন কে অফিসের নথি প্রকাশ করে, নায্য পুরষ্কার প্রাপ্য নজরুলের ডকুমেন্টস জাল করে ততকালীন ইউ এন ও কাছে প্রেরণ করে

এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকরা মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদের বদলি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সাতক্ষীরার আশাশুনির কুল্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায়  কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

 কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনজুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায়  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স.ম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সদস্য সচিব মশিউর হুদা তুহিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান লাল্টু প্রমূখ।

ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ তৈরি করব। এবং কচুয়ায় একটি কলেজ নির্মাণ করব।

এ সময় তিনি আরো বলেন বিগত ১৭ বছর ধরে আশাশুনি উপজেলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, তার মধ্যে  কুল্যা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে,  এগুলোর উন্নয়ন করবো।

বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে এদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাসহ সাধারণ মানুষ যেমন মায়ের কোলে শিশুরা  নিরাপদ থাকে, তেমনি করে আমার সময়ও নিরাপদে রাখবো। এছাড়া এই অঞ্চলের  জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করব।
জনসভা শেষে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ লক্ষ টাকার শহীদ জিয়া স্মৃতি ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। বুধবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল মাঠে রাজাপুর মধ্যম একসরা যুব সংঘের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন।
ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ বনাম হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাব। খেলার ২২ মিনিটে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের বিদেশি খেলোয়াড় জেরি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘের ইব্রাহিম সমতার গোল করে ম্যাচে ফিরে আসেন।দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ আরও দুই গোল করে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। শেষ পর্যন্ত ৩–১ গোলের ব্যবধানে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাজী আলাউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কাজী আলাউদ্দিন  বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মডেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। যুবকদের মাঠে ফেরাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধকে টেকসই করে তোলা, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা এবং এলাকার ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

খেলাধুলা মানুষের মন–মানসিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি চাই আমাদের এলাকার তরুণরা সুস্থ বিনোদন আর খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুক, দেশের ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হোক।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, ক্রীড়া সুযোগ বৃদ্ধি—সবকিছুর জন্যই আমি কাজ করে যাব। আশাশুনি ও কালিগঞ্জের মানুষের আস্থা অর্জনই আমার মূল লক্ষ্য।