খুঁজুন
শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেতন ১৩ হাজার, চোখে হীরার চশমা আর বান্ধবীকে বিএমডাব্লিউ উপহার, কে সে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
বেতন ১৩ হাজার, চোখে হীরার চশমা আর বান্ধবীকে বিএমডাব্লিউ উপহার, কে সে?

চাকরি চুক্তিভিত্তিক। মাসিক বেতন ১৩ হাজার রুপি। অথচ সেই কর্মীর বিলাসী জীবনের গল্প শুনলে তাজ্জব বনে যেতে হবে। তিনি চোখে যে চশমাটি পরেন তাতে হীরা বসানো। বান্ধবীকে উপহার দিয়েছেন বিএমডাব্লিউ গাড়ি। শুধু কি তাই? বিলাসবহুল সুপরিসর বিএইচকে ফ্ল্যাটও দিয়েছেন প্রেয়সীর মন পেতে।

ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সবিষয়ক প্রশাসনিক বিভাগে কাজ করেন আলোচিত ব্যক্তি।

নিউজএইটিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজ ওই কর্মীর নাম হর্ষ কুমার ক্ষীরসাগর। তিনি তার কয়েকজন শাগরেদকে নিয়ে সরকারি কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি করেছেন। যার অংক ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৮ হাজার রুপি। জাল নথির সাহায্যে সংশ্লিষ্ট অ্য়াকাউন্টের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা যুক্ত করে তিনি এই টাকা সরিয়েছেন। ওই টাকা দিয়েই বিলাসী জীবন যাপন করছেন হর্ষ।

ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চুরির টাকা দিয়েই একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি ও একটি বিএমডাব্লিউ বাইক কেনেন হর্ষ। পাশাপাশি বিমানবন্দরের কাছেই এক ফোর বিএইচকে ফ্ল্যাটও কেনেন ওই যুবক। সূত্রের দাবি, এই গাড়ি ও ফ্ল্যাট তিনি বান্ধবীকে উপহার দেওয়ার জন্য কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়; এরপর হর্ষ কুমার শহরের একটি নামজাদা গহনার দোকানের যান। এবং সেখান থেকে হীরা বসানো একটি চশমা তৈরি করান, যা দেখে আশপাশের সবারই চোখ কপালে উঠে যায়।

ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, হর্ষের এই পুকুরচুরিতে আরও দুজন জড়িত। তারা হলেন—যশোদা শেট্টি ও তার স্বামী বিকে জীবন। যশোদাও একটি সরকারি দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সম্প্রতি বিকেও একটি এসইউভি কিনেছেন। যার দাম ৩৫ লাখ রুপি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই এসইউভি চড়েই নাকি চম্পট দিয়েছেন হর্ষ।

হর্ষের দুর্নীতির প্রায় ছয় মাস পর এ ঘটনা টের পান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের তরফে কোনো বিবৃতি সামনে আসেনি।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

শ্যামনগরে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য রাশিদুল গ্রেপ্তার

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ
শ্যামনগরে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য রাশিদুল গ্রেপ্তার

আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য রাশিদুল ইসলাম (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনা ব্রিজ এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।

শ্যামনগর-সাতক্ষীরা-যশোর এলাকার মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট বাক্কার বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান রাশিদুল উপজেলার বংশীপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।

এসময় তার নিকট থেকে একটি চোরাই ডিসকভার ১২৫ সিসির মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবীর মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে চুনার ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে মোটর সাইকেলটি বন্ধ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। পরে মোটর সাইকেল মালিক মোহাম্মদ আলীর দায়েরকৃত চুরির মামলায় শুক্রবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার ও সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির ১০টি মামলা রয়েছে। জামিন নিয়ে বাইরে এসে রাশিদুল ও তার লোকজন একই অপকর্মে জড়িত হয় বলেও তিনি জানান।

আজহারীকে বরণ করতে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:২০ অপরাহ্ণ
আজহারীকে বরণ করতে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা

যেদিকেই চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সূচি অনুযায়ী, বয়ান দেওয়ার জন্য রাত ৮টায় মঞ্চে ওঠার কথা মিজানুর রহমান আজহারীর। তবে দুপুর থেকেই কানায় কানায় ভরে গেছে গোটা মাহফিল এলাকা। যদিও সকাল থেকেই আসতে শুরু করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তাকে বরণ করতে বিছানো হয়েছে লাল গালিচা।

তাফসির ময়দানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন। জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী আজ রাত ৮টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে পেকুয়া আসার কথা রয়েছে এবং তিনি রাত ১০টায় আলোচনা করবেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিজানুর রহমান আজহারীকে মাহফিল করতে না দেওয়া ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে মাহফিল হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে পেকুয়ার ওয়াজ মাহফিলে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষের জমায়েত হয়েছে।

মাহফিল কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তাগণ বক্তব্য রাখবেন।

ইতোমধ্যে কক্সবাজারে নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে জেলা পুলিশের ১০০ সদস্যের বিশেষ টিম পেকুয়ায় অবস্থান করছে। মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের এ বিশেষ টিম কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনী, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। অনেক লোক জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা পুলিশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে পেকুয়া থানা পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ১০০ সদস্যদের পুলিশের বিশেষ টিম পেকুয়ায় কাজে নেমে পড়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনী, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা মাঠে রয়েছে, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী দেশে এসেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস শেয়ার করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে দেশে এসে পৌঁছালাম।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন

সুন্দরবন নিউজ২৪ /ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪০ পূর্বাহ্ণ
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ড. মনমোহন সিং ৯২ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৫১ মিনিটে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে চেতনা হারান মনমোহন সিং। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে তাকে এআইআইএমএসের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। গুরুতর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাকে তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও তার চেতনা ফেরানো সম্ভব হয়নি। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মনমোহন সিং বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এর আগে, তিনি বেশ কয়েকটি গুরুতর শারীরিক সমস্যা মোকাবিলা করেছিলেন।

শৈশব ও শিক্ষা

১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পাঞ্জাবের গাহ্ গ্রামে এক শিখ পরিবারে জন্ম নেন মনমোহন সিং। বর্তমান পাকিস্তানের অংশ হওয়া সেই গ্রামে শৈশব কাটালেও দেশভাগের পর তার পরিবার ভারতের অমৃতসরে চলে আসে। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে ঠাকুমার কাছে বড় হন তিনি। প্রথমে উর্দু মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে পাঞ্জাবি ও গুরুমুখী ভাষাতেও দক্ষতা অর্জন করেন।

রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবন

১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে মনমোহন সিংয়ের কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে ভারত অর্থনৈতিক সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়।

২০০৪ সালে কংগ্রেস জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দুই মেয়াদে (২০০৪-২০১৪) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছায়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প তার শাসনামলের উল্লেখযোগ্য অর্জন।

শেষ অধ্যায়

চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজ্যসভা থেকে অবসর নেন মনমোহন সিং। এর আগে, ২০০৯ সালে তার সফল করোনারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয় এবং ২০২১ সালে তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। তবে এসব শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন।

শোকের ছায়া

মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

স্মরণীয় অবদান

ড. মনমোহন সিং তার সততা, নীতিবোধ এবং দক্ষ নেতৃত্বের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার নেতৃত্বে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও কূটনৈতিক সাফল্য দেশের ইতিহাসে নতুন দিক উন্মোচন করেছে।

এই মহান নেতার প্রয়াণে ভারতীয় রাজনীতিতে এক শূন্যতা তৈরি হলো, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।