খুঁজুন
রবিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাটগ্রাম সীমান্তে এবার বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
পাটগ্রাম সীমান্তে এবার বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের

নওগাঁর বস্তাবর সীমান্তের পর এবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগাম ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তবে খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ কাজ বন্ধ রাখে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে হওয়া এ ঘটনার পর মুন্সিপাড়া সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মুন্সিপাড়া সীমান্তের ডিএএমপি ৮/৪১ নম্বর পিলার লাগোয়া শূন্যরেখা বরাবর ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করেন দেশটির রাণীনগর ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় বিজিবি সদস্য বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং বাধা দেন। বিজিবির প্রতিবাদের মুখে এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। দহগাম ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর আধ কিলোমিটার এলাকায় বিএসএফের আনুমানিক তিন ফিট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের খবর শুনে সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। প্রথমে তারা বাধা উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছে। এরপর বিজিবি প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখে।

রংপুর ৫১ বিজিবির পানবাড়ি কোম্পানি কমান্ডার জামিল আহমেদ বলেন, আমাদের টহল দল সার্বক্ষণিকভাবে সীমান্তে অবস্থান ও নজরদারি বাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে দেড়শ গজের মধ্যে উভয় দেশ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করার নিয়ম নেই। এর আগে গত বুধবার আলোচনা ছাড়াই নওগাঁর বস্তাবর সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের চেষ্টা করে বিএসএফ। তবে বিজিবির তীব্র প্রতিবাদে বিএসএফ সদস্যরা ফিরে যান।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া ও রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত উত্তেজনাকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। টানা চতুর্থবারের মতো গত বুধবার বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকের পর অনুমতি ছাড়া সীমান্তে বেড়া ও রাস্তা নির্মাণ করবে না বলে সম্মত হয়েছে বিএসএফ। তবে ওই সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে, চলছে নিয়মিত টহল।
তবে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের কিছু দূরে গতকাল উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সীমান্ত এলাকায় ভিড় এড়াতে কাজ করছেন বিজিবি সদস্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। সীমান্তে আপাতত বিএসএফ রাস্তা বা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে সতর্কভাবে বিজিবি নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।

দিনের শুরুতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
দিনের শুরুতে  প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব। এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক।

শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২৫ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার দেওয়া দুই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে! আর এতেই বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর সামনে কি তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসছে?

বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তাদের মধ্যে একজন। ২০২৫ সাল শুরুর আগেই, বাবা ভাঙ্গার দুটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয়ে উঠেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ দিনেই তার পূর্বাভাসের অনেক কিছুই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের মানুষের মনে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে পৃথিবী একটি ভয়ংকর ভাইরাসের শিকার হবে, যা দ্রুত ছড়াবে এবং বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ২০২৫ সালের মাত্র ৯ জানুয়ারি, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়াতে শুরু করেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রেখেছে।

সেসময় বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ২০২৫ সালে পৃথিবী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। ঠিক ৯ জানুয়ারি, চীনে একটি ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে বিশাল দাবানল চলছে, যা বহু মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ হবে, যা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটাবে। যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন নতুন দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এই দিক থেকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে সেই আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ইউরোপে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে এবং এতে ভ্লাদিমির পুতিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাবে এবং মেরুবরফও গলে যাবে। এর ফলে সমুদ্রের স্তর উপরে চলে আসবে এবং পৃথিবীর বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং বিশ্বের অনেক জায়গা হারিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বুলগেরিয়ান এই নারী জ্যোতিষীর ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। অন্তত তার অনুসারীরা তাই মনে করেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তার আগে তিনি পৃথিবীর বুকে ঘটতে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়ে গিয়েছেন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বজুড়ে এখনো অনেকেই তার ভবিষ্যদ্বাণী বেশ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। রয়েছে বাবা ভাঙ্গার বহু অনুসারীও। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে এক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মারা যাবেন। আর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঠিক সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

ইসমাইল হোসেন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে মুন্সিগঞ্জ জামাতে ইসলামীর কার্যালয়ের শনিবার ( ১১ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায়। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাবলুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের গাজী নজরুল ইসলাম, সম্মানিত অতিথি , বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য, মাওলানা আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার আবদুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার ,গাজী আবুল হোসেন, বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন ,সাধারণ সম্পাদক ,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের, মাওলানা মিজান ।

উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আয়ুব আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান (তালেব) , সদস্য ইসমাইল হোসেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখায় , বাবলুর রহমান মোল্লাকে, সভাপতি ও শওকাত হোসেন পাড় কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দিয়ে শপথ পড়ানো হয়।