খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শারজাহতে ইতিহাস গড়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
শারজাহতে ইতিহাস গড়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইতিহাসটা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না কখনোই। এর আগে খেলা সব ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও অনেকটা এগিয়ে থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে হারতে হয় বাংলাদেশকে। তবে এবারে আর ভুল হয়নি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটায় শেষ হাসি বাংলাদেশের।

ব্যাট হাতে নাজমুল শান্ত, জাকের আলী অনিকের পর বল হাতে দারুণ পারফর্ম করে ৬৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে শারজাহ স্টেডিয়ামে প্রথম জয়ের পাশাপাশি তিন ম্যাচের সিরিজেও সমতায় ফিরেছে দল। দুই ম্যাচ শেষে আছে ১-১ সমতা। ১১ তারিখের ম্যাচটায় হবে সিরিজ নির্ধারণ।

শারজাহর তুলনামূলক ধীরগতির উইকেটে বাংলাদেশের স্কোরটা ছিল বেশ চলনসই। স্কোরবোর্ডে ২৫২ রানের জুটি থেকে নির্ভার হওয়ার সুযোগ ছিল। চতুর্থ ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে সেই ইঙ্গিতটাও দিয়ে রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে গুরবাজ ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা সৌম্যর হাতে। এরপরেই বাংলাদেশ ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিলেন সেদিকুল্লাহ আতাল এবং রহমত শাহ।

মাঝে জাকের আলী অনিক স্ট্যাম্পের পেছনে স্ট্যাম্পিং এবং ক্যাচ দুইই ছেড়েছেন। ৫২ রানের সেই জুটি ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। মিরাজ নিয়েছিলেন দারুণ এক ক্যাচ। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদী আর রহমত শাহর পরের জুটি ৪৩ রানের। তখনো আফগানিস্তানের হাতেই ছিল ম্যাচ।

যদিও দৃশ্যপট বদল হতে সময় লাগলো না খুব একটা। একটা উইকেট যেন অদৃশ্য সুতো হয়ে টান দিলো আরও দুই উইকেটকে। ১১৮ রানে হাসমতউল্লাহ আউটের পরেই নাসুমের ওভারে আফগানিস্তান হারালো আরও দুই উইকেট। ১১৮ রানে ২ উইকেট থেকে ১১৯ রানে ৫ উইকেট। বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে সেখানেই।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ নিয়েছিলেন শরীফুল ইসলাম। হাশমতউল্লাহ চেয়েছিলেন বিগ শট খেলতে। কিন্তু ফাইন লেগে একেবারেই বাউন্ডারি লাইনে থাকা শরিফুলের হাতে জমা পড়ে ক্যাচ ক্যাচ। মোস্তাফিজ উইকেট পেয়েছিলেন পঞ্চম বলে। নাসুমের করা পরের ওভারে রহমত শাহ ১ রান নেন। এর পরের বলেই আজমতউল্লাহকে আউট করেন নাসুম।

সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন আজমতউল্লাহ। দুই বল বিরতি দিয়েই হাস্যকর রানআউট ফিফটি করা রহমত শাহ। ভুল বুঝাবুঝিতে দুই ব্যাটারই চলে যান অপরপ্রান্তে। জাকির বল ঠাণ্ডা মাথায় পাঠালেন এই প্রান্তে থাকা নাসুমের হাতে। ৬ বলের মাথায় নিজেদের তৃতীয় উইকেট পেল বাংলাদেশ। তবে ক্রিজে আগে গিয়েছিলেন গুলবাদিন। আউট হতে হয় রহমত শাহকে।

গুলবাদিন বিধ্বংসী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শরীফুলের ওভারে তিন বলে এসেছিল ১২ রান। পরের বলেই অবশ্য শরিফুলের বুদ্ধিদীপ্ত চালে ক্যাচ দিলেন তাওহীদ হৃদয়কে। পরের ওভারেই মিরাজের দারুণ সুইংয়ে পরাস্ত মোহাম্মদ নবী। সরাসরি বোল্ডে ফিরতে হলো তাকে। রশিদ খানকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। চিরচেনা স্লোয়ারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন আফগান অলরাউন্ডারকে। আর শেষ উইকেট গিয়েছে নাসুমের ঝুলিতেই। আল্লাহ গাজানফারকে বোল্ড করে ৬৮ রানের জয় নিশ্চিত করেন এই স্পিনার।

এর আগে শারজাহতে এদিন টসে জিতেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুটা খানিক ধীরগতির হলেও এদিন শুরু থেকেই শক্ত ভিত করেছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তানজিদ তামিম ২২ রানে ফিরলেও সৌম্য সরকার আর নাজমুল শান্তর জুটি থেকে আসে ৭১ রান। সৌম্য ৩৫ রানে ফিরলেও ফিফটি ঠিকই তুলে নেন অধিনায়ক শান্ত। তৃতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গ দিয়ে ৫১ রানের জুটি করেছিলেন মিরাজ।

যদিও এদিন আরেকবার ব্যাটিং ধস নেমেছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। ১৭৪ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হতে সময় লাগেনি। নানগালিয়ে খারোতের তিন আঘাতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৬ রানের পরেও সেই সময় কিছুটা বিবর্ণই ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড। এরপরেই আসে জাকের আলী অনিক এবং নাসুম আহমেদের দুই ক্যামিও।

এক চার এবং দুই ছক্কায় নাসুম আহমেদ করেন ২৪ বলে ২৫ রান। আল্লাহ গাজানফারের ধীরগতির বলে যখন ফিরেছেন নাসুম, দলের স্কোর তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩০। তবে ৭ম উইকেট জুটিতে ততক্ষণে ৪১ বলে ৪৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাই শেষ পর্যন্ত হয়ে থাকল বাংলাদেশ ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট। জাকের আলী অনিক শেষদিকে চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টার সুবাদেই বাংলাদেশ পার করল ২৫০ রানের ল্যান্ডমার্ক।

জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে কার্যকরী ৩৭ রান। ৩ ছক্কা আর ১ চারে গড়া তার এই ইনিংসের সুবাদেই বাংলাদেশের স্কোর হলো ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান। সিরিজে সমতা আর শারজাহতে নিজেদের প্রথম জয়ের জন্য সেটাই হয়ে ছিল যথেষ্ট।

ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

সুন্দরবন নিউজ২৪/ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৫১ অপরাহ্ণ
ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের

রাশিয়ার কাজান শহরে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনকে ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) তাতারস্তান অঞ্চলের এই শহরে ছয়টি ড্রোন আবাসিক ভবনে এবং একটি ড্রোন একটি শিল্প কারখানায় আঘাত হানে। এই ঘটনার পর রোববার এক ভিডিও বক্তৃতায় পুতিন বলেন, যারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়, তারা এর বহু গুণ বেশি ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হবে এবং তাদের এই কাজের জন্য অনুশোচনা করতে হবে।

শনিবার সকালের ওই হামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো হতাহতের খবর জানানো হয়নি। তবে রুশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, জানালার কাচ ভেঙে তিনজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রোনের আঘাতে একটি উঁচু ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কাজান শহরটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এটি কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুতিন অতীতে কিয়েভের কেন্দ্রে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে নতুন অগ্রগতির দাবি করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা খারকিভ অঞ্চলের লোজোভা গ্রাম এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের সোনৎসিভকা গ্রাম দখল করেছে।

সোনৎসিভকা রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কুরাখোভের নিকটে অবস্থিত। কুরাখোভে সম্পদসমৃদ্ধ এলাকা রাশিয়ার প্রায় ঘিরে ফেলা হয়ে গেছে এবং এটি মস্কোর জন্য দোনেৎস্ক দখলের চাবিকাঠি হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কো ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যতটা সম্ভব এলাকা দখল করতে চাইছে। ট্রাম্প ইউক্রেন সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো নির্দিষ্ট সমাধানের পরিকল্পনা জানাননি।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এ বছর ১৯০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় বসতি দখল করেছে। ইউক্রেন বর্তমানে জনবল এবং গোলাবারুদের সংকটের কারণে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

১৫ বছরে পুলিশ নজিরবিহীন অন্যায় করেছে: আইজিপি

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
১৫ বছরে পুলিশ নজিরবিহীন অন্যায় করেছে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক কু-প্রভাবে পুলিশ যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পৃথিবীর কোনো পুলিশ করেনি। এসব কর্মকাণ্ড পুলিশকে মারাত্মকভাবে হেয় করেছে। পুলিশ এতটা নির্মম হতে পারে তা চিন্তা করতেই লজ্জা হয়।

শনিবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি এ সময় জানান, তিনি সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে পুলিশ সদস্যদের মনের কথা জানার চেষ্টা করছেন। তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য কি করা যায়, সেই চেষ্টাই করছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কু-প্রভাব আর আসবে না। তবে সু-প্রভাবের প্রয়োজন আছে।

সারা দেশে মিথ্যা মামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, কোনো নিরপরাধ লোককে গ্রেফতার করা যাবে না। বরং প্রাথমিক তদন্তে নিরপরাধ মনে হলে তাকে গ্রেফতার না করতে তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে আনতে, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে শনিবার সকালে সিলেটে পৌঁছান আইজিপি বাহারুল আলম। সিলেটে পৌঁছেই এসএমপি সদর দপ্তরে সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন।

প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। শুরুতেই পুলিশ রিফর্ম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়টি পুলিশ রিফর্ম কমিশন চিন্তা করছেন, আমরাও তা চাই। সেটা হলো রাজনৈতিক কুপ্রভাব যেন আর পুলিশের ওপর না পড়ে। সু-প্রভাব আসতে পারে। কারণ রাজনীতিবিদরাই আমাদের কান্ডারি। তারাই দেশ চালাবেন। তবে তাদের কু-প্রভাব থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি।

আইজিপি বলেন, গত ১৫ বছরে দলীয়ভাবে এতো কু-প্রভাব আমাদের ওপর আসছে, হেন অন্যায় নেই যা আমরা করিনি। এটা আপনারাও জানেন আমরাও জানি। এটার জন্য আমরা অত্যন্ত দু:খিত এবং লজ্জিত।

বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা তো সেই বাহিনীর সদস্য, আমাদের মধ্যে সেই উপলব্ধিটা আসে, যখন এসব চিত্র দেখি। যেসব ঘটনা আমরা ঘটিয়েছি, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা পুলিশ ঘটায়নি। সেনাবাহিনী হয়তো যুদ্ধক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে, কিন্তু পুলিশ এতো নির্মম তা আমি ব্যক্তিগতভাবেও ভাবতে পারিনা। এটা রাজনীতিবিদরা কেন করতে গেলেন? দলীয় কিংবা গোষ্ঠির স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এমন আদেশ দেওয়া হলো যে, মানুষের প্রাণ সংহার করে ফেলবেন? আগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতো কিন্তু এভাবে প্রাণে মেরে ফেলবে- এর জবাব আমার কাছে নেই। যে পর্যায়ে পুলিশ চলে গেছে সেখান থেকে উত্তরণ ঘটানোই আমার বড় চ্যালেঞ্জ’।

পুলিশ যে কর্মস্পৃহা হারিয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের সহকর্মীরা মারা গেছে, মব জাস্টিস পুলিশের বিরুদ্ধেও হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে অত্যন্ত কষ্টের মধ্য দিয়ে, মানসিকভাবে তাদের মধ্যে ঝড় বয়ে গেছে। শুধু পুলিশ নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ঝড় বয়ে গেছে। কারণ আমরা এসব দেখে অভ্যস্ত নই।

তিনি বলেন, পুলিশ যেহেতু একেবারে সামনের সারিতে ছিলো, তার তাদের ওপরেই প্রভাব বেশি পড়েছে। পুলিশ যখন দেখেছে, তার সহকর্মীকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে, আবার কেউ দৌড়ে এসে লাথি মারছে পুলিশকে। কারণ মানুষের ভেতরে এতো ঘৃণা জন্মেছে যে, তা আর মানুষ নিতে পারছে না। আর পুলিশ এইসব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তাদের কর্মস্পৃহা হারিয়েছে। পুলিশের কর্মস্পৃহা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সে কারণেই ঢাকায় বসে না থেকে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের কাছে যাচ্ছি, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা কি ভাবছে, তারা কি চায়- সেগুলো শুনে ব্যবস্থা নেওয়াই আমার কাজ। আমি হয়তো সব পারবো না, তবে তাদের মনের কষ্টের কথা শুনতে চাই, তাতে তাদের মন হয়তো হালকা হবে।

পুলিশ হত্যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা প্রশমনে কি উদ্যোগ নেবেন- এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, পুলিশ এখন একটা মনভাঙা অবস্থায় রয়েছে। যার যা সক্ষমতা ছিলো তাও এখন কাজ করছে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বিশ্বাসটা ভেঙে গেছে, যে আমি আবার মানুষের কাছে যাব, কাজ করবে। ভয়ে, আতংকে, সহকর্মীদের মৃত্যুতে, তারপর আবার দেখেছে যে সিনিয়র অফিসাররা হুকুম দিয়ে পালিয়ে গেছে। কোথাও তো একজন এসপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেউ তো মারা যাননি! যারা মারা গেছে, তারা ইন্সপেক্টর টু কনস্টেবল। তার মানে আমরা অফিসাররা পালিয়ে গেছি পুরো ফোর্সকে অনিরাপদ করে। এখন এই ফোর্সকে আবারও উজ্জীবিত করা বড় চ্যালেঞ্জ।

৫ আগষ্ট ও পরবর্তী সময়ে পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে এক প্রশ্নে আইজিপি বলেন, প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

তিনি বলেন, এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে এসব উদ্ধার করা তখনই সম্ভব হবে, যখন সব মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবে। তখন সমাজের মানুষজনই এসব অস্ত্রের খোঁজ দেবে।

এর আগে সারা দেশে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক তদন্তে যাদের নিরপরাধ মনে হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তাকে গ্রেফতার করা হবে না। এছাড়া একটি কমিটি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। যে কমিটি তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই নিরপরাধ মানুষকে মামলা থেকে বাদ দিতে পারবেন।

এদিন দুপুরের পর সিলেট পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। তাদের কষ্টের কথা শোনেন। তাদের কষ্ট লাঘবের আশ্বাস দেন।

পাকাপাকি ভাবে ভারত ছাড়ছেন কোহলি!

সুন্দরবন নিউজ২৪/স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ
পাকাপাকি ভাবে ভারত ছাড়ছেন কোহলি!

ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে। কোহলির শৈশবের কোচ রাজকুমার শর্মা সম্প্রতি দৈনিক জাগরণ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কোহলি তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে বসবাস শুরু করার চিন্তা করছেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, তবে দ্বিতীয় সন্তান আকায় জন্মের পর থেকেই কোহলি ও আনুশকা পরিবার নিয়ে লন্ডনে অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন।

রাজকুমার শর্মা বলেন, ‘হ্যাঁ, বিরাট তার স্ত্রী আনুশকা ও সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। খুব শিগগিরই তিনি ভারত ছেড়ে লন্ডনে স্থায়ী হবেন। তবে আপাতত কোহলি ক্রিকেটের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় পরিবারকে দিচ্ছেন।’

কোহলি ও আনুশকার লন্ডনে নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর থেকেই তাদের লন্ডনে কাটানো সময় আরও বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দম্পতি খুব শিগগিরই স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস শুরু করবেন।

৩৬ বছর বয়সী কোহলি ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে কতদিন খেলবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তার পারফরম্যান্স কিছুটা ম্লান থাকায় তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভক্ত ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।

১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে র‌্যাঙ্কিংয়ে কোহলি

এ বছরের শুরুতে অবসর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোহলি জানিয়েছিলেন, অবসরের পর দীর্ঘ সময় তাকে আর দেখা যাবে না। আরসিবি-এর সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ারের একটা শেষ সময় থাকে। তাই আমি আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করছি। আমি চাই না আমার ক্যারিয়ার শেষে কোনো অতৃপ্তি থাকুক।’

কোহলি আরও বলেন, ‘আমি যখন অবসর নেব, তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য হারিয়ে যাব (হাসি)। তাই যতদিন খেলব, ততদিন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। এটাই আমাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।’

কোহলির এই পরিকল্পনা তার ভক্তদের মধ্যে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কবে তিনি পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান।