খুঁজুন
বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার নিয়ে সীমান্ত দেশগুলোর বৈঠক, কী লাভ হতে পারে বাংলাদেশের

সুন্দরবন নিউজ২৪/ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:০৬ অপরাহ্ণ
মিয়ানমার নিয়ে সীমান্ত দেশগুলোর বৈঠক, কী লাভ হতে পারে বাংলাদেশের

মিয়ানমারের সংকট নিয়ে দেশটির প্রতিবেশী বিশেষ করে সীমান্তের দেশগুলোর প্রতিনিধিরা থাইল্যান্ডে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। ভারত, চীনসহ ছয় দেশের এই বৈঠকে থাকছে বাংলাদেশও।

ব্যাংককে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরপর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ইস্যুতে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।

দ্বিতীয় বৈঠকটি হবে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের। এতে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি বার্মিজ সার্ভিস।

তবে, এটিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশ নিচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে তথ্য রয়টার্সের।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রকট হতে থাকে।

জান্তাবাহিনী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে মূলত সীমান্ত এলাকাগুলোতে। যেমন, রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এখন। বাংলাদেশের অপর পাশে প্রায় পৌনে তিনশো কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই তাদের দখলে।

শুধুমাত্র রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।

বিবিসি সংবাদদাতা জোনাথান হেড জানিয়েছেন, আরাকান আর্মি সম্ভবত প্রথম কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী, যারা পুরো একটি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে চলেছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সম্প্রতি ঢাকায় এক সেমিনারে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে অন্তত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ থাকে।

যদিও আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ হয়েছে কিনা কিংবা যোগাযোগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে কিনা সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে বাংলাদেশের একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রি জে (অব.) বায়েজিদ সরোয়ার এই বৈঠককে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

অন্যদিকে, রাখাইনে ভারত ও চীনের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ ‘পরস্পর বিপরীতমুখী’ বলে পর্যবেক্ষণ মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামের।

আরাকান আর্মির ওপর চীনের প্রভাব থাকায়, তাদের কর্মকাণ্ড ভারতের স্বার্থের বিপক্ষে যাচ্ছে, বলেন মি. ইসলাম।

ভারতের ওপি জিন্দাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত অবশ্য মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে সব ইস্যুতে যে বৈরিতা থাকে তা নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান অভিন্নও হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, রাখাইনে ভারত, চীন ও বাংলাদেশের স্বার্থের সমীকরণ কী হবে? ব্যাংককের বৈঠক থেকে বাংলাদেশেরই বা কী অর্জন হতে পারে?

ভারত-চীনের স্বার্থ

রাখাইন প্রদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের অর্থায়নে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের কাজ চলছে। বাংলাদেশকে অনেকটা বাইপাস করে কলকাতা থেকে সিতওয়ে অর্থাৎ আগের আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত নৌপথকে জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত করেছে ভারত।

কলকাতা থেকে প্রথমে সমুদ্রপথে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর, তারপর কালাদান নদীপথে পালেতোয়া, সেখান থেকে সড়কপথে ভারতের মিজোরাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল- সংক্ষেপে এই হলো কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্টের রুট।

ওই বেল্টটা (পথটা) আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। আরাকান আর্মির ওপর একচ্ছত্র প্রভাব হচ্ছে চীনের। তাদের কর্মকাণ্ড ভারতের স্বার্থের বিপক্ষেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম।

নেপথ্যে চীন থাকলেও ভারতকে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত।

রাখাইনে ভারতের ইনভেস্টমেন্ট আছে। ওদের সঙ্গে এগোতে হবে তা চীনের সঙ্গেই হোক বা অন্য যাদের সঙ্গেই হোক, বলছিলেন মিজ দত্ত।

তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন না দেখা গেলেও ভবিষ্যতে এর ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।

অন্যদিকে, মিয়ানমারকে ঘিরে চীনের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থ এবং বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি। রাখাইনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দরের বড় প্রকল্প গড়ে তুলছে চীন।

বাংলাদেশ কী অর্জন করতে পারে?

রোহিঙ্গা শরণার্থী ও সীমান্তের কারণে মিয়ানমার প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের কাছেও এসব বিষয় তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, ইনফরমাল আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তিনটি বিষয় আছে বর্ডার, ক্রাইম এবং মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ। এগুলো নিয়েই কথাবার্তা হবে।

আমি কী বলব সেটা নির্ভর করবে ওইখানে কথাবার্তা কোনদিকে এগোয় তার ওপর, যোগ করেন মি. হোসেন।

মিয়ানমারে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকারের একটাই লক্ষ্য, যখন মিয়ানমার শান্ত হবে তখন যাতে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যায়। এ লক্ষ্যেই কাজ করবে বাংলাদেশ।

এদিকে, মিশর সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার এক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গত কয়েক মাসে ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এমদাদুল ইসলামের মতে, রাখাইনের দখল আরাকান আর্মির হাতে চলে যাওয়ায়, প্রত্যাবাসন নিয়ে জটিলতা আরও বেড়েছে।

একদিকে মিয়ানমারের সরকারকে আস্থায় রাখতে হবে অন্যদিকে আরাকান আর্মিও একটা স্টেক হোল্ডার (অংশীজন) হয়ে যাচ্ছে, বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. ইসলাম।

শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

শ্যামনগরে এক দুর্নীতিগ্রস্ত সিপিপি কর্মকর্তার দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় সিপিপি উপজেলা কার্যালয়,(জেসি কমপ্লেক্স)এর সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিপিপি শ্যামনগর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভার সমস্ত নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্যামনগর পৌরসভার সিপিপি টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু, ১নং ইউনিট টিম লিডার নজরুল ইসলাম মুন্না, ২ নং ইউনিট টিম লিডার, ভবেসিন্দু মন্ডল, ৩ নং ইউনিট টিম লিডার হাবিবুর রহমান ৪ নং ইউনিট টিম লিডার ইয়াছিন মোড়ল ৫ নং ইউনিট টিম লিডার রবিন্দ্রনাথ মন্ডল ৬ নং ইউনিট টিম লিডার শাহীন ভূইয়া, ৭ নং ইউনিট টিম লিডার আব্দুর রশিদ নান্টু। ৮ নং ইউনিট টিম লিডার হেলাল মাহমুদ, ৯ নং ইউনিট টিম লিডার দেবাশিস গায়েন সহ অন্যান্য রা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) সহকারী পরিচালক শ্যামনগর মুন্সি নুর মোহাম্মদ, দুর্যোগে কাজ করা সিপিপি সংগঠনকে একটা বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতেছে, সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবী কাজে মনোভাব নষ্ট করছেন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা -২০২১ অনুসারে সিপিপিতে যোগদানের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ নির্ধারণ থাকলেও এই নীতিমালা অমান্য করে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নিপা চক্রবর্তী নামক একজন ৪০ উর্ধ্ব বয়স নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের তানিয়া নামক ১৬ বছর বয়সের নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।

কর্মকর্তার আন অফিসিয়াল তার কথা না শোনার কারনে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মাছুরা নামক নারী স্বেচ্ছাসেবককে বিনা কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কর্মকর্তার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে রমজাননগরের আছমা মেম্বার, ও কৈখালীর রাবিয়া মেম্বারের সিপিপির আই ডি কার্ড দিতে তালবাহানা করেছে।

বক্তারা আরো বলেন:
এভাবে চলতে থাকলে শ্যামনগরের উপকূলীয় আমজনতা সিপিপি থেকে দুর্যোগের সময় সেবা পাবে না:
কর্মকর্তা মুন্সী নুর মোহাম্মদ একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করতে থাকে এবং তার সাথে সঙ্গ না দেওয়ায়, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানি মূলক বেনামী অভিযোগ দিয়ে থাকেন ।

সর্বশেষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নামীয় ব্যক্তির পাঠানো অভিযোগে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, মুন্সি নুর মোহাম্মদ, অভিযোগকারীদের স্থানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ব্যবহার করে ইয়াসিন মোড়ল এবং আব্দুর রশিদ নানটুর নামে পুনরায় অভিযোগ করে,
মিটিং সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে তুই তুকারি করে কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
দুর্যোগের সময় বিশেষ মুহূর্তে অতি প্রয়োজনে কর্মকর্তাকে ফোন করলে ফোন কেটে দেন।
প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকরা অফিসে গেলে কর্মকর্তা বিরক্ত বোধ করেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে একে অপরের সাথে বিরোধ লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।

মন:পুত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে অফিশিয়ালি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বিশেষ করে যারা তার অনিয়ম কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকেন।

টাকার বিনিময়ে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্য সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন,কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদ, তার কাছের ব্যক্তি রমজান নগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক ফারুক হোসেন কে অফিসের নথি প্রকাশ করে, নায্য পুরষ্কার প্রাপ্য নজরুলের ডকুমেন্টস জাল করে ততকালীন ইউ এন ও কাছে প্রেরণ করে

এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকরা মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদের বদলি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সাতক্ষীরার আশাশুনির কুল্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায়  কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

 কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনজুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায়  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স.ম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সদস্য সচিব মশিউর হুদা তুহিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান লাল্টু প্রমূখ।

ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ তৈরি করব। এবং কচুয়ায় একটি কলেজ নির্মাণ করব।

এ সময় তিনি আরো বলেন বিগত ১৭ বছর ধরে আশাশুনি উপজেলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, তার মধ্যে  কুল্যা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে,  এগুলোর উন্নয়ন করবো।

বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে এদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাসহ সাধারণ মানুষ যেমন মায়ের কোলে শিশুরা  নিরাপদ থাকে, তেমনি করে আমার সময়ও নিরাপদে রাখবো। এছাড়া এই অঞ্চলের  জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করব।
জনসভা শেষে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ লক্ষ টাকার শহীদ জিয়া স্মৃতি ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। বুধবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল মাঠে রাজাপুর মধ্যম একসরা যুব সংঘের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন।
ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ বনাম হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাব। খেলার ২২ মিনিটে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের বিদেশি খেলোয়াড় জেরি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘের ইব্রাহিম সমতার গোল করে ম্যাচে ফিরে আসেন।দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ আরও দুই গোল করে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। শেষ পর্যন্ত ৩–১ গোলের ব্যবধানে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাজী আলাউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কাজী আলাউদ্দিন  বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মডেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। যুবকদের মাঠে ফেরাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধকে টেকসই করে তোলা, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা এবং এলাকার ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

খেলাধুলা মানুষের মন–মানসিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি চাই আমাদের এলাকার তরুণরা সুস্থ বিনোদন আর খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুক, দেশের ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হোক।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, ক্রীড়া সুযোগ বৃদ্ধি—সবকিছুর জন্যই আমি কাজ করে যাব। আশাশুনি ও কালিগঞ্জের মানুষের আস্থা অর্জনই আমার মূল লক্ষ্য।