খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ কোটির মধ্যে ৩০ কোটি বই ছাপানো বাকি

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
৪০ কোটির মধ্যে ৩০ কোটি বই  ছাপানো বাকি

নতুন বইয়ের ঘ্রাণ ও পাঠদান শুরু করতে অপেক্ষায় আছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী। অথচ এখনো অধিকাংশ বই ছাপানো বাকি রয়েছে। এবার স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর জন্য ৪০ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপানোর কথা রয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ১০ কোটি বই ছাপানোর কাজ শেষ হলেও আরও ৩০ কোটি বই ছাপানো বাকি রয়েছে। ফলে বছরের শুরুতেই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বই হাতে পাবে না। এদিকে খরচ সাশ্রয় করতে এবার বই উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত এ সময় নতুন শিক্ষাবর্ষের সব বই ছাপানো শেষ হয়ে থাকে। সেখানে বেশকিছু শ্রেণির বই ছাপা শুরুই হয়নি। এছাড়া বই ছাপানোর জন্য বাজারে পর্যাপ্ত কাগজের সরবরাহ নেই। কাগজ মালিকরা একধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। বছরের শুরুতে কিছু বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো সম্ভব হলেও সব বই ছাপা শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। ফলে জানুয়ারির শুরুতেই সব শ্রেণিতে বই দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, এনসিটিবির সদস্যদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। বই বিতরণ যত দেরি হবে, শিক্ষার্থীদের তত ক্ষতি হবে। শুরু থেকে নীতিনির্ধারকরা একধরনের সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন। শিক্ষাক্রম আগে নাকি পাঠ্যপুস্তক আগে, সেটি ঠিক করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। শিক্ষাক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও আমরা ফিরে গিয়েছি আগের কারিকুলামে। এতে বিশ্ব এগিয়ে গেলেও আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একধরনে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। তারা একধরনের ট্রমার মধ্যে সময় পার করছেন। এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সময় হলেও সেই পরিবেশ তৈরি হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই যথাসময়ে দিতে না পারলে তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে আকৃষ্ট করতে হবে। পড়াশোনার অংশ হিসাবে তাদের এসব কার্যক্রমে অভ্যস্ত করাতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবক সমাবেশ করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে তিন মাস দেরিতে শুরু হয় নতুন শিক্ষাবর্ষের বইয়ের কার্যক্রম। এরপর শিক্ষা কারিকুলামে আনা হয় ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে এবার পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেয়েছে ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল কারিকুলাম। এতে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হলেও ১৩ দিনের মাথায় সেটি বাতিল করা হয়। এছাড়া এনসিটিবির বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সব সদস্য নতুন হওয়ায় এসব কার্যক্রম ছিল ধীরগতি। এতেও বেশ সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এছাড়া পরিমার্জন ও সংশোধন কমিটি নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। এবার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে জাতীয় সংগীত ও পতাকা ছাপানো হয় বইয়ের শেষে। এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। সবকিছু মিলে একধরনের হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। সামনে যে কয়দিন সময় আছে, এর মধ্যে ৩০ কোটির মতো পাঠ্যবই ছাপানোর সক্ষমতা দেশের মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের নেই। এছাড়া এ সময়ে চাহিদামতো মানের এত কাগজ পাওয়া নিয়েও কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের ছাপানোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ আর পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানো শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির প্রথমে তিনটি (বাংলা, গণিত ও ইংরেজি) বই ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো বেশির ভাগ ছাপানো বাকি রয়েছে। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির সব বইয়ের ছাপানো চুক্তি শেষ করে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাণ্ডুলিপি দেবে এনসিটিবি। এরপর ছাপানোর কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে বই না পাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। তবে বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিক্ষার্থীরা মোবাইল নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। বই হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের খেলাধুলা ও কো-কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিস নিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে। যদি শিক্ষার্থীদের বই পেতে খুব দেরি হয়, সেক্ষেত্রে সিলেবাসও সংক্ষিপ্ত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের হাইজেনিক বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও ক্ষতি কমে আসবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, বছরের শুরুতেই প্রাথমিকের পর্যায়ে প্রত্যেক শ্রেণিতে সব বই দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেক শ্রেণিতে তিনটি করে বই দেওয়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি যেসব শ্রেণির ছাপানো চুক্তি বাকি রয়েছে, সেগুলোও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া যেসব বইয়ের পরিমার্জন ও সংশোধন রয়েছে, সেগুলোও দ্রুত দেওয়া হবে। যথাসময়ে এ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থী সব বই কবে হাতে পাবে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই সব শ্রেণির সব বই দেওয়া সম্ভব না হলেও শিক্ষার্থীদের কিছু বই দেওয়া হবে। তাছাড়া কাগজ সংকট নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো সত্য নয়। নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানোর জন্য প্রেস মালিকরা এসব অভিযোগ তুলছেন।

আগামী শিক্ষাবর্ষের নতুন বইয়ের কাগজের ওজন ৭০ গ্রাম থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ গ্রাম। আর উজ্জ্বলতা ৮০ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৮৫ শতাংশ। নতুন বছরের জন্য শুরু থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪০ কোটি নতুন বই ছাপানো হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী বইয়ের মান ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে একধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, বইয়ের কাগজের মান নিয়ে আমরা সচেতন। কোনো মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনসিটিবি কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ শিক্ষার্থীর জন্য ৯৬৪ লটে ছাপা হবে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। এর মধ্যে প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫ কপি বই। অন্যদিকে মাধ্যমিকের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। এর মধ্যে ইবতেদায়ি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইও যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ব্রেইল বই রয়েছে সাড়ে ৮ হাজার।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজে দেরি, নতুন কনটেন্ট যুক্ত হওয়া, বইয়ের কাভারে ব্যবহারের জন্য গ্রাফিতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিকের সব বই ছাপার কাজ শেষ হচ্ছে না। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীরা যাতে কিছু বই হাতে পায়, সেই চেষ্টা করছে এনসিটিবি। সেজন্য ষষ্ঠ থেকে দশম-প্রত্যেক শ্রেণির তিনটি বই আগে ছাপানোর চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান যুগান্তরকে বলেন, এখনো নবম-দশম শ্রেণির সব বই ছাপানোর চুক্তি শেষ হয়নি। এসব শ্রেণির কেবল নোহা পেয়েছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এনসিটিবি ওয়ার্ক অর্ডার ঠিক না করে ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেটি অযৌক্তিক। এছাড়া ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ছবি ছাপানো নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তবে আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। এদিকে পেপার মিলগুলো সিন্ডিকেট করে কাগজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি টন কাগজে ২০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। আর্ট কার্ডে প্রতি টনে ৪০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। এতে এনসিটিবির উৎপাদন শাখার কোনো তৎপরতা নেই। এ বিষয়ে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত।

বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

অনেক প্রজাতির প্রাণীর একাধিকবার দাঁত গজালেও মানুষের ক্ষেত্রে সুস্থ দাঁতের জন্য সুযোগ আসে মাত্র একবারই। তবে এই বাস্তবতা হয়তো শিগগিরই বদলে যেতে পারে।

সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও এখনই এটি মানুষের ওপর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গবেষণাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া জন্য এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, ‘জৈবিক উপায়ে দাঁত প্রতিস্থাপন বা নতুন দাঁত গজানোর ধারণাটিই আমাকে কিংসে নিয়ে এসেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে জ্ঞানের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ করছি।’

ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি.
আজকাল নিখুঁতভাবে হাসতে পারার আশায় অনেকেই ব্রেস বা ইমপ্লান্টের আশ্রয় নেন। তবে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে দাঁত প্রতিস্থাপন সবসময় ঝুঁকিমুক্ত হয় না। ইমপ্লান্টের পর অনেক রোগী নতুন নতুন সম্যার সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘদিন ধরে দন্তচিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। যার কারণে রোগীর পাশাপাশি দন্তচিকিৎসকদের জন্যও এটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিংস কলেজের দন্ত অনুষদের ওরাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল সায়েন্সেস বিভাগের শেষ বর্ষের পিএইচডি শিক্ষার্থী জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘ইমপ্লান্ট করতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় এবং তা সফল করতে হাড় ও ইমপ্লান্টের মধ্যে সঠিক সমন্বয় দরকার। কিন্তু ল্যাবে তৈরি দাঁত স্বাভাবিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে ঠিক আসল দাঁতের মতো। এই দাঁতগুলো হবে বেশি শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী এবং শরীরের পক্ষে আরও উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য—যা ফিলিং বা ইমপ্লান্টের চেয়ে উন্নত সমাধান।’

কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক ধরনের বিশেষ উপাদান তৈরি করেছেন, যা কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম।

এর ফলে এক কোষ অন্য কোষকে দাঁতের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার সংকেত দিতে পারে, যা দাঁত গজানোর স্বাভাবিক পরিবেশ অনুকরণ করে নতুন দাঁত গজায়।

পরীক্ষাগারে দাঁত গজানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছে। সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—এই দাঁত কীভাবে মানুষের মুখে প্রতিস্থাপন করা যাবে তা নির্ধারণ করা।

জুয়েচেং ঝাং
জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘আমাদের কিছু ধারণা রয়েছে—যেমন দাঁতের কোষগুলো সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করা এবং সেগুলোকে সেখানেই গজাতে দেওয়া। অথবা দাঁতটি পুরোপুরি ল্যাবে তৈরি করে পরে তা রোগীর মুখে স্থাপন করা যেতে পারে।’

তবে যেভাবেই হোক, পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে পরীক্ষাগার থেকেই।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধু খাওয়া বা কথা বলায় সমস্যার সৃষ্টি করে না বরং সৌন্দর্যগত ও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের ভেতর দিয়ে মুখের জীবাণু রক্তপ্রবাহে ঢুকে হৃদরোগ ও সংক্রমণের কারণও হতে পারে—যা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

কিংস কলেজের ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল বলেন, ‘দাঁত পুনর্জন্মে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এটি দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এটি আমার চিকিৎসাজীবনের সময়কালে কার্যকর হবে কিনা নিশ্চিত নই, তবে আমার সন্তানরা জীবদ্দশায় সম্ভবত দেখা যাবে। আর তাদের সন্তানেরা হয়তো এটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।