খুঁজুন
রবিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেঁটেই পদ্মা পারাপার

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১০ অপরাহ্ণ
হেঁটেই পদ্মা পারাপার

রাজশাহীর বাঘায় আট চরের মানুষ এখন পদ্মা নদী হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন। গত চার মাস আগেও নৌকা দিয়ে পারাপার করতে হতো। এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নদীতে পানি নেই। মানুষ প্রয়োজনীয় কাজের জন্য হেঁটেই নদী পারাপার হচ্ছেন।

এমন দৃশ্য দেখা যায় সোমবার উপজেলার সড়কঘাট এলাকার পদ্মা নদীর ঘাটে।

জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ৮টি চরে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের বসবাস। এই চরের মানুষ বর্তমানে হেঁটেই পারাপার হন। বর্ষা মৌসুমে তারা পানিবন্দি হয়ে যান। এ সময়ে শত শত একর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়েও যায়। একইসঙ্গে অসময়ে তীব্র নদী ভাঙনের ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।

বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রতি বছর খরস্রোতা পদ্মা নদী পারাপারে নৌকা ডুবিতে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় খরস্রোতা পদ্মা এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সড়কঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লোকজন হেঁটেই নদী পারাপার হচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে এই ঘাটে প্রতিদিন নৌকাযোগে শত শত লোক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ নদী পারাপার হতেন।

পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিরপুর গ্রামের নারী শ্রমিক সোনাভান বেগম, আনেরা বেগম, জামেনা বেগম, আনেমা বেগম হেঁটেই নদী পার হচ্ছেন। এ সময় তারা বলেন, পদ্মার চরে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজের আবাদ হয়। পেঁয়াজ তোলা কাজ করে হেঁটেই বাড়ি ফিরছি। প্রতি মণ পেঁয়াজের পাতা কাটলে ৭০ টাকা দেন। এর মধ্যে আনেরা বেগম ৫ মণ পেঁয়াজের পাতা কেটেছেন। তিনি রোজগার করেছেন ২৫০ টাকা। তার স্বামী জমির উদ্দিন অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারে না। ছেলেরা বিয়ে করে অন্যত্রে চলে গেছেন। ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছি। পেট আছে খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে পদ্মা নদী হেঁটে পার হয়ে পেঁয়াজের পাতা কাটার কাজ করি।

আরেক নারী শ্রমিক সোনাভান বেগম বলেন, নিয়মিত যাতায়াত করি। কিছুদিন আগেও নৌকায় করে যাতায়াত করতে হতো। এখন নদীতে পানি নেই, তাই হেঁটে গিয়েই কাজ করে বাড়ি আসছি।

কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতি বছর খরস্রোতা পদ্মা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যাসহ নদীভাঙনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে উভয় সংকটে পড়তে হয়েছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, এক সময় প্রমত্ত পদ্মার গর্জনে মাঝি-মাল্লারা সাহস পায়নি নৌকা চালাতে। এমনকি জেলেরা সাহস পায়নি মাছ ধরার নৌকা চালাতে। শুধু তাই না, অনেক সময় পদ্মার বিশাল ঢেউ আর ভয়ঙ্কর গর্জনের মুখে নৌকা চলতে সাহস পায়নি; কিন্তু কালের আবর্তনে সেই প্রমত্ত পদ্মা এখন শুকিয়ে শীর্ণ একটি খালে পরিণত হয়েছে। পদ্মার বুকজুড়ে জেগে ওঠেছে ধু-ধু বালুচর ও ফসলের মাঠ।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, সড়কঘাটের খেয়াঘাট থেকে চকরাজাপুরের দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। ২ মাস আগেও হাজার হাজার চরের মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই খেয়াঘাট থেকে নৌকাযোগে পদ্মা নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতেন। মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে পদ্মা শুকিয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী পদ্মার চর হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন।

দিনের শুরুতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
দিনের শুরুতে  প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব। এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক।

শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২৫ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার দেওয়া দুই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে! আর এতেই বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর সামনে কি তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসছে?

বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তাদের মধ্যে একজন। ২০২৫ সাল শুরুর আগেই, বাবা ভাঙ্গার দুটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয়ে উঠেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ দিনেই তার পূর্বাভাসের অনেক কিছুই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের মানুষের মনে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে পৃথিবী একটি ভয়ংকর ভাইরাসের শিকার হবে, যা দ্রুত ছড়াবে এবং বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ২০২৫ সালের মাত্র ৯ জানুয়ারি, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়াতে শুরু করেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রেখেছে।

সেসময় বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ২০২৫ সালে পৃথিবী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। ঠিক ৯ জানুয়ারি, চীনে একটি ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে বিশাল দাবানল চলছে, যা বহু মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ হবে, যা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটাবে। যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন নতুন দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এই দিক থেকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে সেই আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ইউরোপে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে এবং এতে ভ্লাদিমির পুতিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাবে এবং মেরুবরফও গলে যাবে। এর ফলে সমুদ্রের স্তর উপরে চলে আসবে এবং পৃথিবীর বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং বিশ্বের অনেক জায়গা হারিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বুলগেরিয়ান এই নারী জ্যোতিষীর ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। অন্তত তার অনুসারীরা তাই মনে করেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তার আগে তিনি পৃথিবীর বুকে ঘটতে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়ে গিয়েছেন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বজুড়ে এখনো অনেকেই তার ভবিষ্যদ্বাণী বেশ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। রয়েছে বাবা ভাঙ্গার বহু অনুসারীও। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে এক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মারা যাবেন। আর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঠিক সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

ইসমাইল হোসেন, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার দ্বি – বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে মুন্সিগঞ্জ জামাতে ইসলামীর কার্যালয়ের শনিবার ( ১১ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায়। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি বাবলুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা ৪ আসনের গাজী নজরুল ইসলাম, সম্মানিত অতিথি , বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য, মাওলানা আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার আবদুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার ,গাজী আবুল হোসেন, বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন ,সাধারণ সম্পাদক ,বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের, মাওলানা মিজান ।

উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলাল হোসেন, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আয়ুব আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান (তালেব) , সদস্য ইসমাইল হোসেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ৭নং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন শাখায় , বাবলুর রহমান মোল্লাকে, সভাপতি ও শওকাত হোসেন পাড় কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দিয়ে শপথ পড়ানো হয়।