খুঁজুন
সোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই মাস ধরে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ নেই শ্যামনগর হাসপাতালে

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
দুই মাস ধরে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ নেই শ্যামনগর হাসপাতালে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। হাসপাতালে এসে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন অনেকে। জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।

জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা না থাকায় যারা সামর্থ্যবান তারা বাইরে থেকে টিকা কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যেসব রোগীর সামর্থ্য নেই তারা টিকা না নিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আবার হাসপাতালে টিকা না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন কবিরাজের কাছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক হয়, এমন প্রাণীর (কুকুর, বানর, শিয়াল, বেজি, বাঁদুড় ও বিড়াল) কামড়ে আক্রান্ত রোগী এসেছেন ৫২ জন। তাদের মধ্যে ৩৬জন পুরুষ, ১৬জন নারী। এর মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী ৩০জন এবং ১৫ বছরের ওপরে রয়েছেন ২২জন। এ ছাড়া চলতি মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি এসেছেন কুকুরসহ অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর কামড়ে আহত হয়ে।

সূত্র আরো জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর এক দিনে কুকুরে কামড়ানো ১৯জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক এআরভির (অ্যান্টি র‌্যাবিস ভ্যাকসিন) সরবরাহ নেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

কুকুরের কামড়ে আহত শ্যামনগর উপজেলার হাঁটাছালা এলাকার সিনথিয়ার (২১) স্বজনরা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় তাদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনতে হয়েছে। এরপর হাসপাতাল থেকে সেবা দিয়েছে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, সরকারি ভ্যাকসিন পেলে তাদের জন্য উপকার হতো।

শনিবার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের গোদাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমানের ছেলে শাকিল হোসেন (১২) কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকা পাননি। পরে ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে তাঁকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন জানান, কুকুর ও বিড়ালে কামড়ে আহত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন রোগী হাসপাতালে এসে টিকা নিচ্ছেন। হাসপাতালে সাপ্লাই না থাকায় তারা রোগীদের চারজনের গ্রুপ করে দেন। এই চারজন টিকা কিনে আনলে তারা টিকা পুশ করে দেন। এতে রোগীদের খরচ কম হয়।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সাপ্লাই না থাকায় সাময়িকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। আমরা চাহিদা জানিয়েছি। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সরকারি ভ্যাকসিন সরবরাহ হলে যথারীতি বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন আছে কিনা সেটা টিএইচও জানে। হয়তো এখন সাপ্লাই নাই, তাই দিতে পারছে না। সাপ্লাই হলে দেওয়া হবে। তবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন রয়েছে বলে জানান তিনি।

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিপিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

অন্তরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

সব শেষ আবারও তাদের ক্ষমতা আরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বাড়ানো হলো।

দিনের শুরুতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
দিনের শুরুতে  প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব। এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক।

শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২৫ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার দেওয়া দুই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে! আর এতেই বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর সামনে কি তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসছে?

বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তাদের মধ্যে একজন। ২০২৫ সাল শুরুর আগেই, বাবা ভাঙ্গার দুটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয়ে উঠেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ দিনেই তার পূর্বাভাসের অনেক কিছুই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের মানুষের মনে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে পৃথিবী একটি ভয়ংকর ভাইরাসের শিকার হবে, যা দ্রুত ছড়াবে এবং বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ২০২৫ সালের মাত্র ৯ জানুয়ারি, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়াতে শুরু করেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রেখেছে।

সেসময় বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ২০২৫ সালে পৃথিবী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। ঠিক ৯ জানুয়ারি, চীনে একটি ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে বিশাল দাবানল চলছে, যা বহু মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ হবে, যা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটাবে। যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন নতুন দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এই দিক থেকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে সেই আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ইউরোপে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে এবং এতে ভ্লাদিমির পুতিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাবে এবং মেরুবরফও গলে যাবে। এর ফলে সমুদ্রের স্তর উপরে চলে আসবে এবং পৃথিবীর বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং বিশ্বের অনেক জায়গা হারিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বুলগেরিয়ান এই নারী জ্যোতিষীর ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। অন্তত তার অনুসারীরা তাই মনে করেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তার আগে তিনি পৃথিবীর বুকে ঘটতে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়ে গিয়েছেন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বজুড়ে এখনো অনেকেই তার ভবিষ্যদ্বাণী বেশ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। রয়েছে বাবা ভাঙ্গার বহু অনুসারীও। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে এক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মারা যাবেন। আর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঠিক সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস