খুঁজুন
সোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি রোগীরা

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
ভারতের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি রোগীরা

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু সীমিত করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ফলে বাংলাদেশি রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন। এছাড়া থাইল্যান্ডের হাসপাতালের কর্মীদের আন্তরিকতা ও সহজ ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুকদের সংখ্যা বাড়ছে।

‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান ও থাইল্যান্ডে বহির্মুখী চিকিৎসা ভ্রমণ’ বিষয়ক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি রোগীদের থাইল্যান্ডের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। তাই তারা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডকে বেছে নিচ্ছেন।

গবেষণাটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব আলী এবং অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির সিনিয়র লেকচারার ড. অনিতা মেধেকার।

তারা বলেন, চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডকে পছন্দের প্রধান কারণ হলো রোগীরা বিশ্বাস করেন, দেশটি তুলনামূলক উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।

যেসব প্রতিষ্ঠান ভিসা নিয়ে কাজ করে এবং বিদেশি হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই থেকে তিন মাসে থাইল্যান্ডে মেডিকেল ভিসা পেতে আগ্রহী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ৪২ বছর বয়সী সাবিনা আক্তার। তিনি ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করলেও পাননি। তাই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যাংককে বেছে নেনে।

সাবিনা আক্তার জানান, তিনি থাই মেডিকিউরের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি সামিটেজ সুখুমভিট হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান।

‘যদিও চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশের শীর্ষ বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় একটু বেশি ছিল। তবে সেখানকার মেডিকেল কর্মীদের আন্তরিকতা ও চিকিৎসার মান অনেক ভালো ছিল,’ বলেন তিনি।

একই কথা বলেন লাবিবা, যার এক আত্মীয় সম্প্রতি ভারতের ভিসা না পেয়ে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন।

তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লাবিবা বলেন, ‘যদিও থাইল্যান্ডে চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশের তুলনায় সামান্য বেশি, তবুও বাংলাদেশি রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।’

ঢাকায় থাই মেডিকিউর অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নাজনীন আক্তার সৃষ্টি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুক রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশের বেশি।’

তিনি জানান, আগস্টের আগে তারা প্রতি মাসে গড়ে ২০ জন রোগীর মেডিকেল ভিসা প্রসেস করতে পারত। কিন্তু অক্টোবর থেকে এই সংখ্যা বেড়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।

নাজনীন আক্তার সৃষ্টি উল্লেখ করেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা ভারতীয় ভিসা না পেলে প্রাথমিকভাবে থাইল্যান্ডকে বেছে নিচ্ছেন।

তার ধারণা, হয়তো থাই সরকার হয়তো এটি বুঝতে পেরেছে। তাই ই-ভিসা চালু করে বাংলাদেশি পর্যটক ও রোগীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ডের জন্য ভিসা পেতে ইচ্ছুকরা এখন আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে ভিসা পেতে পারেন।

‘যদি আবেদনকারী বৈধ কাগজপত্র দেয় ও তাদের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা থাকে, তাহলে সাধারণত থাইল্যান্ডের দূতাবাস ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে না,’ যোগ করেন তিনি।

থাইল্যান্ডের বুমরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের বাংলাদেশি অংশীদার থাই মেডি এক্সপ্রেসের নির্বাহী (প্যাশেন্ট রিলেশনস) ইশতিয়াক আহমেদ ইমন বলেন, গত তিন-চার মাসে রোগীর প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।

তবে সম্ভাব্য সংখ্যা নিয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত বিধিনিষেধ আরোপ করায় থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি রোগী যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

বুমরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৬০ জন বাংলাদেশি রোগী ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে আগের মাসিক গড় ছিল প্রায় ৪০ জন।

‘সুতরাং, বাংলাদেশ থেকে রোগীর আগমন প্রায় ৬৭ শতাংশ বেড়েছে,’ বলেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশি রোগীরা সাধারণত বুমরুনগ্রাদ ও ব্যাংকক হাসপাতাল পছন্দ করেন। কারণ ডেডিকেটেড হেল্প ডেস্ক থাকার কারণে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারেন।

ব্যাংকক হাসপাতাল বাংলাদেশ অফিসের অপারেশন ম্যানেজার আব্দুল কাইউম বলেন, এটা সত্য যে—সম্প্রতি মেডিকেল ভিসা প্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ায় ভিসা প্রসেসিংয়ের চাপ বেশ বেড়েছে।

তিনি জানান, তারা আগে প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ২০টি ভিসা প্রসেস করত। কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০টিতে পৌঁছেছে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে—ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

‘এ কারণে আমরা প্রতি সপ্তাহে দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট যোগ করেছি। এখন আমরা প্রতি সপ্তাহে নয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করি,’ বলেন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ কমেছে, তবে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাড়ছে।

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সুন্দরবন নিউজ২৪/ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস

সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের থেকে রোববার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিপিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। এই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬০ দিনের জন্য অর্পণ করা হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

অন্তরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

সব শেষ আবারও তাদের ক্ষমতা আরও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দুই মাস বাড়ানো হলো।

দিনের শুরুতে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪১ অপরাহ্ণ
দিনের শুরুতে  প্রতিদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন

খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর।
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। ভিটামিন ও খনিজের উৎস এ ফলটি প্রতিদিন খেয়ে কমাতে পারেন কোলেস্টেরলের মাত্রা ও প্রতিরোধ করতে পারেন নানারকম অসুখ-বিসুখ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিতে ফ্যাটের পরিমাণ কম বলে এটি কোলেস্টেরল কমায়। এতে রয়েছে প্রোটিন, ডায়েট্রি ফাইবার, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ ও ভিটামিন এ।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিনটি খেজুর খেয়ে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা কাটানো সম্ভব। এড়ানো সম্ভব প্রসবকালীন ঝুঁকির মাত্রা।

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকায় খেজুর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, সুক্রোজ ও ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে এটি এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। কম ক্যালরিযুক্ত এ ফলটি বিকেলের স্ন্যাকসে ওট ও দুধের সঙ্গে যোগ করতে পারেন।

লোহার উৎকৃষ্ট উৎস বলে যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান। ফ্লোরিন সমৃদ্ধ খেজুর দাঁতের ক্ষয়রোধে সহায়ক।

শরীর ঝরঝরে রাখতে সারারাত দুধে বিচি ছাড়ানো খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ সমেত খেজুর মিক্সারে ব্লেন্ড করে নিন। খাওয়ার সময় মধু ও এলাচগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।

যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি খাবার খেজুর। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যা আছে, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাবেন।

মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিলে গেল বাবা ভাঙ্গার দুই ভবিষ্যদ্বাণী, সামনে কি ভয়ংকর বিপদ আসছে?

নতুন বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ২০২৫ নিয়ে বাবা ভাঙ্গার দেওয়া দুই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে! আর এতেই বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, পৃথিবীর সামনে কি তাহলে ভয়ংকর বিপদ আসছে?

বাবা ভাঙ্গা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তাদের মধ্যে একজন। ২০২৫ সাল শুরুর আগেই, বাবা ভাঙ্গার দুটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব হয়ে উঠেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, ২০২৫ সালের প্রথম ৯ দিনেই তার পূর্বাভাসের অনেক কিছুই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বের মানুষের মনে এক নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ২০২৫ সালের শুরুর দিকে পৃথিবী একটি ভয়ংকর ভাইরাসের শিকার হবে, যা দ্রুত ছড়াবে এবং বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ২০২৫ সালের মাত্র ৯ জানুয়ারি, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়াতে শুরু করেছে, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে চলেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভাইরাসকে নজরদারিতে রেখেছে।

সেসময় বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ২০২৫ সালে পৃথিবী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হবে। ঠিক ৯ জানুয়ারি, চীনে একটি ভয়ংকর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে বিশাল দাবানল চলছে, যা বহু মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়েছে।

বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০২৫ সালে ইউরোপে একটি ভয়ংকর যুদ্ধ হবে, যা বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করবে এবং প্রচুর প্রাণহানি ঘটাবে। যুদ্ধের মাধ্যমে নতুন নতুন দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। এই দিক থেকে দেখলে বুঝা যাচ্ছে সেই আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ চলছে এবং আরও বড় আকারে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। বাবা ভাঙ্গা আরও বলেছিলেন, ইউরোপে ভয়ংকর যুদ্ধ হবে এবং এতে ভ্লাদিমির পুতিনের গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকবে।

বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর হিমবাহ গলে যাবে এবং মেরুবরফও গলে যাবে। এর ফলে সমুদ্রের স্তর উপরে চলে আসবে এবং পৃথিবীর বহু অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং বিশ্বের অনেক জায়গা হারিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বুলগেরিয়ান এই নারী জ্যোতিষীর ছিল অলৌকিক ক্ষমতা। অন্তত তার অনুসারীরা তাই মনে করেন। ১৯৯৬ সালে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু তার আগে তিনি পৃথিবীর বুকে ঘটতে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়ে গিয়েছেন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী। বিশ্বজুড়ে এখনো অনেকেই তার ভবিষ্যদ্বাণী বেশ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। রয়েছে বাবা ভাঙ্গার বহু অনুসারীও। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো, ১৯৯০ সালে এক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট তিনি মারা যাবেন। আর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ঠিক সেদিনই তার মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস