খুঁজুন
সোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত বিএনপি শক্তি হারাচ্ছে সাতক্ষীরায়

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত বিএনপি শক্তি হারাচ্ছে সাতক্ষীরায়

সাতক্ষীরায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। এতে ক্রমান্বয়ে শক্তি হারাচ্ছে দলটি। সম্প্রতি শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও সদর উপজেলা কমিটি নিয়ে ঘোষিত নানা সিদ্ধান্ত।

এর ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার দেবহাটায় বিএনপির উপজেলা শাখার সম্মেলন ঘিরে দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে সম্মেলনস্থল ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার গাজীরহাট বাজার সংলগ্ন শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপির এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। এমনকি ওই সম্মেলনে বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকারও কথা ছিল।

কিন্তু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দীন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে একতরফাভাবে এ সম্মেলন আয়োজনের অভিযোগ তুলে বুধবার রাতেই সম্মেলনস্থলে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সিরাজুল ইসলামের অনুসারী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু ও নওয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিমসহ তাদের সমর্থকরা। এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেবহাটা উপজেলা বিএনপির রাজনৈতিক মাঠ।

একপর্যায়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সম্মেলনস্থল ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান।

দেবহাটা থানার ওসি মো. হযরত আলী বলেন, বিএনপির দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সম্মেলনস্থলসহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আদেশে ওই এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির দু’গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের সংঘাতে না জড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির এ আদেশ বহাল থাকবে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠা দেবহাটা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও জেলার শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে সংগঠনকে গতিশীল করতে ইতোমধ্যেই যুগ্ম আহবায়কদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশে একে একে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও এর অর্ন্তগত ৪৫টি ওয়ার্ড শাখার নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন সিদ্দিকী। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের বাদ দিয়ে এসব ইউনিটের নতুন নেতৃত্বে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের স্থান দেয়া হয়েছে। সবগুলো ইউনিটের সম্মেলন শেষে আজ উপজেলা শাখার সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। যা মেনে নিতে পারেনি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কোনঠাসা হয়ে পড়া কতিপয় ব্যক্তি।

বিএনপি নেতারা আরও অভিযোগ করে বলেন, একসময় যেসব নেতা বিএনপি থেকে দূরে সরে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকেছেন, আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, স্বেচ্ছায় বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন; তারাই আবার ৫ আগস্টের পর রাজনীতির মাঠে আর্বিভুত হয়ে সীমাহীন চাঁদাবাজি ও মৎস্যঘের- সরকারি জমি-হাটবাজার দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারের জন্য এসব বিতর্কিত এবং চাঁদাবাজ, দখলবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে দলীয় কোন্দল সৃষ্টির জন্য উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে দায়ী করেন তারা।

সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী বলেন, দেবহাটায় বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি আমরা জেনেছি। দু’পক্ষের সাথে আলোচনা করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীরা দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।

প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভে‌সে গে‌ছে হাজার হাজার বিঘার মৎস‌্য ঘের। এতে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙ্গন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের আরও ৬টি গ্রা‌মে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। এসব গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঘ‌রে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।