খুঁজুন
বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন, ন্যানো রোবটে জব্দ হবে ক্যানসার!

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:০৪ অপরাহ্ণ
যুগান্তকারী উদ্ভাবন, ন্যানো রোবটে জব্দ হবে ক্যানসার!

ক্যানসারকে কবজা করতে এবার ন্যানো রোবটকে হাতিয়ার করতে চাইছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞেরা। সম্প্রতি সুইডেনের বিশ্বখ্যাত ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা ন্যানো রোবট তৈরি করেছেন। যা দিয়ে ইঁদুরের ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।

গবেষণাটি নেচারের ‘ন্যানো টেকনোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, রোবটটিকে এমন একটি ক্ষুদ্র আকার দেওয়া হয়েছে যাতে সেটি টিউমারের ভিতরে গিয়ে উন্মুক্ত হয় এবং সুস্থ কোষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দল এর আগে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিডের শৃঙ্খল দিয়ে ষড়ভুজ আকৃতির পেপটাইডের কাঠামো তৈরি করেছিলেন। এই কাঠামোটি কোষের দেওয়ালে আটকে ‘ডেথ রিসেপ্টর’ প্রক্রিয়াটি ডেকে আনতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।

যখন কোনো জীবের এক বা একাধিক কোষ সংক্রামিত হয়, তখন কোষের মৃত্যু ঘটে। কোষগুলোর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য এবং কোষচক্র পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য জীবকোষের মৃত্যু প্রয়োজনীয়। কোষের নিয়মিত ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখার জন্যেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।

পেপটাইডের এই ষড়ভুজাকার ‘ন্যানো প্যাটার্নটি’ একটি প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে গবেষণার নেতৃত্বে থাকা ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের মেডিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক বোজর্ন হগবার্গ দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, যদি এই পেপটাইডের কাঠামোটিকে ওষুধ হিসাবে ক্যানসার আক্রান্ত দেহে প্রবেশ করানো হয় তবে এটি নির্বিচারে শরীরের কোষগুলোকে হত্যা করতে শুরু করবে, যার ফল মোটেই ভাল হবে না।

এই সমস্যার সমাধান করার জন্য বিজ্ঞানীরা ডিএনএ থেকে তৈরি একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কাঠামোর (ন্যানো স্ট্রাকচার) ভিতরে রোবটটি লুকিয়ে রেখেছেন বলে বলা হয়েছে গবেষণায়।

গবেষকদের এই দল বহু বছর ধরে কাজ করে চলেছে। এখন তারা এই ‘অস্ত্র’টিকে সঠিকভাবে চালানোর কৌশল ব্যবহার করে দেখেছেন যাতে সঠিক পরিস্থিতিতে ন্যানো রোবটটি সক্রিয় করা হয়।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রটি তারা এমনভাবে লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন, এটি শুধুমাত্র একটি টিউমারের মধ্যে এবং তার আশপাশে পাওয়া পরিবেশেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। যার একমাত্র লক্ষ্য হল ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে নিধন করা, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

স্তন ক্যানসারের টিউমার-সহ ন্যানো রোবটটিকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে একটি ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। অন্য একটি ইঁদুরের দেহে ন্যানো রোবটের একটি নিষ্ক্রিয় সংস্করণ প্রবেশ করানো হয়।

সেই পরীক্ষার যে ফলাফল সামনে এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে সক্রিয় ন্যানো রোবটটি ইঁদুরের দেহে টিউমারের বৃদ্ধি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনই এই গবেষণাকে পুরোপুরি সফল বলতে নারাজ ক্যারোলিনস্কার বিজ্ঞানীরা।

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের মেডিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড বায়োফিজিক্স বিভাগের গবেষক ইয়ং ওয়াং সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আরও জটিল ক্যানসারের মডেলগুলিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখা হবে। বিশেষত মানবদেহের ক্যানসারের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এমন জটিল ধরনের টিউমারের ওপর আরও নিবিড় পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত গবেষকদের।

ন্যানো রোবটটির সাফল্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে কম পিএইচ বা অম্ল পরিবেশে (অ্যাসিডিক মাইক্রোএনভায়রনমেন্ট)। কারণ ক্যানসারের কোষগুলোর আশপাশেই এই ধরনের পরিবেশ থাকে। যা ন্যানো রোবটকে সক্রিয় করে তোলে।

চিকিৎসক-গবেষকদের মতে ন্যানো প্রযুক্তি এমন একটি সম্ভাবনা যা ক্রমশ চিকিৎসা বিপ্লবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে। ন্যানো প্রযুক্তি কীভাবে জটিল রোগের চিকিৎসাকে আরও সফল এবং সুনির্দিষ্ট করে তুলতে পারে তা নতুন এই গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোকে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্রাস করা সম্ভব, এমনটাই বলছে গবেষণা।

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভে‌সে গে‌ছে হাজার হাজার বিঘার মৎস‌্য ঘের। এতে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙ্গন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের আরও ৬টি গ্রা‌মে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। এসব গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঘ‌রে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।