খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্দি সারছে না? ঘরোয়া চিকিৎসায় দ্রুত সেরে উঠুন

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
সর্দি সারছে না? ঘরোয়া চিকিৎসায় দ্রুত সেরে উঠুন

ঠান্ডা লাগা বা সর্দি হওয়া আমাদের জন্য খুবই সাধারণ একটি বিষয়। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা—যে কোনো মৌসুমে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা-সর্দি অনেক দিন থাকতে পারে, আবার অনেকের ক্ষেত্রে দ্রুতই সেরে যায়।

সাধারণত ঋতু বদলের সময় ঠান্ডা-সর্দির মতো উপসর্গগুলো অনেকের ক্ষেত্রে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে। হালকা তাপমাত্রার তারতম্য ও দূষণের প্রভাব সামলানো তাদের ক্ষেত্রে বেশ মুশকিল হয়ে যায়।

সর্দির লক্ষণগুলো কী কী?

ঠান্ডা-সর্দির বেশ কিছু লক্ষণ থাকে, যেগুলো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের একই রকম হয়ে থাকে। সেগুলো হলো নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, কাশি, হাঁচি, জ্বর, কানে ও মুখে চাপ অনুভব করা, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসা।

সর্দি কেন হয়?

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হওয়া রোগগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঠান্ডা-সর্দি। এ রোগের কারণ হলো ভাইরাসের সংক্রমণ। একসময় ধারণা করা হতো, সর্দি হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল একটি বিশেষ গোত্রের ভাইরাস। পরে আশির দশকে সে ধারণা বদলে যায়। তখন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন, সাতটি গোত্রের ভাইরাসের কারণে সর্দি হয়ে থাকে।

শীতের সময় এ ভাইরাসগুলো দ্রুত সংক্রমিত বা ছড়িয়ে পড়ার মতো পরিবেশ পায়। তাই এ সময়টাতে মানুষের সর্দি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। সর্দি থাকা অবস্থায় সংক্রমণকারী জীবাণু নাসারন্ধ্রের ভেতরে মিউকাস লাইনিং অতিক্রমের মাধ্যমে প্রবেশ করে। এতে নাসারন্ধ্রের ভেতর অতিরিক্ত সর্দি জমা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘রাইনোরেয়া’ বলা হয়।

ঘরোয়া উপায়ে সেরে উঠুন ঠান্ডা-সর্দির হাত থেকে সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই ঠান্ডা-সর্দি ভালো হয়ে যায়। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে আরও দ্রুত সময়ে এ সমস্যা দূর করা সম্ভব। চলুন, একনজরে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক—

গরম পানির ভাপ

সর্দির সমস্যায় ভুগলে প্রথমেই গরম পানির ভাপ বা স্টিম ইনহেল করা প্রয়োজন। যদি সমস্যা বেশি হয় তাহলে দিনে ২-৩ বার এ গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে, তাদের পোস্ট নেজাল ড্রিপিং হয় এবং সেই পানি গলায় প্রবেশ করে কাশির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে স্টিম ইনহেলেশন ভালো কাজ করে।

পানীয় তৈরি করুন

আদা, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, তেজপাতা, লবঙ্গ আর মেথি একটি পাত্রে একসঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। তীব্র গরম ভাব কেটে গেলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এতে খুশখুশে কাশি থাকলে তো কমবেই, সেই সঙ্গে ইনফ্লামেশনও চলে যাবে।

তরল পানীয় পান করুন

সর্দি কমাতে সারা দিন গরম পানি পান করতে পারেন। সেই সঙ্গে স্যুপ, আদা ও মধু দেওয়া চা খেতে পারেন। তবে শরীরে আর্দ্রতার যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

গার্গল করুন

গরম পানি গার্গল করলে সর্দি অনেকটা কমে যায়। এ জন্য লবণ দেওয়া গরম পানি দিয়ে সকালে ও রাতে গার্গল করুন। এতে সর্দি কমার পাশাপাশি গলার খুশখুশে ভাব কেটে যাবে।

আমলকী বা লেবু খান

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই আমলকী বা লেবুর মতো ফল প্রতিদিন নিয়ম করে খেলে সর্দি থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

পেঁয়াজ

সর্দির সমস্যা দূর করার জন্য পেঁয়াজ হতে পারে একটি কার্যকর উপাদান। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করার সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে দেয়। একটি পাত্রে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ কেটে তাতে মধু মেশান। এরপর সারারাত পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সকালে খালি পেটে এর থেকে বেরিয়ে আসা সামান্য তরলটুকু পান করলেই উপকার মিলবে।

তুলসী পাতা

তুলসী পাতাকে অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। বিশেষ করে সর্দি-কাশিতে তুলসী পাতা বেশ উপকারী একটি উপাদান। প্রথমে তুলসী পাতা ও আদা একসঙ্গে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে মিশ্রণটি দিনে দুবার পান করলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

ঠান্ডাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

যে কোনো ঠান্ডাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যেমন : দই, শরবত ও আইসক্রিম—এসব খাবার খেলে সর্দি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:২৪ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সাফল্য, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত নতুন করে গজাবে

অনেক প্রজাতির প্রাণীর একাধিকবার দাঁত গজালেও মানুষের ক্ষেত্রে সুস্থ দাঁতের জন্য সুযোগ আসে মাত্র একবারই। তবে এই বাস্তবতা হয়তো শিগগিরই বদলে যেতে পারে।

সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে দাঁত গজাতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও এখনই এটি মানুষের ওপর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। গবেষণাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া জন্য এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিংস কলেজের রিজেনারেটিভ ডেন্টিস্ট্রির পরিচালক ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি বলেন, ‘জৈবিক উপায়ে দাঁত প্রতিস্থাপন বা নতুন দাঁত গজানোর ধারণাটিই আমাকে কিংসে নিয়ে এসেছে। আমরা পরীক্ষাগারে দাঁত গজিয়ে জ্ঞানের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ করছি।’

ডা. আনা অ্যাঞ্জেলোভা ভলপনি.
আজকাল নিখুঁতভাবে হাসতে পারার আশায় অনেকেই ব্রেস বা ইমপ্লান্টের আশ্রয় নেন। তবে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে দাঁত প্রতিস্থাপন সবসময় ঝুঁকিমুক্ত হয় না। ইমপ্লান্টের পর অনেক রোগী নতুন নতুন সম্যার সম্মুখীন হন এবং দীর্ঘদিন ধরে দন্তচিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হয়। যার কারণে রোগীর পাশাপাশি দন্তচিকিৎসকদের জন্যও এটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিংস কলেজের দন্ত অনুষদের ওরাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল সায়েন্সেস বিভাগের শেষ বর্ষের পিএইচডি শিক্ষার্থী জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘ইমপ্লান্ট করতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় এবং তা সফল করতে হাড় ও ইমপ্লান্টের মধ্যে সঠিক সমন্বয় দরকার। কিন্তু ল্যাবে তৈরি দাঁত স্বাভাবিকভাবে গজাবে এবং চোয়ালের সঙ্গে একীভূত হবে ঠিক আসল দাঁতের মতো। এই দাঁতগুলো হবে বেশি শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী এবং শরীরের পক্ষে আরও উপযোগী ও গ্রহণযোগ্য—যা ফিলিং বা ইমপ্লান্টের চেয়ে উন্নত সমাধান।’

কিংস কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এক ধরনের বিশেষ উপাদান তৈরি করেছেন, যা কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম।

এর ফলে এক কোষ অন্য কোষকে দাঁতের কোষে রূপান্তরিত হওয়ার সংকেত দিতে পারে, যা দাঁত গজানোর স্বাভাবিক পরিবেশ অনুকরণ করে নতুন দাঁত গজায়।

পরীক্ষাগারে দাঁত গজানোর জন্য এই প্রক্রিয়াটি সফল হয়েছে। সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—এই দাঁত কীভাবে মানুষের মুখে প্রতিস্থাপন করা যাবে তা নির্ধারণ করা।

জুয়েচেং ঝাং
জুয়েচেন ঝাং বলেন, ‘আমাদের কিছু ধারণা রয়েছে—যেমন দাঁতের কোষগুলো সরাসরি মুখে প্রতিস্থাপন করা এবং সেগুলোকে সেখানেই গজাতে দেওয়া। অথবা দাঁতটি পুরোপুরি ল্যাবে তৈরি করে পরে তা রোগীর মুখে স্থাপন করা যেতে পারে।’

তবে যেভাবেই হোক, পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে পরীক্ষাগার থেকেই।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ দাঁত হারানোর সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধু খাওয়া বা কথা বলায় সমস্যার সৃষ্টি করে না বরং সৌন্দর্যগত ও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের ভেতর দিয়ে মুখের জীবাণু রক্তপ্রবাহে ঢুকে হৃদরোগ ও সংক্রমণের কারণও হতে পারে—যা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

কিংস কলেজের ক্লিনিক্যাল লেকচারার ও প্রস্থোডন্টিক্স বিশেষজ্ঞ সাওরশে ও’টুল বলেন, ‘দাঁত পুনর্জন্মে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এটি দন্তচিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এটি আমার চিকিৎসাজীবনের সময়কালে কার্যকর হবে কিনা নিশ্চিত নই, তবে আমার সন্তানরা জীবদ্দশায় সম্ভবত দেখা যাবে। আর তাদের সন্তানেরা হয়তো এটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে।’

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।