খুঁজুন
সোমবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শ্যামনগর বিএনপি’র মহান বিজয় দিবস উদযাপন

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শ্যামনগর বিএনপি’র  মহান বিজয় দিবস উদযাপন

১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বর্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে অর্জিত হয়েছিল রক্তে রঞ্জিত আমাদের লাল সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তিতে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করেছে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি। এ উপলক্ষে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সোমবার ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক সাংসদ কাজী আলাউদ্দিন,উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ,জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আশেক এলাহী মুন্নার নেতৃত্বে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোপালপুরস্থ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিসৌধে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আবু সাঈদ, চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম,চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম,যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক(আপ্পু), আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড মাসুদুল আলম দোহা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামার ঢালী,ভুরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, কাশিমাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুস সবুর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ,নুরনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন মন্টু, কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আজাদ খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি শহিদুজ্জামান(শহীদ), সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি আমির হামজা (আবু), ইশ্বরীপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি জয়নাল সরদার, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন বিএনপি’র (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি নুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোজাম মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য আবিদ হাসান, আটুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোঃ কালাম মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী,পদ্মপুকুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ গাজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সাইফুল ইসলাম, গাবুরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল আলম (মিলন) উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ নাজমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মজনু এলাহী,হাফিজা আল আছাদ কল্লোল, মশিউর রহমান সুইট, খালেকুজ্জামান টুকু, বাবলু রহমান,কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য ও উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান পারভীন (ঝর্ণা), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার সিদ্দিক, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান (রফিক) সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রিপন, উপজেলা তরুণ দলের সভাপতি জয়নাল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আজবাহার লিটন,উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম (আবু) সিনিয়র আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন,সরকারি মহাসিন ডিগ্রী কলেজের আহ্বায়ক উজ্জল হোসেন, মোক্তার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল্লাহ,আল আমিন, আরিফুল মমিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

পুষ্প অর্পণ শেষে শ্যামনগর বাস স্ট্যান্ডে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী আলাউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড আশেক ইলাহী মুন্না, যুব বিষয়ক সম্পাদক জহরুল হক আপ্পু।

সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি শেষ হয়।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

আজ ৫ অক্টোবর (রোববার), বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকতা পেশা : মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ বাংলাদেশেও এই দিবস উদযাপন হবে।

শিক্ষক ছাড়া জাতির অগ্রগতি অসম্ভব—সেজন্য ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

একজন শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তিনি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তা, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকরাই জাতিকে আলোকিত পথে এগিয়ে নিয়ে যান এবং সমাজকে গড়ে তোলেন জ্ঞান ও নৈতিকতার ভিত্তিতে। তাই তাদের ভূমিকা জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে অনন্য ও অপরিসীম। এই দিবসটি শিক্ষকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাজকে মূল্যায়ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষকরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করেন এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখেন। শিক্ষকদের পেশাগত স্বাধীনতা, অধিকার এবং উন্নত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশার প্রতি তরুণদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এই দিবসের অন্যতম তাৎপর্য।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। শিক্ষক দিবস কেবল আনুষ্ঠানিকতার দিন নয়, এটি শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরার এক মূল্যবান মুহূর্ত।

দিবসি পালনের অংশ হিসেবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার সকালে গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ১২ জন শিক্ষককে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এজন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬ জন শিক্ষককে নির্বাচিত করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়, কলেজ, মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বাছাই করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই শুরু হয় বিসর্জন।

এর আগে ণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিকাল থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজার পর দেবী মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যান। তাই দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতার। দর্পণ বিসর্জনের পর রীতি অনুযায়ী, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবীকে সিঁদুর, তেল, পান-চিনি নিবেদন করে ভক্তরা অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানান। বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা।

প্রতি বছরের মতো এবারও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীতে জেলার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল এবং স্থানীয় পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। দুপুর থেকে ট্রাক ও ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় খোলপেটুয়া নদীতে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বিসর্জন দেখতে হাজির হন হাজারো মানুষ। দ্বিতীয় টাকি খ্যাত বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীতে বিসর্জন কার্যক্রমের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

বিকেলে খোলপেটুয়া নদী তীরে গিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা প্রমুখ।

এ বছর জেলার ৫৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হাজির হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। তবে, এবারো ইছামতিতে ভাসেনি মিলনমেলার তরী। নিজ নিজ সীমানার মধ্যে থেকেই প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

অনেক বাবা-মা মনে করেন, সন্তান হয়তো ঠিকমতো খাচ্ছে না বলেই উচ্চতা বাড়ছে না। আসলে শুধু খাওয়ার পরিমাণই নয়, কী ধরনের খাবার খাচ্ছে সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বৃদ্ধি (গ্রোথ) এবং উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি—যেমন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনস, আয়রন ও খনিজ পদার্থ।

এমন কিছু ফল আছে যেগুলোর রসে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান শিশুদের হাড় মজবুত করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং স্বাভাবিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিচে এমন তিনটি ফলের রসের কথা বলা হলো, যেগুলো শিশুদের ডায়েটে যুক্ত করলে উপকার পেতে পারেন।

১. পেয়ারার রস

পেয়ারা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রসও অনেক পুষ্টিকর। এতে থাকে:

ভিটামিন C – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ক্যালসিয়াম – হাড় মজবুত করে

ভিটামিন B ও ফাইবার – হজমে সাহায্য করে

শিশুরা যদি নিয়মিত পেয়ারার রস খায়, তবে তাদের হজমশক্তি ভালো থাকে, যা সরাসরি পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

টিপস: বাড়িতে টাটকা পেয়ারা ব্লেন্ড করে অল্প পানি ও মধু মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর জুস বানাতে পারেন।

২. স্ট্রবেরির রস

স্ট্রবেরি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, এর গুণও তেমন চমৎকার। এতে থাকে:

ভিটামিন C, আয়রন ও ক্যালসিয়াম

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট – শরীরের কোষকে সুস্থ রাখে

প্রোটিন – দেহের গঠন ও হাড়ের বৃদ্ধি ঘটায়

স্ট্রবেরির রস শিশুদের হাড়কে শক্তিশালী করে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে। নিয়মিত এই রস খাওয়ালে শিশুদের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে চলতে পারে।

টিপস: স্ট্রবেরির মৌসুমে টাটকা ফল দিয়ে রস তৈরি করুন, চাইলে দুধ বা কলাও মিশিয়ে দিতে পারেন।

৩. কলার শেক

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান শিশুদের জন্য এক কথায় পারফেক্ট। এতে থাকে:

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম – হাড় ও পেশিকে মজবুত করে

ভিটামিন B6 ও ফাইবার

প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম – দেহের গঠন ও গ্রোথে সহায়ক

প্রতিদিন এক গ্লাস কলার শেক খেলে শিশুদের শক্তি বাড়ে, হজম ভালো হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয়।

টিপস: দুধ, কলা, অল্প মধু এবং চাইলে সামান্য বাদাম দিয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর কলার শেক তৈরি করুন।

অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ

শুধু ফলের রস খেলেই উচ্চতা বাড়বে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন:

– সঠিক ঘুম – দিনে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা

– নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা – যেমন সাঁতার, দড়ি লাফ, বাস্কেটবল

– পর্যাপ্ত পানি পান – শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে

– সঠিক খাবার – প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও সবজি

উচ্চতা বৃদ্ধি একটি ধীর ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। সন্তানকে কখনোই জোর করে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বরং ফলের রসের মতো পুষ্টিকর ও সুস্বাদু বিকল্প দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এই ৩টি ফলের রস তাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে ধীরে ধীরে আপনি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, সন্তান যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম উচ্চতার হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একবার পেডিয়াট্রিশিয়ানের (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নিন। কারণ এর পেছনে অন্য কোনো শারীরিক কারণও থাকতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস (বাংলা)