খুঁজুন
সোমবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরা-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সমালোচনার ঝড় :বিক্ষোভ মিছিল

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
সাতক্ষীরা-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সমালোচনার ঝড় :বিক্ষোভ মিছিল

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্যামনগরের সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর পৌরসভায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার ২টি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শ্যামনগরের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে শুরু হয় আলোচনা–সমালোচনা । রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তাঁরা ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না’, ‘শ্যামনগর আসন ছিল, শ্যামনগর থাকবে’, ‘পুনর্গঠন সিদ্ধান্ত বাতিল কর, করতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে জেসি কমপ্লেক্স চত্বরে পথসভা করে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড.মনিরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়ামন কবীর, জেলা বিএনপির সদস্য জি এম লিয়াকত আলী, সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান, যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটির আসন পুনর্বিন্যাস করে প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামনগর উপজেলার সঙ্গে আশাশুনি উপজেলার সরাসরি যোগযোগ নেই। শ্যামনগর থেকে আশাশুনি যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে অথবা নৌকায় বিশাল খোলপেটুয়া নদী পার হয়ে যেতে হয়।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে ছিল আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ ৪টি ইউনিয়ন। পুনর্বিন্যাস করে কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সুন্দরবনঘেষা বৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর একটি পৃথক সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা -৫ ছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর আশাশুনীকে সাতক্ষীরা ৪ আসন হিসেবে খসড়া তালিকাভুক্ত করে। এটি নিয়ে সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিলে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা খুলনায় একটি শুনানী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন। বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে নির্বাচন কমিশন শ্যামনগর ও আশাশুনীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জের কাকশিয়ালী নদীর দক্ষিণ পাশের কালীগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন সর্বমোট ২০ টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন গঠিত হয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ৩০ জুলাই”২০২৫ একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৮ সালে পূর্বের ন্যায় শ্যামনগর ও আশাশুনী উপজেলাকে
সাতক্ষীরা সংসদীয় ৪ আসন নিয়ে যে নতুন রুপরেখা দিয়েছে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এখানে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্ত ঞ এবং ট অনুসরণ করা হয়নি।কালিগঞ্জ উপজেলার ভৌগোলিক অখন্ডতার কারণ দেখিয়ে ২০০৮ সালে শ্যামনগর এবং আশাশুনি সাতক্ষীরা চার আসন হিসেবে নির্বাচন কমিশনের খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে উপজেলার আংশিক অংশ নিয়ে নির্বাচনী এলাকা গঠিত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভৌগলিক অখন্ডতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। তদপুরি প্রতিকূল পরিবেশের কারণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি।

শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের একটি সর্ববৃহৎ উপজেলা এর সাথে যোগ করা হয়েছে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনী উপজেলা এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে সাতক্ষীরা সংসদীয় ৪ আসন। এই দুটি উপজেলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতবিক্ষত হয় এইসব জনপদ । এই দুটি উপজেলার সঙ্গে সরাসরি কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই এক উপজেলার থেকে আরেক উপজেলায় যেতে সময় লাগে ‌ প্রায় চার ঘন্টা।পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার কাকশিয়ালী নদীর উপর দিয়ে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া শ্যামনগর ও আশাশুনির মধ্যে যোগাযোগের অন্য একটি ব্যবস্থা আছে শ্যামনগরের উপর দিয়ে বহমান খরস্রোতা খোলপেটুয়া নদী পার হয়ে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের একটি ছোট করিডোর যা বাস্তবতার সঙ্গে কোনমতেও মানানসই নয়। শুধুমাত্র মানচিত্রে সংযুক্ত থাকলেও বাস্তবিক অবস্থা অনেকটা ভিন্নতর। নির্বাচনের সময় এই নদী পারাপার হতে মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকবে নির্বাচনের প্রার্থী ও কর্মী সমার্থকরা। বড় নদী পারাপারে যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এমনিতেই সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই দুই উপজেলার নদী পারাপারের নৌযান বন্ধ হয়ে যায়।এর আগে শ্যামনগরের ১১ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৮ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল সাতক্ষীরা সংসদীয় ৪ আসন এখানে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ছিল। সে কারণে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা ও কালীগঞ্জের আংশিক নিয়ে সাতক্ষীরা সংসদীয় ৪ আসন সঠিক ছিল বলে জনপদের মানুষ মনে করে ।বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের চারটি রেঞ্জের একটি শ্যামনগরে অবস্থিত হওয়ায় শ্যামনগর বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা। পূর্বে শ্যামনগর এলাকা নিয়ে সাতক্ষীরা ৫ আসন গঠিত ছিল। নতুন সীমানা নির্ধারণের ফলে ভোটারদের প্রতিনিধিত্বে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হবে এতে ভোটাধিকার ক্ষুন্ন হবে। শ্যামনগর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও পূর্বের মতো পৃথক আসন না রেখে আশাশুনী উপজেলার সঙ্গে একীভূত করায় জমমনে দারুন অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি আগের সীমানা পুনঃ নির্ধারণ করা হোক অথবা শ্যামনগরকে একটি স্বতন্ত্র আসন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হোক। খসড়া প্রকাশের পর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগকে মাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।

নির্বাচন কমিশনের নতুন সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটিয়ে আগের সিদ্ধান্তে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শ্যামনগরবাসী।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

আজ ৫ অক্টোবর (রোববার), বিশ্ব শিক্ষক দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকতা পেশা : মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ বাংলাদেশেও এই দিবস উদযাপন হবে।

শিক্ষক ছাড়া জাতির অগ্রগতি অসম্ভব—সেজন্য ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

একজন শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তিনি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তা, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শিক্ষকরাই জাতিকে আলোকিত পথে এগিয়ে নিয়ে যান এবং সমাজকে গড়ে তোলেন জ্ঞান ও নৈতিকতার ভিত্তিতে। তাই তাদের ভূমিকা জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে অনন্য ও অপরিসীম। এই দিবসটি শিক্ষকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কাজকে মূল্যায়ন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষকরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করেন এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখেন। শিক্ষকদের পেশাগত স্বাধীনতা, অধিকার এবং উন্নত বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশার প্রতি তরুণদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা এই দিবসের অন্যতম তাৎপর্য।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয়েছে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান। শিক্ষক দিবস কেবল আনুষ্ঠানিকতার দিন নয়, এটি শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও গুরুত্ব পুনরায় তুলে ধরার এক মূল্যবান মুহূর্ত।

দিবসি পালনের অংশ হিসেবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার সকালে গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ১২ জন শিক্ষককে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এজন্য প্রাথমিকভাবে ৩৬ জন শিক্ষককে নির্বাচিত করা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়, কলেজ, মাধ্যমিক, মাদরাসা, কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বাছাই করা হয়।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই শুরু হয় বিসর্জন।

এর আগে ণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিকাল থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজার পর দেবী মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যান। তাই দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতার। দর্পণ বিসর্জনের পর রীতি অনুযায়ী, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবীকে সিঁদুর, তেল, পান-চিনি নিবেদন করে ভক্তরা অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানান। বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা।

প্রতি বছরের মতো এবারও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীতে জেলার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদী, খাল এবং স্থানীয় পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। দুপুর থেকে ট্রাক ও ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় খোলপেটুয়া নদীতে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বিসর্জন দেখতে হাজির হন হাজারো মানুষ। দ্বিতীয় টাকি খ্যাত বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীতে বিসর্জন কার্যক্রমের নিরাপত্তায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

বিকেলে খোলপেটুয়া নদী তীরে গিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা প্রমুখ।

এ বছর জেলার ৫৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তের ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হাজির হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। তবে, এবারো ইছামতিতে ভাসেনি মিলনমেলার তরী। নিজ নিজ সীমানার মধ্যে থেকেই প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা।

এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
এই ৩ ফলের রসে স্বাভাবিকভাবে বাড়বে সন্তানের উচ্চতা

অনেক বাবা-মা মনে করেন, সন্তান হয়তো ঠিকমতো খাচ্ছে না বলেই উচ্চতা বাড়ছে না। আসলে শুধু খাওয়ার পরিমাণই নয়, কী ধরনের খাবার খাচ্ছে সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বৃদ্ধি (গ্রোথ) এবং উচ্চতা বাড়ানোর জন্য দরকার সঠিক পুষ্টি—যেমন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনস, আয়রন ও খনিজ পদার্থ।

এমন কিছু ফল আছে যেগুলোর রসে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান শিশুদের হাড় মজবুত করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং স্বাভাবিকভাবে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিচে এমন তিনটি ফলের রসের কথা বলা হলো, যেগুলো শিশুদের ডায়েটে যুক্ত করলে উপকার পেতে পারেন।

১. পেয়ারার রস

পেয়ারা শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রসও অনেক পুষ্টিকর। এতে থাকে:

ভিটামিন C – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ক্যালসিয়াম – হাড় মজবুত করে

ভিটামিন B ও ফাইবার – হজমে সাহায্য করে

শিশুরা যদি নিয়মিত পেয়ারার রস খায়, তবে তাদের হজমশক্তি ভালো থাকে, যা সরাসরি পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

টিপস: বাড়িতে টাটকা পেয়ারা ব্লেন্ড করে অল্প পানি ও মধু মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর জুস বানাতে পারেন।

২. স্ট্রবেরির রস

স্ট্রবেরি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, এর গুণও তেমন চমৎকার। এতে থাকে:

ভিটামিন C, আয়রন ও ক্যালসিয়াম

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট – শরীরের কোষকে সুস্থ রাখে

প্রোটিন – দেহের গঠন ও হাড়ের বৃদ্ধি ঘটায়

স্ট্রবেরির রস শিশুদের হাড়কে শক্তিশালী করে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে। নিয়মিত এই রস খাওয়ালে শিশুদের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে চলতে পারে।

টিপস: স্ট্রবেরির মৌসুমে টাটকা ফল দিয়ে রস তৈরি করুন, চাইলে দুধ বা কলাও মিশিয়ে দিতে পারেন।

৩. কলার শেক

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান শিশুদের জন্য এক কথায় পারফেক্ট। এতে থাকে:

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম – হাড় ও পেশিকে মজবুত করে

ভিটামিন B6 ও ফাইবার

প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম – দেহের গঠন ও গ্রোথে সহায়ক

প্রতিদিন এক গ্লাস কলার শেক খেলে শিশুদের শক্তি বাড়ে, হজম ভালো হয় এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয়।

টিপস: দুধ, কলা, অল্প মধু এবং চাইলে সামান্য বাদাম দিয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর কলার শেক তৈরি করুন।

অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ

শুধু ফলের রস খেলেই উচ্চতা বাড়বে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন:

– সঠিক ঘুম – দিনে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা

– নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা – যেমন সাঁতার, দড়ি লাফ, বাস্কেটবল

– পর্যাপ্ত পানি পান – শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে

– সঠিক খাবার – প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ও সবজি

উচ্চতা বৃদ্ধি একটি ধীর ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। সন্তানকে কখনোই জোর করে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বরং ফলের রসের মতো পুষ্টিকর ও সুস্বাদু বিকল্প দিয়ে তাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

এই ৩টি ফলের রস তাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে ধীরে ধীরে আপনি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, সন্তান যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম উচ্চতার হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একবার পেডিয়াট্রিশিয়ানের (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নিন। কারণ এর পেছনে অন্য কোনো শারীরিক কারণও থাকতে পারে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস (বাংলা)