মন্ত্রী হলেন সাবেক ক্রিকেটার আজহারউদ্দিন
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। শুক্রবার রাজভবনে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব ভার্মা। শপথ বাক্য গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ. রেভান্ত রেড্ডিসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারে সর্বোচ্চ ১৮ জন মন্ত্রী থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আজহারউদ্দিন মন্ত্রী হওয়ায় তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের মন্ত্রীর সংখ্যা হলো ১৬ জন। মুসলিম মুখ হিসেবে একমাত্র তিনিই মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন।
১১ নভেম্বর রাজ্যটির জুবিলি হিলস বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের মন্ত্রিসভায় আজহারউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেক্ষেত্রে মুসলিম অধ্যুষিত ওই আসনটিতে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পরে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই বিধানসভা আসনে মোট ভোটার প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ ১ লাখ ৪০ হাজার ভোটার মুসলিম সম্প্রদায়ের।
তেলেঙ্গানা রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজহারউদ্দিনকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী এ. রেবন্ত রেড্ডি
তেলেঙ্গানা রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজহারউদ্দিনকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী এ. রেবন্ত রেড্ডি
বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস রাজনৈতিক তোষণের খেলায় মেতেছে। আসন্ন উপনির্বাচনে বড় দলগুলোর মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস)- প্রার্থী মাগন্তী সুনীতা (প্রয়াত গোপীনাথের স্ত্রী), কংগ্রেসের বল্লালা নবীন যাদব ও বিজেপির লঙ্কালা দীপক রেড্ডি।
যদিও আজহার বলেন, ‘আমি খুশি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, সাধারণ মানুষ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। জুবিলি হিলস বিধানসভা উপনির্বাচনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। উপনির্বাচন এবং আমার মন্ত্রী হওয়া- দুটি ভিন্ন বিষয়। একটার সাথে অপরের মিল নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যেই দায়িত্বই দেওয়া হোক না কেন, নিপীড়িত মানুষের উন্নয়নের জন্য সততার সাথে কাজ করব।’

আপনার মতামত লিখুন