খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামে সামাজিক দায়িত্ব ও দায়িত্ববোধ

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
ইসলামে সামাজিক দায়িত্ব ও দায়িত্ববোধ

ইসলামে সামাজিক দায়িত্ব ও দায়িত্ববোধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন মুসলিমের জীবন কেবল ব্যক্তিগত ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমাজে ন্যায়বিচার, দয়া, ও সহযোগিতার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ এবং উন্নত সমাজ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি মুসলিমের উপর কিছু দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে।

কুরআন ও হাদিসে এই সামাজিক দায়িত্বের বিষয়টি বিভিন্নভাবে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।

সামাজিক দায়িত্বের গুরুত্ব: ইসলামে মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সাহায্যের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ কুরআনে বলেন: আর তোমরা সৎকর্ম ও পরহেযগারিতায় একে অপরের সহায়ক হও, কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরের সহায়ক হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত ২)

এই আয়াতে আল্লাহ তার বান্দাদের ন্যায় ও কল্যাণের কাজে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। একজন মুসলিমের দায়িত্ব হলো, সমাজের কল্যাণে কাজ করা এবং পাপ থেকে দূরে থাকা।

গরিব ও দুস্থদের সাহায্য করা: ইসলামে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপর দরিদ্র ও অসহায়দের সাহায্য করার দায়িত্ব রয়েছে। ইসলামিক শিক্ষা অনুযায়ী, এটি একটি মৌলিক দায়িত্ব, যা মানবসম্প্রদায়ের সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আল্লাহ বলেন: আর তাদের সম্পদে নির্দিষ্ট হক রয়েছে, ভিক্ষুক ও বঞ্চিতদের জন্য।(সূরা আদ-যারিয়াত, আয়াত ১৯)

এই আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, প্রতিটি মুসলিমের উপর সমাজের দরিদ্র এবং অসহায়দের অধিকার রয়েছে। ইসলামে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য যাকাত, সদকা, ফিতরা ইত্যাদি দানের ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখা হয়েছে।

পারিবারিক ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি দায়িত্ব: পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করাও ইসলামের অন্যতম সামাজিক দায়িত্বের একটি অংশ। পিতা-মাতার প্রতি, সন্তান-সন্ততির প্রতি, এবং আত্মীয়স্বজনের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে কুরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ বলেন: আর তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাঁদেরকে ‘উফ্’ বলো না এবং তাঁদেরকে ধমক দিও না, বরং তাদের সাথে নম্র ও ভদ্রভাবে কথা বলো।” (সূরা আল-ইসরা, আয়াত ২৩)

এই আয়াতটি আমাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনের গুরুত্বকে নির্দেশ করে। তাদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা এবং যত্ন নেওয়া প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য।

প্রতিবেশীর অধিকার: ইসলামে প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতি ও দায়িত্ব পালনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: তিনি ঈমানদার হতে পারে না, যে তার প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে নিজে তৃপ্ত থাকে। (সহিহ বোখারি)

এই হাদিসের মাধ্যমে সমাজে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে এবং মানবিক দায়িত্ব পালন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। মুসলিম সমাজে প্রতিবেশীর সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে বিবেচিত হয়।

ন্যায় ও সৎকর্মে দায়িত্ববোধ: ইসলামে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উপর অত্যন্ত জোর দেওয়া হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার, সদাচার ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি সদয় আচরণ করতে নির্দেশ দেন এবং অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও অবাধ্যতা থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৯০)

এটি একটি সমাজে ন্যায়বিচার এবং সৎকর্মের গুরুত্ব নির্দেশ করে। একজন মুসলিমের দায়িত্ব হলো, প্রতিটি কাজ ন্যায়ের ভিত্তিতে সম্পন্ন করা এবং অশ্লীলতা ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা।

হাদিসে সামাজিক দায়িত্বের শিক্ষা: রাসূলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমদের সামাজিক দায়িত্ব পালন সম্পর্কে সচেতন করেছেন। তিনি বলেন: “সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণকারী। (আল-মুআত্তা)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, একজন প্রকৃত মুসলিমের দায়িত্ব হলো সমাজের কল্যাণে কাজ করা। নিজের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি অন্যদের প্রয়োজনও মেটানো উচিত।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব: ইসলামের সামাজিক দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, কোনো মুমিন কখনো সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে না। আল্লাহ বলেন: আর পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২০৫)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব রয়েছে।

ইসলামে সামাজিক দায়িত্ব ও দায়িত্ববোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। একজন মুসলিমের দায়িত্ব হলো, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, গরিব ও অসহায়দের সাহায্য করা, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা করা, এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

ইসলামের এই শিক্ষাগুলো অনুসরণ করলে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠন সম্ভব।

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভে‌সে গে‌ছে হাজার হাজার বিঘার মৎস‌্য ঘের। এতে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙ্গন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের আরও ৬টি গ্রা‌মে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। এসব গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঘ‌রে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।