খুঁজুন
বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ‘ডাক’ রিজভীর

সুন্দরবন নিউজ২৪ /ন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২১ অপরাহ্ণ
স্ত্রীর শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ‘ডাক’ রিজভীর

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমননা এবং আগরতলায় উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনে’র আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী নিজের স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমের দেওয়া ভারতীয় শাড়ি নিজের হাতে ছুড়ে ফেলে দেন। পরে নেতাকর্মীরা সেই শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

রিজভী বলেন, ‘যারা আমার দেশের পতাকাকে নেমে ছিঁড়ে দেয়… আমরা তাদের দেশের পণ্য বর্জন করব। আমরা তাদের দেশের যে শাড়ি কিনতো আমাদের মা-বোন-স্ত্রীরা; তারা আর ভারতীয় শাড়ি কিনবে না। তারা ভারতের সাবান কিনবে না, তারা ভারতের টুথপেস্ট কিনবে না, তারা ভারতের কোনো কিছু কিনবে না।’

‘আমার দেশ আমরা স্বনির্ভর। আমার এখানে পেঁয়াজ হয়… ভারতের পেঁয়াজের চাইতে আমাদের পেঁয়াজের ঝাঁজ অনেক বেশি, ভারতের মরিচের চাইতে আমাদের মরিচের ঝাল অনেক বেশি… আমাদের যদি জায়গা না থাকে আমরা ছাদের ওপরে মরিচ লাগাব, আমরা বাড়ির উঠানের মধ্যে পেঁপে গাছ লাগাব… তাই আমরা এদের (ভারত) মুখাপেক্ষী হবো না… আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব ‘

ইন্ডিয়ার শাড়ি ছুড়ে ফেলে দিলেন রিজভী

রিজভী বলেন, ‘একটি পুরনো শাড়ি আমার বাসায় আমার স্ত্রীর ছিলো… আমার স্ত্রী আমাকে দিয়েছে একটি ইন্ডিয়ান শাড়ি… আমি বলেছি আজকে এটা দিয়ে দাও.. সে এটা দিয়ে দিয়েছে। এই সেই ইন্ডিয়ান শাড়ি আমার স্ত্রী সে নিজেই এই শাড়ি দিয়েছে এটা আজকে আপনাদের সামনে আমি ছুড়ে ফেললাম (ছুড়ে ফেলে দিলে কর্মীরা ভারতবিরোধী শ্লোগান দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন)… আর কোনো ভারতীয় শাড়ি নয়।’

‘আমরা টাঙ্গাইলের শাড়ি পড়ব, আমরা রাজশাহীর সিল্ক পড়ব, আমরা কুমিল্লার খদ্দর পড়ব,’ বলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা।

এ সময় কর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন, ‘বয়কট বয়কট, ভারতীয় পণ্য বয়কট’।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ ব্যানারে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশী পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, ‘আপনারা একটু দেবেন… আপনাদের ওপর মুখাপেক্ষী থাকব এটা ভাবার কারণ নাই। যে আপনারা একটু দেবেন আর বলবেন তা শুনতে হবে… এটা দুই-একজন হাসিনার মতো লোক বলতে পারে… কিন্তু কোটি কোটি বাংলাদেশের মানুষ এটা করবে না।’

‘তবে আমার দেশের জনগণকে বলব, ওরা যে বাংলাদেশের লুণ্ঠন করার চেষ্টা করেছে, ওরা যে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে, আমাদের মর্যাদাহানি করার চেষ্টা করেছে… আমরা ভারতের পতাকাকে লাঞ্ছিত করব না, আমরা আরেকটা স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে ছোট করব না… আমরা প্রত্যেক জাতির যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সেটিকে আমরা অসন্মান করব না… আমরা ওদের মতো ছোটলোকি করব না। আমরা ওদের দেশের পতাকাকে সন্মান করব কিন্তু ওদের পণ্য বর্জন করব।’

একবেলা খেয়ে থাকব, আর মাথানত নয়

ভারতীয়দের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছো… তোমরা আমাদেরকে পছন্দ করো না। তারপরও তোমাদের জিনিস আমাদের কিনতে হবে?’

‘বাংলাদেশের মানুষ তো মাথানত করার মানুষ না। আমরা এক বেলা খেয়ে থাকব… তারপরও আমরা মাথানত করবো না।’

আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন?

রিজভী বলেন, ‘তারা নাকি বলে ভারতের অনেক সাংবাদিক, অনেক রাজনৈতিক নেতা তারা বলেন যে, আমাদের (ভারতে) এখানে না আসলে আপনাদের (বাংলাদেশের মানুষের) চিকিৎসা হয় না। আমি প্রশ্ন করি, আরে আপনারা কি বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন… আপনারা কি বিনা টাকায় এক কাপ চা খাওয়ান… এই নজির তো নাই আপনাদের।’

‘বাংলাদেশের লোক ডলার খরচ করে ওখানে গিয়ে। এখন কলকাতার নিউ মার্কেট বন্ধ, দোকান পাট বন্ধ সেখানে আর কোনো খরিদদার নাই… আমাদের ডলারে বাজার সদাই কেনা হতো।’

তিনি বলেন, ‘ওখানের একজন ডাক্তার নাকি বলেছেন, এবার বাংলাদেশের রোগী আসলে সেখানে ভারতীয় পতাকা এমনভাবে রাখা হবে যেন তারা মাথা নিচু করে ঢুকে। আপনারা বাংলাদেশের মানুষকে চিনেন না… আপনারা অনেক জাতিকে সেখানে (ভারতে) পদানত করে রেখেছেন যারা স্বাধীনতা চায়.. এগুলো আপনাদের বিষয় আমরা কিছু বলতে চাই না।’

‘কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চিনেন না। ওই পশ্চিম পাকিস্তানি পাঞ্জাবিরাও কিন্তু এদেশের মানুষকে… লুঙ্গি পরা মানুষ হাতে স্ট্যান্ড গান নিয়ে নদী সাঁতরে ওই পাকিস্তানিতে পরাভূত করেছে। নদীনালার দেশ, খাল-বিলের দেশ, বন্যা-খরার দেশ আমরা কি করে এই অবস্থায় শত্রুদের প্রতিরোধ করতে হয় সেটা আমরা জানি।’

রিজভী বলেন, ‘তারা(ভারত) নিষ্ঠুর হাসিনাকে পছন্দ করে, বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করে না। বাংলাদেশ টিকে থাকুক এটা তারা চায় না। আজকে তারা নানা ধরনের উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে.. বাংলাদেশের ভেতরে।’

‘কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের উস্কানিতে পা দেয়নি। দুই-একটা গোষ্ঠী থাকতে পারে…তারা চিহ্নিত হয়ে গেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে… পার্শ্ববর্তী দেশ যে আমাদের এখানে উস্কানি দিতে পারে এটা গোটা জাতি ধরে ফেলেছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর যে ঐক্য এটা ইস্পাত কঠিন ঐক্য; এই ঐক্যকে কেউ ভাঙতে পারবে না।’

রিজভী বলেন, ‘সেখানে একদল উগ্রবাদী মানুষ জোরপূর্বক বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন তার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাদের কর্মচারীকে আঘাত করেছে, আমাদের জাতীয় পতাকা যেটা পত পত করে উড়ছিলো সেটার স্ট্যান্ড ভেঙে আমাদের পতাকাকে তারা ছিঁড়েছে। কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজে-বাজে বলেছে… বোম্বের ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে তারা বলেছে… আমরা তাদের নানাবিধ বাংলাদেশবিরোধী প্রচার আমরা দেখছি।’

‘বাংলাদেশ সরকার আগরতলায় ভিসা বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে… এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।’

ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জাহিদুল কবির, জাহাঙ্গীর আলম, তৌহিদুর রহমান আউয়ালও বক্তব্য রাখেন।

শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
শ্যামনগরে সিপিপি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

শ্যামনগরে এক দুর্নীতিগ্রস্ত সিপিপি কর্মকর্তার দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় সিপিপি উপজেলা কার্যালয়,(জেসি কমপ্লেক্স)এর সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিপিপি শ্যামনগর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পৌরসভার সমস্ত নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকগণ অংশ নেয়।

ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শ্যামনগর পৌরসভার সিপিপি টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু, ১নং ইউনিট টিম লিডার নজরুল ইসলাম মুন্না, ২ নং ইউনিট টিম লিডার, ভবেসিন্দু মন্ডল, ৩ নং ইউনিট টিম লিডার হাবিবুর রহমান ৪ নং ইউনিট টিম লিডার ইয়াছিন মোড়ল ৫ নং ইউনিট টিম লিডার রবিন্দ্রনাথ মন্ডল ৬ নং ইউনিট টিম লিডার শাহীন ভূইয়া, ৭ নং ইউনিট টিম লিডার আব্দুর রশিদ নান্টু। ৮ নং ইউনিট টিম লিডার হেলাল মাহমুদ, ৯ নং ইউনিট টিম লিডার দেবাশিস গায়েন সহ অন্যান্য রা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি(সিপিপি) সহকারী পরিচালক শ্যামনগর মুন্সি নুর মোহাম্মদ, দুর্যোগে কাজ করা সিপিপি সংগঠনকে একটা বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

নীতিমালা তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতেছে, সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবী কাজে মনোভাব নষ্ট করছেন।

সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা -২০২১ অনুসারে সিপিপিতে যোগদানের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ নির্ধারণ থাকলেও এই নীতিমালা অমান্য করে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে নিপা চক্রবর্তী নামক একজন ৪০ উর্ধ্ব বয়স নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

অপর দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের তানিয়া নামক ১৬ বছর বয়সের নারী স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন ।

কর্মকর্তার আন অফিসিয়াল তার কথা না শোনার কারনে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মাছুরা নামক নারী স্বেচ্ছাসেবককে বিনা কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে কর্মকর্তার মনোনীত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে রমজাননগরের আছমা মেম্বার, ও কৈখালীর রাবিয়া মেম্বারের সিপিপির আই ডি কার্ড দিতে তালবাহানা করেছে।

বক্তারা আরো বলেন:
এভাবে চলতে থাকলে শ্যামনগরের উপকূলীয় আমজনতা সিপিপি থেকে দুর্যোগের সময় সেবা পাবে না:
কর্মকর্তা মুন্সী নুর মোহাম্মদ একের পর এক নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করতে থাকে এবং তার সাথে সঙ্গ না দেওয়ায়, শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ আব্দুর রশিদ নান্টু নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা হয়রানি মূলক বেনামী অভিযোগ দিয়ে থাকেন ।

সর্বশেষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নামীয় ব্যক্তির পাঠানো অভিযোগে বিষয়টি পরিষ্কার হয়, মুন্সি নুর মোহাম্মদ, অভিযোগকারীদের স্থানে আব্দুর রাজ্জাকের নাম ব্যবহার করে ইয়াসিন মোড়ল এবং আব্দুর রশিদ নানটুর নামে পুনরায় অভিযোগ করে,
মিটিং সেমিনার কিংবা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে তুই তুকারি করে কথা বলেন এই কর্মকর্তা।
দুর্যোগের সময় বিশেষ মুহূর্তে অতি প্রয়োজনে কর্মকর্তাকে ফোন করলে ফোন কেটে দেন।
প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকরা অফিসে গেলে কর্মকর্তা বিরক্ত বোধ করেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে একে অপরের সাথে বিরোধ লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করেন এই কর্মকর্তা।

মন:পুত ব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে অফিশিয়ালি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বিশেষ করে যারা তার অনিয়ম কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকেন।

টাকার বিনিময়ে জাতীয় পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্য সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন,কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদ, তার কাছের ব্যক্তি রমজান নগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক ফারুক হোসেন কে অফিসের নথি প্রকাশ করে, নায্য পুরষ্কার প্রাপ্য নজরুলের ডকুমেন্টস জাল করে ততকালীন ইউ এন ও কাছে প্রেরণ করে

এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সাধারণ স্বেচ্ছাসেবকরা মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মকর্তা মুন্সি নুর মোহাম্মদের বদলি চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:০১ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ এবং কলেজ তৈরি করব : কাজী আলাউদ্দীন

সাতক্ষীরার আশাশুনির কুল্যায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায়  কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

 কুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনজুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায়  সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স.ম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস, সাবেক সদস্য সচিব মশিউর হুদা তুহিন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান লাল্টু প্রমূখ।

ধানের শীষের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে বাহাদুরপুর ব্রিজ ও কচুয়া ফুটবল মাঠ তৈরি করব। এবং কচুয়ায় একটি কলেজ নির্মাণ করব।

এ সময় তিনি আরো বলেন বিগত ১৭ বছর ধরে আশাশুনি উপজেলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, তার মধ্যে  কুল্যা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে,  এগুলোর উন্নয়ন করবো।

বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে এদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাসহ সাধারণ মানুষ যেমন মায়ের কোলে শিশুরা  নিরাপদ থাকে, তেমনি করে আমার সময়ও নিরাপদে রাখবো। এছাড়া এই অঞ্চলের  জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করব।
জনসভা শেষে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দর্শকদের ঢল; প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা কাজী আলাউদ্দিনের

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩ লক্ষ টাকার শহীদ জিয়া স্মৃতি ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। বুধবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল মাঠে রাজাপুর মধ্যম একসরা যুব সংঘের আয়োজনে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাতক্ষীরা–৩ (আশাশুনি–কালিগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন।
ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ বনাম হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাব। খেলার ২২ মিনিটে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের বিদেশি খেলোয়াড় জেরি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘের ইব্রাহিম সমতার গোল করে ম্যাচে ফিরে আসেন।দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ আরও দুই গোল করে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে। শেষ পর্যন্ত ৩–১ গোলের ব্যবধানে হাজিপুর ইয়ং স্টার ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কালিগঞ্জ পি.ডি.কে. মিতালী সংঘ। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাজী আলাউদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  কাজী আলাউদ্দিন  বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আশাশুনি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে মডেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করব। যুবকদের মাঠে ফেরাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধকে টেকসই করে তোলা, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা এবং এলাকার ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

খেলাধুলা মানুষের মন–মানসিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি চাই আমাদের এলাকার তরুণরা সুস্থ বিনোদন আর খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুক, দেশের ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হোক।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার, ক্রীড়া সুযোগ বৃদ্ধি—সবকিছুর জন্যই আমি কাজ করে যাব। আশাশুনি ও কালিগঞ্জের মানুষের আস্থা অর্জনই আমার মূল লক্ষ্য।