খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যপ্রাণী পাচারের ক্রাইম রুট এখন বাংলাদেশ

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
বন্যপ্রাণী পাচারের ক্রাইম রুট এখন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এ মুহূর্তে বন্যপ্রাণী পাচারের ‘ক্রাইম করিডর’-এ পরিণত হয়েছে। দেশে বন্যপ্রাণী বেচাকেনার নেটওয়ার্ক এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। বন্যপ্রাণী পাচারের ক্ষেত্রে যেমন শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে আবার ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এই অপরাধ করছেন। বিশ্বে মাদক ও মানব পাচারের পরই তৃতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ হচ্ছে বন্যপ্রাণীর পাচার বা অবৈধ ব্যবসা।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে কুমির, হাতি, হনুমান, গন্ধগোকুল, কাছিম, বনরুই, বানর, মায়াহরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫২৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। এই প্রাণীগুলো পাচারের উদ্দেশে এবং অবৈধভাবে বিক্রির জন্য পাচারকারীরা ধরেছিল। এসব প্রাণীর মধ্যে আছে শিয়াল, বনবিড়াল, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, কাঠবিড়ালি, তক্ষক, মেছোবিড়াল ও কুমির।

‘ইলিগ্যাল ওয়াইল্ডলাইফ ট্রেড ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া : এ স্টাডি অব কমপ্যারেটিভ ল’ শীর্ষক এক গবেষণায় জানা যায়, পাচারকারী চক্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাহিদার ভিত্তিতে কর ফাঁকি দিতে বাঘ ও সিংহের মতো প্রাণী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে পাচার করে। এরপর এগুলো ভারত ছাড়াও সেখান থেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি ‘ক্রাইম করিডর’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে পাচারকারীরা বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে।

ওই গবেষণায় বলা হয়, সীমান্ত দিয়ে অন্য দেশে হাতি ও বাঘ পাচারের বিষয়টি পাচারকারী চক্রের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আর এসব ঘটনার সঙ্গে দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু বন্যপ্রাণীর শরীরের বিভিন্ন অংশ ঐতিহ্যবাহী ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে প্রাণীর চর্বি, পিত্তের নির্যাস, মাংস, হাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার দেশে যারা কবিরাজ হিসেবে কাজ করছেন তারাও অনেক সময় বন্যপ্রাণীর শরীরের অংশ তাদের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছেন।

সম্প্রতি ওষুধের কাজে তক্ষক শিকার করার ঘটনাটি এরই মধ্যে সামনে এসেছে।
জানা গেছে, দেশে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বন্যপ্রাণী অপরাধ ইউনিট মোট ১ হাজার ৭২৬টি অপারেশন চালায়। এতে ১৬ হাজারের ওপর বন্যপ্রাণী এবং ২৬৪টি প্রাণীর ট্রফি (বন্যপ্রাণীর চামড়া) উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

দ্য কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেনজারড স্পিসেস অব ওয়াইল্ড ফোয়ানা অ্যান্ড ফ্লোরা (সিআইটিইএস) এর ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিশ্ববাজার থেকে বেশ কিছু বিপন্ন পাখি আমদানি করে তা পোষা পাখি হিসেবে বাংলাদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে দ্য গ্রেট গ্রিন ম্যাকাও, ব্লু থ্রোটেড ম্যাকাও, হাইব্রিড ম্যাকাও, মিলিটারি ম্যাকাও, রেড ক্রাউন প্যারাকেট, গোল্ডেন প্যারাকেট। সিআইটিইএস-এর পর্যবেক্ষণ বলছে, বাংলাদেশে এমন অনেক পাখি বিদেশ থেকে আসছে যেগুলো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যারা পাখি বিদেশ থেকে আনছেন তা দেখতে একই প্রজাতির হওয়ায় অন্য প্রজাতির পাখিও আনছেন। সহজে শনাক্ত না হওয়ায় এই ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্টদের বিভ্রান্ত করে বিপন্ন এসব পাখি দেশে নিয়ে আসছেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এক্সপ্লোরিং মার্কেট বেইজড ওয়াইল্ড ট্রেড ডায়নামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস ও মিয়ানমারে বন্যপ্রাণী বিক্রি হচ্ছে। দেশের মধ্যে পাহাড়ি এলাকা, জেলা শহরের নিকটবর্তী বন এলাকা এবং রাজধানী ঢাকার বাজারে দেশীয় প্রজাতি ছাড়াও দেশের বাইরের বন্যপ্রাণী বিক্রি হয়। প্রতিবেদনটি বলছে, বন্যপ্রাণীর মূল বেচাকেনার এক-তৃতীয়াংশ চট্টগ্রামেই হয়। এর কিছু দেশের বাইরে এবং কিছু ঢাকায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। সাধারণত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, চিতাবাঘের মতো প্রাণী বাইপোড্রাক্ট হিসেবে বিক্রি হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী ২০ জন ব্যবসায়ী জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা পড়ার ভয়ে এ ধরনের প্রাণীগুলো জীবন্ত অবস্থায় বাজার বা বাড়িতে রাখা বিপজ্জনক। স্থানীয় অনেকে এসব প্রাণীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিক্রি করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যপ্রাণী বেচাকেনা ও পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহজনক মানুষ যেসব জেলায় আছে তার তালিকা তৈরি করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট তা ইন্টারপোলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই তালিকা ইন্টারপোল, বাংলাদেশ পুলিশকে পৌঁছে দেয়। এর মধ্যে পুলিশ বা বন বিভাগের কাছে কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হলে তার মোবাইল ফোন ট্রাক করে তাকে চিহ্নিত করা হয়। দেশে যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তার বেশির ভাগই ‘সাপোর্টিং বিজনেস’ হিসেবে এটি করেন।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে বন্যপ্রাণী পাচারের সিন্ডিকেট আছে আবার ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এ কাজে জড়িত। তবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তারা বিমানবন্দর দিয়ে এই কাজ করেন না। তারা স্থলসীমান্ত এবং উপকূলীয় সীমানা দিয়ে পাশের দেশ এবং চীনে বন্যপ্রাণী পাচার করেন। পাচারের আইটেমগুলোর মধ্যে আছে বনরুই, লজ্জাবতী বানর, পোড়ামুখ হনুমান, উল্লুক জাতীয় প্রাণী। গত এক দেড় বছরে ঢাকা শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে বেশ কিছু বন্যপ্রাণী ধরা পড়ে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভে‌সে গে‌ছে হাজার হাজার বিঘার মৎস‌্য ঘের। এতে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙ্গন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের আরও ৬টি গ্রা‌মে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। এসব গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঘ‌রে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।