খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলাম যেভাবে এ দেশে এলো

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
ইসলাম যেভাবে এ দেশে এলো

খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতক থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে। এ অঞ্চলে ইসলামের আগমন সম্পর্কে জানার জন্য বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনা করা আবশ্যক।

ইসলামের আবির্ভাবের সময় এ অঞ্চলটি বঙ্গ বা বাংলা নামে পরিচিত ছিল। সে সময় বাংলা বা বঙ্গ অঞ্চলের সীমানা শুধু বর্তমান বাংলাদেশের সীমানা দ্বারাই পরিবেষ্টিত ছিল না। বরং তৎকালীন বঙ্গদেশের সীমানা ছিল বেশ বিস্তৃত।

ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচীন যুগে বাংলা ছিল প্রায় ৮০ হাজার বর্গ মাইল বিস্তৃত এক বিশাল সমভূমি। বস্তুত এ বিশাল বাংলা অঞ্চলে কবে ইসলামের আগমন ঘটে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন, ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মদ ইবনে কাসিমের সিন্ধু বিজয় গোটা ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচারের পথ উন্মুক্ত করে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও বহু মুসলিম মুবাল্লিগ ধর্ম প্রচারের জন্য আগমন করেন। এ সময় মাহমুদ ও মুহায়মিনের নেতৃত্বে একদল ধর্মপ্রচারক এ দেশে আগমন করেন বলে জানা যায়। পরে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক বাংলা বিজয়ের মাধ্যমে এ দেশে ধর্ম প্রচারকদের ব্যাপকহারে আগমন ঘটে।

১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী তৎকালীন বাংলার সেন বংশীয় রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় কেতন উড্ডীন করেন। খিলজী বিজিত রাজ্যের সীমানা ছিল-উত্তরে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত পূর্ণিয়া শহর হয়ে দেবকোট থেকে রংপুর শহর, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে তিস্তা ও করতোয়া, দক্ষিণে গঙ্গার মূলধারা বা পদ্মা এবং পশ্চিমে কুশী নদীর নিম্নাঞ্চল থেকে গঙ্গার কিনারায় রাজমহল পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত।

খিলজীর এ বিজয়ের ফলে বাংলায় ইসলাম ব্যাপকভাবে পরিচিত ও প্রসারিত হয়। এ সময় থেকে দলে দলে মুসলিমরা বাংলায় এসে বসতি স্থাপন করেন এবং ইসলাম প্রচার কাজ শুরু করেন।

ঐতিহাসিকদের অপর এক দলের মতে বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতক থেকে দশম শতকের মধ্যেই এবং ধীরে ধীরে তা প্রসারিত হয়। বাংলাদেশে ইসলামের প্রাথমিক পরিচিতি ও প্রচারকার্য পরিচালিত হয় আরব মুসলিম বণিকদের মাধ্যমে।

মুসলিম বিজয় পূর্ব বাংলায় আগত বণিকরাই এ দেশে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরেন। এ দেশে ইসলাম আগমনের প্রধান মাধ্যম ছিল আরব-ভারত-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক। জাহিলিয়াতের যুগ থেকেই আরব বণিকদের সঙ্গে এ অঞ্চলের বাণিজ্য সম্পর্ক প্রচলিত ছিল।

রাসূল (সা.) ভারতীয় সুগন্ধি দ্রব্য উপহার হিসাবে লাভ করেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়। ভূগোলবিদরা আরব-ভারত-চীন বাণিজ্য পথের নানা বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, আরব-চীন বাণিজ্য যাত্রার মূল সূত্র ছিল ভারতবর্ষ। আরব বণিকরা পারস্য উপসাগর হয়ে বেলুচিস্তানের একটি বন্দরে প্রবেশ করতেন।

তারপর একে একে সিন্ধু, গুজরাট, মাদ্রাজ ও কলকাতা বন্দরে প্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরে উপনীত হতেন। তারা এ সময় ওই অঞ্চলের সিলাহাত বা বর্তমান সিলেট ও সাদজাম বা বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দরে যাত্রাবিরতি করতেন। এরপর তারা চীন সাগরে প্রবেশ করতেন।

এভাবেই আরব থেকে চীন পর্যন্ত বাণিজ্যযাত্রায় ভারত উপমহাদেশ ও বঙ্গদেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। আরবরা মধ্যবর্তী এসব বন্দরেও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতেন ও সফরের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন।

আরব ঐতিহাসিক ও ভূগোলবিদদের বর্ণনায়ও বাংলার নানা স্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়। ভূগোলবিদ ইবনে খুরদাদবিহ তার বর্ণনায় বাংলাদেশের চাঁদপুর নদী বন্দরের কথা উল্লেখ করেছেন। আল ইদ্রিসীর বর্ণনায় রয়েছে-বাগদাদ ও বাসরা থেকে আরব বণিক এবং পর্যটকরা মেঘনার মোহনার সন্নিকটস্থ অঞ্চলে আসা-যাওয়া করতেন। বস্তুত মহানবি (সা.)-এর নবুয়তপূর্ব বহুকাল ধরেই আরব-ভারত-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ইসলামের আবির্ভাবের পরও এ সম্পর্ক অব্যাহত ছিল।

আরব মুসলিম বণিকরা তৎকালে এ পথ ধরেই বাণিজ্যযাত্রা অব্যাহত রাখেন। ফলে ইসলামের আবির্ভাবের অল্পকালের মধ্যেই ভারতবর্ষে তথা বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে। বাণিজ্য উপলক্ষ্যে আগমন করলেও আগত এসব আরব মুসলিম বণিক এ দেশের জনগণের মধ্যে ইসলাম প্রচারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। তারা যেসব বন্দরে যাত্রাবিরতি করতেন সেখানে ইসলামের প্রচার করতেন। এভাবে খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকেই বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে।

ঐতিহাসিকদের বড় একটি অংশের মতামত হলো-সাহাবিদের একটি দল প্রথম ইসলাম প্রচার করার জন্য ভারত ও বঙ্গ অঞ্চলে (বাংলাদেশে) আগমন করেন। আর তাদের মাধ্যমেই এ দেশে ইসলামের সূচনা ঘটে। যেহেতু আরব-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক বহু প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল, সেহেতু ভারত উপমহাদেশে সাহাবিদের আগমন অস্বাভাবিক ছিল না।

ধারণা করা হয়, রাসূল (সা.)-এর মামা সাহাবি আবু আক্কাস মালিক ইবনে ওয়াহাব (রা.) আনুমানিক ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দে তার কতিপয় সাথিসহ ইসলাম প্রচারের জন্য চীনের উদ্দেশে দুটি জাহাজ নিয়ে রওনা হন। এ যাত্রায় কাইস ইবনে হুজাইফা (রা.), উরওয়া ইবনে আছাছা (রা.), আবু কায়েস ইবনে হারিস (রা.) প্রমুখ সাহাবি তার সঙ্গে ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল চীনে ধর্ম প্রচার করা।

এ লক্ষ্যে তারা আরব ও চীনের মধ্যবর্তী ভারতীয় বন্দরগুলোতেও অবতরণ করেন। তারা সেসব বন্দরে অবস্থানকালে ইসলাম প্রচার করেন। শায়খ যাইনুদ্দিন সীয় ‘তোহফাতুল মুজাহিদীন’ গ্রন্থে ভারতের নানা বন্দরে এরূপ একদল আরবের ইসলাম প্রচারকের বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন।

কেননা সফরের রসদ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের জন্য তৎকালে এসব বন্দরে অবতরণের কোনো বিকল্প ছিল না। সুতরাং ধরে নেওয়া যায়, সাহাবিরা বাংলাদেশেও ইসলাম প্রচারের সূচনা করে গেছেন। মূলত এভাবেই বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে।

পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
পশ্চিম সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু

পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে মধু আহরণের মৌসুম আজ থেকে শুরু হল।

৭ই এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টায় পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে বুড়িগোয়ালিনী ৭১নং ফরেস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, নৌ পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, সমাজকর্মী, সংবাদকর্মী, এনজিও সহ সর্বোপরি মৌয়ালদের নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও ) এ  জেড এম হাছানুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গাজী নজরুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিভিন্ন এনজিও
প্রতিনিধিগণ,জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক এবং গণমাধ্যম কর্মী।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হাছানুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৬৪ পাশে ২৪৭১ মাধ্যমে ১২৩৫.৫০ কুইন্টাল মধু আহরণ করা হয় ও ৩৭০.৬৫ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় ২৭,৯২,২৩০ টাকা। ২০২৫ সালে ১৫শত কুইন্টাল মধু ৪শত কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পহেলা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩৭ টা মধুর পাশ হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়ে ১ এপ্রিল সকাল থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে এবার মধু আহরণ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো আজ ৭ এপ্রিল।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, মধু আহরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও ১ এপ্রিল সকালে মধু সংগ্রহে চারটি নৌকায় বেশ কয়েকজন মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বনজীবী মৌয়ালদের হাতে পাশ উঠিয়ে দেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।

বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের তথ্য মতে, চলতি ২০২৫ মৌসুমে সরকারিভাবে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল ও মোমের লক্ষ্য মাত্রা ৪০০ কুইন্টাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এক এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক স্টেশন থেকে ৯টি পাশ সংগ্রহ করেছে মৌয়ালরা। এর মধ্যে সকালে চারটি নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশ করে।

মৌয়াল ফজলুল হক বলেন, ‘ঈদের পর আনন্দের সঙ্গে আশা নিয়ে সুন্দরবনে যাচ্ছি মধু আহরণের জন্য। কিন্তু মৌসুম শুরুর আগে অবৈধভাবে সুন্দরবন থেকে যে হারে মধু চুরি হয়েছে, জানি না আশানুরূপ মধু পাবো কিনা। অল্প জায়গায় মধু আহরণ করে আমাদের পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ ও মহাজনের চালান উঠানো কঠিন।
আগামী দিনে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলোতেও মধু আহরণের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

মৌয়াল ফজলুল হকের মতে, যে পরিমাণ মৌয়াল সুন্দরবনে যান তাদের জন্য মধু আহরণের এলাকা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ না করার ফলে মধুগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
বিআরপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি ঘোষণা : আহবায়ক স্থপতি আরিফ হোসেন – সদস্য সচিব জুলফিকার আলী

জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধিও লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিআরপি কেন্দ্রীয় কমিটির দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মোঃ সোহেল রানা এবং সদস্য সচিব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) সাতক্ষীরা জেলার কমিটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটিতে স্থপতি মোঃ আরিফ হোসেন লিমন কে আহবায়ক এবং জুলফিকার আলী কে সদস্য সচিব মনোনীত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন যথাক্রমে ফেরদৌস আলম শাকিল, মোঃ আশিক ইকবাল, মোঃ সোহাগ, তামিম তানভীর, নয়ন খান, মোঃ আবু হানিফ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে রয়েছেন যথাক্রমে আবু হাসান, তানভীর রাইহান খান, মোঃ মারুফ বিল্লাহ, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু এবং মোঃ জুবায়ের হোসেন। জেলা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন এম. আব্দুর রহিম, সর্দার আসিফুর রহমান, কাজী আব্দুস সালাম, মোঃ আসিফ ইসলাম, নাঈম আহমেদ, নাহিদ পারভেজ, মোঃ সরিফুল ইসলাম, মোঃ মিনহাজুল আবেদিন, মোঃ রোকনুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম বাবু, রাসেল আহমেদ, মোঃ ইসরাফিল বাবু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, সাবিলার রহমান, রাকিমুন ইসলাম ও কাজী মোঃ আব্দুল ইরফান।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন জাতীয় ঐক্য, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাতক্ষীরা জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার, মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা আজ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করছি।

এই কমিটি দলের সংগঠন, সম্প্রসারণ ও কর্ম কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে। দলীয় সদস্য ও দেশবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রইল, যে আমরা জনগণের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়ার বাধ ভে‌ঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লা‌বিত

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোল‌পেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভে‌সে গে‌ছে হাজার হাজার বিঘার মৎস‌্য ঘের। এতে গ্রামবাসীর ঈদ আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে আমরা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলাম। নামাজ শেষে জানতে পারলাম আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়ি ঘরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে ধ‌সে প‌ড়ে‌ছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার দিয়ে দ্রুত লোকজনকে ভাঙ্গন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা ক‌রে। দীর্ঘ সা‌ড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা ক‌রেও শেষ রক্ষা হয়‌নি। সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে প্রবল জোয়া‌রের তো‌ড়ে বা‌ধের অব‌শিষ্টাংশ ভে‌ঙে গি‌য়ে লোকাল‌য়ে পা‌নি ঢুক‌তে শুরু ক‌রে।

স্থানীয়রা জানান, ইতোম‌ধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপা‌শের আরও ৬টি গ্রা‌মে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। এসব গ্রা‌মের বা‌ড়ি ঘ‌রে পা‌নি ঢু‌কে‌ছে। মৎস‌্য খামার ভে‌সে গে‌ছে। দ্রুততম সম‌য়ে বাধ বাধ‌তে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হ‌তে পা‌রে।

স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে সম্পূর্ণ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হ‌য়ে‌ছে। পাউবোর লোকজন ছু‌টি‌তে। তারা ফেরার চেষ্টা কর‌ছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদ‌ক্ষেপ নেওয়া হ‌চ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।