খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপকূলবাসীর দুঃখগাথা সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
উপকূলবাসীর দুঃখগাথা সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ

কালের স্বাক্ষী আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর’ । ১৯৭০ সালের এ দিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসে ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিলো। এর মধ্যে একলক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় ভোলাতেই। তখন উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চল’সহ দক্ষিণাঞ্চলের বহু এলাকা বিরাণভূমিতে পরিণত হয় ।
ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে দ্বীপ জনপদ ভোলা এবং তৎকালীন নোয়াখালী উপকূলে। সেইসময় নোয়াখালী উপকূলের রামগতি,হাতিয়া,সন্দ্বীপ এবং পটুয়াখালী পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। ধারণা করা হয়, সেই দুর্যোগে ভোলা জেলাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেদিন উত্তাল নদী মেঘনা,তেঁতুলিয়া,কালাবাদর এবং তার শাখা-প্রশাখাগুলো রূপান্তরিত হয় লাশের মিছিলে ।

সূত্রমতে,১৯৭০ সালের সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর উপকূলবাসীর কাছে এক ভয়াবহ কালোরাত হিসেবে বিবেচিত। সেই সময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট “ভোলা সাইক্লোন” উপকূলে আঘাত হানে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, “ভোলা সাইক্লোন” পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম প্রাণঘাতী একটি ঝড়। ১৯৭০ সালের সেই রাতে উপকূলে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ভয়াল “ভোলা” সাইক্লোন বা গোর্কি।

এ দিনে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। উপকূলীয় দ্বীপচরসহ বহু এলাকার ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে বিরাণভূমিতে পরিণত হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতায় কথা মনে হলে সেই সময়ের অনেকে মানুষ আজও আঁতকে ওঠেন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের র্বতমান বাংলাদশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপকভাবে আঘাত হানে।

এ পর্যন্ত রেকের্ডকৃত ঘূর্ণিঝড় সমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতকি দুূর্যোগ বলে বিবেচিত। সরকারি হিসেবে এ ঝড়ের তান্ডবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারানোর কথা বলা হলেও বেসরকারি হিসেবে প্রায় ১০ লাখের বেশী মানুষ প্রাণ হারায়।

তথ্যমতে,এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমরে ৬ষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার ঘর্ূিণঝিড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে ১৫ থেকে ২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

সেইদিনের ওই স্মৃতি বয়ে আজও যারা বেঁচে রয়েছেন কিংবা স্বজনদের হারিয়েছেন, কেবল তারাই অনুভব করেন,সেদিনের ভয়াবহতা। সত্তরের সেই ভয়াবহ সাইক্লোনের স্মৃতিচারণে সাংবাদিক সাপ্তাহিক দ্বীকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম আবু তাহের বলেন,বিভীষিকাময় সেইদিন আমি ‘দেখেছি সাপ আর মানুষ দৌলতখানের চৌকিঘাটে জড়িয়ে পড়ে আছে।

স্নেহময়ী মা তার শিশুকে কোলে জড়িয়ে মৃত পড়ে আছে মেঘনার পাড়ে। দুর্গম চরাঞ্চল সোনাপুরের বাগানে গাছের ডালে ঝুলছে-নারী-পুরুষের লাশ । এমনিভাবে মনপুরা,চরফ্যাশন,লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও দৌলতখানসহ সমগ্র জেলায় মৃত মানুষ আর গবাদিপশু বঙ্গোপসাগরের উত্তাল পানিতে ভেসে গেছে। জনশূন্য হয়ে পড়েছিল দ্বীপাঞ্চল ভোলা।’

এ ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের পর মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাষ্ট্রীয় উচ্চ পদস্থ ব্যাক্তিদের নিয়ে সেই ধ্বংসযজ্ঞ ও বেদনাহতদের দেখতে ভোলায় আসেন। এসব দৃশ্য দেখে তারা শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন।

ওই সময়ে খুব কাছ থেকে দেখা সেই দুর্যোগের স্বাক্ষী আশিউর্ধ্বো বয়সী প্রবীণ ব্যক্তি মনপুরা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাসস’কে বলেন, আমরা চর বাদাম,চর সীতা এবং চর জব্বরে ধানক্ষেতগুলোতে নাকেমুখে নোনা পানি লেপ্টানো অগণিত মানুষের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছি।

সাগরে ভাসতে দেখেছি লাশ আর লাশ। রামগতি,হাতিয়া,সন্দ্বীপ,ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে। তারমতে, গোটা উপকূল অঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বলেন, ১২৮৩ সালের গোর্কির চেয়ে বহুগুণে করুণ এবং ভয়াবহ ছিল ’৭০ সালের গোর্কি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে,জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ ঘূর্ণিঝড়কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ১৩ নভেম্বর ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছিলো।

এদিকে প্রলয়ঙ্কারী সেই ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আজ মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর উপকুলীয় জেলা ভোলার বিভিন্ন এলাকায় দোয়া,আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন ১৯ নভেম্বর

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন ১৯ নভেম্বর

সাতক্ষীরায় কম্পিউটার জগতে এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান অনলাইন কম্পিটার। খুব শীঘ্রই সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকা কাচ্চি ডাইন ও ইউসিবি ব্যাংকের নিচে “অনলাইন কম্পিউটার” এর একটি নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৯ নভেম্বর, বুধবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে “অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইন কম্পিউটারের স্বাত্তাধিকারী মোঃ মাসউদ রানা (রাজু) অনলাইন কম্পিউটার শুধু বিশ্বস্থ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

অনলাইন কম্পিউটারের স্বাত্তাধিকারী মোঃ মাসউদ রানা (রাজু) সকলের উদ্দেশ্যে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা “অনলাইন কম্পিউটার” একটি নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহযোগিতায় আমাদের এই উদ্যোগ বাস্তব রূপ পেয়েছে। এ উপলক্ষে আমরা এক দোয়া ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই আনন্দঘন মুহূর্তে আপনাকে আমাদের সঙ্গে পেয়ে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত হবো। আপনার উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং অনুষ্ঠানকে করবে আরও অর্থবহ। অনুগ্রহ করে উপস্থিত থেকে আমাদের এই নতুন যাত্রার সাক্ষী হোন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন “অনলাইন কম্পিউটার” প্রযুক্তি সেবায় মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।

ঠিকানা
কাচ্চি ডাইন ও ইউসিবি ব্যাংকের নিচে, নিউ মার্কেট মোড়, সাতক্ষীরা। তারিখ: ১৯ নভেম্বর, বুধবার সময়: বিকাল ৩.৩০ মিনিট
প্রয়োজনে: ০১৯১১-৬১৮৯২০।

শীতে প্রতিদিন কমলা খাওয়া কেন জরুরি

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
শীতে প্রতিদিন কমলা খাওয়া কেন জরুরি

শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। তা না হলে জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে শীতে পুষ্টিকর খাবারে ওপর গুরুত্বারোপ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কমলালেবু। তবে খালি পেটে এই ফল খাওয়া ঠিক নয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে যেসব উপকারিতা মিলবে-

১. কমলালেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এই ফল খেলে ইমিউনিটি বাড়বে। ত্বক এবং চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্যেও নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস রাখতে পারেন।

২. কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। এ কারণে এই ফল খেলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৩. কমলালেবু খেলে খাবার ভালভাবে হজম হয়। সেই জন্যই দুপুরের খাবারের পর কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের।

৪. কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় হজমশক্তি ভাল হয় এই ফল খেলে।

কমলালেবুর খোসাও ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। এই উপকরণের সঙ্গে মধু, অলিভ অয়েল, দুধের সর ব্যবহার করে ফেসপ্যাক এবং ফেসস্ক্রাব তৈরি করতে পারেন বাড়িতেই। এই ফেসপ্যাক এবং ফেসস্ক্রাব ব্যবহার করলে, ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর হবে। ত্বক থাকবে টানটান। কালচে দাগছোপ দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

পাকিস্তানে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হরিপুর জেলার তারবেলা এলাকায় বিশাল সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। পাকিস্তান ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এয়ার করাচির চেয়ারম্যান হানিফ গওহর এই দাবি করেছেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) করাচি প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় হানিফ গওহর এই তথ্য জানান।

রেকর্ড ছুঁইছুঁই সোনার দাম, ভরিতে কত?  
হানিফ গওহর বলেন, আবিষ্কৃত এই সোনার খনিতে প্রায় ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা মজুত আছে। খননকাজ শুরুর প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুটি ড্রিলিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তারবেলার মাটির নিচ থেকে সোনা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে।

তবে, এই বিশাল স্বর্ণ মজুত আবিষ্কারের বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।