দেবহাটায় আবাসিক এলাকার কারখানায় এসিল্যান্ডের অভিযান!
দেবহাটার সখিপুরে জনবসতি এলাকার কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ শরীফ নেওয়াজ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামের মুনসুর আলী বিশ্বাসের আবাসিক এলাকায় নির্মানকৃত সৌখিন ফার্নিচার ও ডিজিটাল নকশা ঘর নামক কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনেও প্রতিকার মেলেনি। সাম্প্রতিক আবাসিক এলাকায় নির্মাণকৃত ওই কারখানার মেশিনের শব্দ আর ধূলাবালিতে অতিষ্ট হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। দিনে রাতে বিকট শব্দ ঘুম হারাম হয়ে যাওয়া পাশাপাশি কারখানার ধুলা ময়লাতে ভরে যাচ্ছিল বাসতবাড়ি। বিষয়টি নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সেখানে অভিযান পরিচালনা সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ শরীফ নেওয়াজ ওই এলাকায় যেয়ে স্থানীয়দের সমস্যার কথা শোনেন। একই সাথে অভিযুক্ত সৌখিন ফার্নিচার ও ডিজিটাল নকশা ঘরের পরিচালকের নিকট এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন।
পরে স্থানীয় জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে তিনি ওই স্থান থেকে কারখানা সরিয়ে নেওয়া ও বিকল্প উপায় বের করার জন্য নির্দেশ দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ দেড় মাসের সময় প্রার্থনা করেন। এসময় কারখানার মালিককে শব্দ ও পরিবেশ দূর্ষন রোধে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ওই কর্মকর্তা। তবে অভিযোগ রয়েছে, ইতোপূর্বে ওই কারখানা মালিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে ১ মাসের সময় চেয়ে নিলেও দীর্ঘ আট মাসেও কোন পরিবর্তন আনেননি।
উল্লেখ্য যে, জনবসতি এলাকায় তীব্র চলমান শব্দের ফলে শিশুদের পড়ালেখা, ঘুম, শ্রবণ শক্তি, মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ভাবে অবনতি ঘটছে। বর্তমানে আশেপাশের পরিবার গুলোর কয়েকজন শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা ও কানের অসুখে ভুগছেন।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ শরীফ নেওয়াজ জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক জনসাধারণের বসবাসের সৃষ্টিকারী সৌখিন ফার্নিচার ও ডিজিটাল নকশা ঘর নামক কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা মেলে। পরে কারখানা মালিক আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শব্দ ও পরিবেশ দূর্ষন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে অঙ্গিকার করায় তাকে প্রাথমিক ভাবে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অভিযান কালে উপস্থিত ছিলেন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুব দলের আহবায়ক কামরুজ্জামান কামরুল, উপজেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য জিয়ারউর রহমান জিয়া, বায়তুলমাল সম্পাদক সোলাইমান হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান মোখলেস, সাজু পারভীন সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
আপনার মতামত লিখুন