খুঁজুন
সোমবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুবলার চরের শুটকি বাণিজ্য

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
দুবলার চরের শুটকি বাণিজ্য

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের শেষ সীমায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা এই চরে গড়ে উঠেছে দুবলার শুটকি পল্লী।
ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের পাশাপাশি এই চরের খ্যাতি দেশের সবচেয়ে বড় শুটকির বাজার হিসেবেও। এখান থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার শুটকি যায় সারাদেশে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলেরা প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ ছয় মাস এখানে ব্যবসার অনুমতি পান। এই চরে কাজ করেন ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের মূলত আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারকেল বাড়ীয়া, শেলারচর ও মেহেরআলীর চরে হয় মাছ শুকানোর কাজ।

যেসব জেলেদের তিন থেকে পাঁচটি নিজস্ব মাছ ধরার ট্রলার আছে তাদেরকে ডাকা হয় ‘মহাজন’ বলে। যাদের ট্রলারের সংখ্যা আরও বেশি তাদেরকে ডাকা হয় ‘বহরদার’। শুটকির কাজে নিযুক্ত জেলেরা এসব ‘মহাজন’ ও ‘বহরদার’দের হয়ে কাজ করেন।

কয়েকজন ‘বহরদার’ ও ‘মহাজন’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে—সাধারণত লইট্টা, তেলফ্যাসা, ছুরি, বৈরাগী, চাকা চিংড়ি, রূপচাঁদা শুঁটকি করা হয়। কাঁচা মাছ শুকাতে সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ দিন। পাইকারদের কাছে গড়ে প্রতি কেজি শুটকি বিক্রি করা হয় ৫০০-৫৫০ টাকায়। এখান থেকেই পাইকাররা শুঁটকি কিনে নিয়ে যান।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়—কয়েক হাজার শ্রমিক শুঁটকি পল্লীতে কাজ করছেন। কেউ রোদে মাছ শুকাচ্ছেন, কেউ আবার ট্রলার নিয়ে সাগরে যাচ্ছেন মাছ ধরতে।

জেলেরা মাছ নিয়ে এসেই শুরু করেন বাছাইয়ের কাজ। প্রজাতি অনুযায়ী মাছ আলাদা করা হয়। এরপর নানান প্রক্রিয়া শেষে শুকাতে দেন সেসব মাছ।

জেলে মিরাজ শেখ বলেন, ‘সাধারণত তেলা, ফ্যাইসাসহ অন্যান্য ছোট মাছ চাতালে ও লম্বাটে লইট্টা, ছুরি মাছগুলোকে বাঁশের আড়ায় ঝুলিয়ে শুকাতে দেওয়া হয়।’

প্রায় ৩০ বছর ধরে এই চরে মহাজনের কাজ করা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এখান থেকে শুঁটকি নেওয়ার জন্য ১০-১২টি পরিবহন ব্যবস্থা আছে। তারা রংপুর, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় শুঁটকি পাঠিয়ে দেয়। দেশের শুঁটকির বড় অংশ যায় দুবলার চর থেকে।’

তার মতে, সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই চরের শুঁটকি রপ্তানি করে প্রতি বছর হাজার হাজার ডলার আয় করা যেত।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুবলার চর থেকে শুঁটকি পাওয়া গিয়েছিল চার হাজার ১০৫ টন। বন বিভাগের আয় হয়েছিল দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ১০০ টন শুটকি থেকে আয় হয়েছিল ছয় কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

সাগরের যে কোনো ঝড় সবার আগে আঘাত হানে দুবলার চরে। এ কারণে দুবলার চরে কাজ করা অধিকাংশ মানুষের দাবি—সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র। এখানে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী।

এই চরে খাবার পানির তীব্র সংকট কাটাতে কয়েকটি পাতকুয়া করা হয়েছে। বর্ষায় সেখানে পানি জমে। ওই পানি জীবাণুমুক্ত নয়। তবুও ওই পানিই ভরসা পল্লীবাসীদের।

চরটিতে আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ছয় মাসের জন্য আসা মানুষগুলোর চিকিৎসা হয় না।

চরের নিউমার্কেট এলাকায় কয়েকটি ওষুধের দোকান আছে। দোকানদাররা অসুস্থতার ধরন শুনে জেলেদের চিকিৎসা দেন।

সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া গ্রাম্য চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই দুর্গম চরে চিকিৎসা দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ নাই। অধিকাংশ রোগী আসেন পেটের ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে। আমরা তাদের চাহিদামত শুধু ওষুধ বিক্রি করি।’

চরের আলোরকোলের পূর্ব দিকে গড়ে উঠেছে বাজার। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ অন্যান্য এলাকার মানুষ দোকান দিয়েছেন ওই বাজারে। এখানে আছে সেলুন, লেদ মেশিন, খাবারের হোটেল, কসমেটিকস, মুদি ও কাপড়ের দোকান। আছে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানও।

জেলেরা এই বাজারের নাম দিয়েছেন ‘নিউমার্কেট’। এসব দোকান থেকে ছয় মাসের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটান জেলেরা।

বাজারটি দেখে বোঝার উপায় নেই কয়েক মাসের জন্য সেখানে দোকানগুলো বসানো হয়েছে।

চরে মাছ ধরার কাজে আছে শত শত ট্রলার। এসব ট্রলার মেরামতের জন্য আছে কারখানা। নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থায় কারখানাগুলো চালানো হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে ওই চরে।

দুবলার চরটি দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবের কারণে। প্রায় দেড় শ বছর ধরে দুবলার চরের আলোরকোলে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে রাস পূজা ও পুণ্যস্নান। পূজা উপলক্ষে এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আসেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

দুবলার চর ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদ ব্যবহার করে দুবলার চর থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। দেশের মাছের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করে চরটি। ওই কাজে যারা সহযোগিতা করেন তাদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নেই। জেলেদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সরকারি ব্যবস্থা থাকা দরকার।’

পরিবেশবাদীরা বলছেন, সংরক্ষিত বনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের আনাগোনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশের নানা ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। মাছ ধরার অজুহাতে অনেকে হরিণ শিকারসহ নানা অপকর্ম জড়িয়ে পড়েন। সরকারের উচিত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পল্লীর সার্বিক উন্নয়ন করা।

অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন ১৯ নভেম্বর

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন ১৯ নভেম্বর

সাতক্ষীরায় কম্পিউটার জগতে এক বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান অনলাইন কম্পিটার। খুব শীঘ্রই সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন এলাকা কাচ্চি ডাইন ও ইউসিবি ব্যাংকের নিচে “অনলাইন কম্পিউটার” এর একটি নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৯ নভেম্বর, বুধবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে “অনলাইন কম্পিউটার” এর নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইন কম্পিউটারের স্বাত্তাধিকারী মোঃ মাসউদ রানা (রাজু) অনলাইন কম্পিউটার শুধু বিশ্বস্থ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

অনলাইন কম্পিউটারের স্বাত্তাধিকারী মোঃ মাসউদ রানা (রাজু) সকলের উদ্দেশ্যে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা “অনলাইন কম্পিউটার” একটি নতুন ও আধুনিক কম্পিউটার শো-রুম উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আপনাদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহযোগিতায় আমাদের এই উদ্যোগ বাস্তব রূপ পেয়েছে। এ উপলক্ষে আমরা এক দোয়া ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই আনন্দঘন মুহূর্তে আপনাকে আমাদের সঙ্গে পেয়ে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত হবো। আপনার উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং অনুষ্ঠানকে করবে আরও অর্থবহ। অনুগ্রহ করে উপস্থিত থেকে আমাদের এই নতুন যাত্রার সাক্ষী হোন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন “অনলাইন কম্পিউটার” প্রযুক্তি সেবায় মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।

ঠিকানা
কাচ্চি ডাইন ও ইউসিবি ব্যাংকের নিচে, নিউ মার্কেট মোড়, সাতক্ষীরা। তারিখ: ১৯ নভেম্বর, বুধবার সময়: বিকাল ৩.৩০ মিনিট
প্রয়োজনে: ০১৯১১-৬১৮৯২০।

শীতে প্রতিদিন কমলা খাওয়া কেন জরুরি

সুন্দরবন নিউজ ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
শীতে প্রতিদিন কমলা খাওয়া কেন জরুরি

শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। তা না হলে জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে শীতে পুষ্টিকর খাবারে ওপর গুরুত্বারোপ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ সময় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কমলালেবু। তবে খালি পেটে এই ফল খাওয়া ঠিক নয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে যেসব উপকারিতা মিলবে-

১. কমলালেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এই ফল খেলে ইমিউনিটি বাড়বে। ত্বক এবং চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্যেও নিয়মিত কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস রাখতে পারেন।

২. কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। এ কারণে এই ফল খেলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে।

৩. কমলালেবু খেলে খাবার ভালভাবে হজম হয়। সেই জন্যই দুপুরের খাবারের পর কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের।

৪. কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় হজমশক্তি ভাল হয় এই ফল খেলে।

কমলালেবুর খোসাও ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিন। এই উপকরণের সঙ্গে মধু, অলিভ অয়েল, দুধের সর ব্যবহার করে ফেসপ্যাক এবং ফেসস্ক্রাব তৈরি করতে পারেন বাড়িতেই। এই ফেসপ্যাক এবং ফেসস্ক্রাব ব্যবহার করলে, ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর হবে। ত্বক থাকবে টানটান। কালচে দাগছোপ দূর হবে এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

পাকিস্তানে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

সুন্দরবন নিউজ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানে বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হরিপুর জেলার তারবেলা এলাকায় বিশাল সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। পাকিস্তান ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এয়ার করাচির চেয়ারম্যান হানিফ গওহর এই দাবি করেছেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) করাচি প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় হানিফ গওহর এই তথ্য জানান।

রেকর্ড ছুঁইছুঁই সোনার দাম, ভরিতে কত?  
হানিফ গওহর বলেন, আবিষ্কৃত এই সোনার খনিতে প্রায় ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা মজুত আছে। খননকাজ শুরুর প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুটি ড্রিলিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তারবেলার মাটির নিচ থেকে সোনা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে।

তবে, এই বিশাল স্বর্ণ মজুত আবিষ্কারের বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।