শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনসমর্থনে এগিয়ে গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা


ইয়াছিন মোড়ল প্রকাশের সময় : মে ৬, ২০২৪, ৬:৩৫ অপরাহ্ন /
শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনসমর্থনে এগিয়ে গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা

 

শ্যামনগর অফিস

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পরেই মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ৮ মে বুধবার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোট ৩ জন প্রার্থী সরাসরি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা (ঘোড়া প্রতীক), প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাঈদ, (আনারস প্রতীক) এবং এ্যাডঃ কৃষ্ণপদ (হেলিকপ্টার প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত কয়েকদিন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ এবং কর্মী সমর্থকরা মিছিল মিটিং করছেন, ঘোড়া প্রতীকে। অন্য প্রার্থীদের থেকে গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা দক্ষ জনপ্রতিনিধি ও শক্তিশালী ইমেজের প্রার্থী হওয়ায় ভোটারদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জনপদের সাধারণ ভোটাররা।

১২ টি ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচরণা ও তার নানামুখী কর্মপরিকল্পনায় ভোটারদের সমর্থন কুড়াতে সক্ষম হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বাংলা। গণসংযোগের সময় পাড়া-মহল্লা এবং সাধারণ মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তিনি ।
উঠান বৈঠক, হাটে বাজার, বাড়ি বাড়িতে গণসংযোগ করছেন তিনি। ভোটাররা তাকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরছেন । সেই সাথে দাবী দাওয়ার কথাও তুলে ধরছেন। তিনিও এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের খাবার পানি এবং পুকুর খননের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা সহ আপামর জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, গোলাম মোস্তফা বাংলা তার দীর্ঘ জীবনের বেশিরভাগ সময় পার করছেন সাধারণ মানুষের সেবা করে, কয়েক বার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে জনসেবা করেছেন। সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসে।আমরা আশাবাদী তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলা বলেন, ‘আমাদের এলাকার মূল সমস্যাই হলো বিশুদ্ধ খাবার পানির। কৃষক, শ্রমিকসহ ও বিভিন্ন পেশার যেসব মানুষ আছেন, তাদের পেশাগত কিছু জটিলতা আছে। যেমন- উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা নানান জটিলতার কারণে ফসল উৎপাদন করতে পারেন না পাশাপাশি মৎস্য চাষিরা বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকেন। শ্রমের বাজারেরও একই অবস্থা। এখানকার মানুষের ইনকাম বাড়াতে হলে কর্মসংস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারি দপ্তর থেকে সাধারণ মানুষেরা সহজভাবে সেবা নিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশাসনিক হয়রানি সাধারণ মানুষ যাতে না পায় তার যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।