সাতক্ষীরায় লবণাক্ত পল্লীতে তরমুজ চাষে সফলতা


Admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ৪:৩৬ অপরাহ্ন / ১৫১
সাতক্ষীরায় লবণাক্ত পল্লীতে তরমুজ চাষে সফলতা

সাতক্ষীরায় আশাশুনির বড়দলে লবণাক্ত বিস্তীর্ণ  এলাকা জুড়ে গ্রীষ্মের কালের মত তরমুজের বাহারি সৌন্দর্য মেলা বসেছে উপকূলীয় এই অঞ্চলে।

বর্ষার অমৌসুমে তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন এই এলাকার কৃষক। অসময়ে তরমুজ পেয়ে যেমন তৃপ্ত হচ্ছে মানুষ, তেমনি ভাল মূল্য পেয়ে লাভবান হচ্ছে চাষী। বড়দল ইউনিয়নে এক ফসলী (আমন ধান) চাষাবাদ হয়ে থাকে। ফলে বছরের অধিকাংশ সময় জমি পতিত থাকে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উন্নয়ন প্রচেষ্টা’ প্রসপারিটি প্রকল্পের আওতায় পতিত জমি কাজে লাগাতে এবং বছরে একাধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করতে কার্যক্রম হাতে নেয়। এরই অংশ হিসেবে ইউনিয়নের ফকরাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রকল্পের সদস্যভুক্ত করে। তাকে প্রকল্প হতে জলবায়ু সহনশীল ফসল চাষ বিষয়ক আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ড ‘লবণাক্ত এলাকায় মিনি পুকুর পদ্ধতিতে ফসল চাষ’ বাস্তবায়নের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৬ বিঘা লীজকৃত জমির আইলে মালচিং পেপার ব্যবহার করে অমৌসুম জাতের তরমুজ- গোল্ডেন ক্রাউন, বিগ বাইট, রবি এবং ব্লাক জায়েন্ট চাষ করেছেন। এতে তার আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং আড়াই মাসে তরমুজ বিক্রির উপযোগি হয়েছে। এখন তার তরমুজ ক্ষেতে প্রায় ১ হাজার তরমুজ আছে।

এসব তরমুজ খেতে খুবই সুস্বাদু এবং দেখতেও বেশ দৃষ্টিনন্দন। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে এবং তিনি আনুমানিক ৯০-৯৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করেন।