সুন্দরবন নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার গোলাম সরওয়ারের ছেলে সজল নুরে সৌরভ। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার।
এরপরই জানা যায় সৌরভ কারাগারে আছে। কিন্তু তার নামে যে মামলা আছে সেই মামলায় তো জামিনে আছেন তিনি। খোঁজ করতেই জানা যায়, যুবক সৌরভ শামীমের হয়ে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে কারাগারে গেছেন। রোববার বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে।
গত ২৮ নভেম্বর ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ট্যাংকি পাড়া এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় দুটি পক্ষই আলাদা দুটি মামলা করে!
সংঘর্ষের এক পক্ষের আহত ইমরান বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি ঝিনাইদহ শহরের বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা শামীম ও ১৬ নম্বর আসামি সজল নুরে সৌরভ। এরমধ্যে সৌরভ গত ১০ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পান। সেই জামিনের পর থেকে তিনি বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু গত ১৩ ডিসেম্বর ১ নম্বর আসামি শামীমের হয়ে আদালতে হাজির হন। আদালত সজলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ি থেকে থানায় জিডি হলে ঘটনাটি সামনে আসে।
এ ব্যাপারে মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, এরা বড় একটা প্রতারক। আমরা তো কাউকে ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে জামিন ধরি না। আমাদের কাছে এসে বলেছে আমরা জামিন ধরেছি। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ প্রতারকের শাস্তি হওয়া উচিত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান তুহিন বলেন, আদালতের সঙ্গে এত বড় ধৃষ্ঠতা দেখাল আসামিরা। এরা অনেক বড় প্রতারণা করছে। আদালতে বিভ্রান্ত করছে। আমার তো মনে হয় এদের কোনো বড় ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে ছিল। আইনের চোখে শামীম তো কারাগারে, কিন্তু সে তো বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন সে যদি একটা মার্ডার করে তবুও তো সে আসামি হবে না। আমি মনে করি এই প্রতারকদের সঙ্গে যারা প্রত্যাক্ষ জড়িত আছে প্রত্যেকের শাস্তি দেওয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :