শ্যামনগরে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, এ্যাপোলো হসপিটালের বিরুদ্ধে।


ইয়াছিন মোড়ল প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২৩, ১১:২১ পূর্বাহ্ন /
শ্যামনগরে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, এ্যাপোলো হসপিটালের বিরুদ্ধে।
শ্যামনগর অফিস:
শ্যামনগর উপজেলার হায়বাতপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, কোন কাগজপত্র ছাড়াই, চিপাচাপা ভবনে ডাক্তার নার্স ছাড়াই নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটালে মানুষ ঠকানোর ব্যাবসা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিষ্ঠানের একজন স্টাফ জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেইটে, জরুরী বিভাগে ও টিকিট কাউন্টারে দাড়িয়ে থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে আসা আমাদের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের জাবাখালি গ্রামের সবুজের স্ত্রী আয়েশা খাতুন সন্তান সম্ভাবনাময়ী, চেকআপের জন্য সরকারি হাসপাতালে আসলে সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটালের এক মহিলা দালালদের খপ্পরে পড়ে, ঐ দালাল নিজেকে নার্স দাবি করে আয়েশা খাতুনকে বলেন, আপনার পেটের বাচ্চা উল্টো হয়ে আছে, পানি শুকিয়ে গেছে, বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার গুরুত্ব নেই,  আমাদের ক্লিনিকে কম খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়, ক্লিনিকে গিয়ে ২৬ হাজার টাকা চুক্তিতে ডেলিভারি ডেটের আগেই সিজার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ‌।
অপ্রয়োজনীয় এপেন্ডিস ও গর্ভবতী সিজার অপারেশনের উপর ভর করে চলছে সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটাল জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটালের পরিচালক ডাঃ সাজান সিরাজ জানান, আমার হসপিটালে ডাক্তার নার্স আছে কি না লাইসেন্স আছে কি না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কি না, পরিবেশ স্বাস্থ্য অনুকূলে আছে কি না উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানেন, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপেন্ডিক্স  ও সিজারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোন সত্যতা নেই ।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার ক্লিনিক গুলোতে আমার নজরদারি আছে, তবে প্রতিটা মুহূর্তে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আপডেট হচ্ছে, যে কোন মুহূর্তে খারাপ কিংবা ভালো পরিবেশ থাকতে পারে ।
রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,
এই সমস্ত ক্লিনিক এর স্টাফদের প্রায় সময় দেখা যায়, প্রতিনিয়ত সুন্দরবন এ্যাপোলো হসপিটালের স্টাফরা কি জন্য আসে এ বিষয়ে তাদের ধরলে, তারা চালাকি করে বলে আমরা এখানকার রোগী অথবা আগে থেকে ৫ টাকার টিকিট কেটে রোগী সেজে বসে থাকে । তবে পরবর্তীতে যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানি না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।