রমজান মাসে সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন


MD Anowarul Islam প্রকাশের সময় : মার্চ ২৬, ২০২৩, ৮:৪৬ অপরাহ্ন / ১২৩
রমজান মাসে সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় যা রাখবেন

সুন্দরবন অনলাইন নিউজ ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজান চলছে। রোজার মাসের খাবার অন্যান্য মাস থেকে একটু আলাদা হওয়া উচিত। যতটা সম্ভব সহজপাচ্য ও স্বাভাবিক খাবারই খাওয়া উচিত। কিন্তু সারা দিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারে মুখরোচক অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করে। অনেকে আবার ইফতার ও সাহ্‌রিতে আহারের সময় অপরিকল্পিতভাবে খাদ্য নির্বাচন করেন। এসব ক্ষেত্রে রোজাদারেরা অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়েন। এ সময় ভাজাপোড়া ও ভারী খাবার খেলে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

তাই সুস্থ শরীরে ও দেহের ওজন না বাড়িয়ে পুরো রোজার মাস ভালো থাকার জন্য একটা ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম খাবারের দরকার। দৈনিক চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখেই এ সময় খাদ্য নির্বাচন করা দরকার।

আঁশ যুক্ত খাবার: আঁশযুক্ত খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বুক জ্বালা পোড়া সহ নানান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
সুষম খাবার: বেশি করে খেতে হবে শাকসবজি । খেতে হবে মাছ মাংস দুধ ভাত ও রুটি।
পানি: এবারের রোজা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের সময়ে। তাই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস , ঠাণ্ডা খাবার ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। পান করুন বেশি বেশি পানি। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
বাদ দিন চা কফি: ক্যাফেইন যুক্ত কোমল পানীয় কফি চা পান কমাতে হবে। এ ধরনের পানীয় শরীর থেকে লবন ও পানি বের করে দেয়।
সুষম ইফতার: খেজুর ,চিনি ছাড়া শরবত, ভেজিটেবল স্যুপ ও বিস্কুট বেছে নিতে পারেন ইফতারে।
অতিরিক্ত চিনি: মিষ্টি শরবত ও অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার নানা জটিলতা তৈরি করে।
শক্তির জন্য চাই: শরীরের শক্তি ফিরে পেতে চাইলে প্রয়োজনে গ্লুকোজ। দ্রুত শক্তি যোগান দেয় আঙ্গুর খেজুর ও ফলের রস।
ইফতারের পর: রাতের খাবারে থাকা উচিত সব ধরনের খাবারের মিশ্রণ । সালাদ, মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, রুটি ও দধি ,রাখতে পারেন খাবারের মেনুতে।
সেহরির খাবার: সেহরিতে বেছে নিন হালকা খাবার। খাদ্য তালিকায় দানাদার খাবারের সাথে পরিমাণ মতো ফল , শাকসবজি , মাংস ও দুগ্ধ জাত খাবার থাকতে হবে।
এড়িয়ে চলুন: ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাবার। রিফাইন্ড ফুড না খাওয়াই ভালো এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো বরং মাত্রাতিরিক্ত খেলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।